Friday, May 5, 2017

Al An'am । আন’আম - গৃহপালিত পশু

Recitation । তেলাওয়াত

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ 
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে

١ الْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَجَعَلَ الظُّلُمٰتِ وَالنُّوْرَ ۖ ثُمَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ يَعْدِلُوْنَ 
১. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্যে, যিনি আকাশমালা ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন। তিনি অন্ধকারসমূহ ও আলো সৃষ্টি করেছেন; অত:পর যারা আল্লাহ পাককে অস্বীকার করে, তারা (প্রকারান্তরে এর দ্বারা অন্য কিছুকেই) তাদের প্রভুর সমকক্ষ হিসেবে দাঁড় করায়।
1. Praise be to Allah, Who created the heavens and the earth, and made the Darkness and the Light. Yet those who reject Faith hold (others) as equal with their Guardian Lord.
٢ هُوَ الَّذِىْ خَلَقَكُمْ مِّنْ طِيْنٍ ثُمَّ قَضٰى اَجَلًا ۖ وَاَجَلٌ مُّسَمًّى عِندَهُ ۖ ثُمَّ اَنْتُمْ تَمْتَرُوْنَ 
২. তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অত:পর তিনি (প্রত্যেকের জন্যে বাঁচার একটি) সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, (তেমনি তাদের মৃত্যুর জন্যেও) তাঁর নিকটে একটি সুনির্দিষ্ট সময় রয়েছেو তারপরও তোমরা সন্দেহে লিপ্ত আছো!
2. He it is Who created you from clay, and then decreed a stated term (for you). And there is with Him another determined term; yet you doubt within yourselves!
٣ وَهُوَ اللّٰهُ فِى السَّمٰوٰتِ وَفِى الْاَرْضِ ۖ يَعْلَمُ سِرَّكُمْ وَجَهْرَكُمْ وَيَعْلَمُ مَا تَكْسِبُوْنَ 
৩. আসমানসমূহের এবং যমীনের (সর্বত্র) তিনিই তো হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তিনি (যেমনি) তোমাদের গোপন ও প্রকাশ্য বিষয়সমূহ জানেন, (তেমনি) তিনি জানেন তোমরা  কে (পাপ-পুণ্যের) কতোটুকু উপার্জন করেছো তাও।
3. And He is Allah in the heavens and in earth. He knoweth what you hide, and what you reveal, and He knoweth the (recompense) which you earn (by your deeds).
٤ وَمَا تَاْتِيْهِمْ مِّنْ اٰيَةٍ مِّنْ اٰيٰتِ رَبِّهِمْ اِلَّا كَانُوْا عَنْهَا مُعْرِضِيْنَ 
৪. তাদের প্রতিপালকের নিদর্শনসমূহের মধ্যে এমন একটি নিদর্শনও নেই, যা তাদের কাছে আসার পর তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি।
4. But never did a single one of the signs of their Lord reach them, but they turned away therefrom.
٥ فَقَدْ كَذَّبُوْا بِالْحَقِّ لَمَّا جَاءَهُمْ ۖ فَسَوْفَ يَاْتِيْهِمْ اَنبَاءُ مَا كَانُوْا بِهِ يَسْتَهْزِئُوْنَ 
৫. তাদের কাছে যতবারই (আমার পক্ষ থেকে) সত্য (দ্বীন) এসেছে ততবারই তারা তা অস্বীকার করেছে, অচিরেই তাদের কাছে সে সংবাদগুলো এসে উপস্থিত হবে যা নিয়ে তারা হাসি-তামাশা করছিলো।
5. And now they reject the truth when it reaches them; but soon shall come to them the news of what they used to mock at.
৬. তারা কি দেখেনি, তাদের আগে আমি এমন বহু জাতিকে বিনাশ করে দিয়েছি যাদের আমি পৃথিবীতে এমনভাবে প্রতিষ্ঠা দান করেছিলাম, যা তোমাদেরও করিনি। আকাশ থেকে তাদের ওপর আমি প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করেছি, আবার যাদের (মাটির) নীচ থেকে আমি র্ঝণাধারা প্রবাহিত করে দিয়েছি, অতঃপর পাপের জন্যে আমি তাদের (চিরতরে) ধ্বংস করে দিয়েছি, আর তাদের পর (তাদের জায়গায় আবার) আমি এক নতুন জাতির উত্থান ঘটিয়েছি।
7. See they not how many of those before them we did destroy?- Generations We had established on the earth, in strength such as We have not given to you for whom We poured out rain from the skies in abundance, and gave streams flowing beneath their (feet); yet for their sins We destroyed them, and raised in their wake fresh generations (to succeed them).
৭. (হে নবী!) আমি যদি আপনার কাছে কাগজে লেখা কোনো কিতাব অবতীর্ণ করতাম এবং তারা যদি তাদের হাত দিয়ে তা স্পর্শও করতো, তবুও কাফেররা বলতো, এটা তো সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত আর কিছুই নয়!
7. If We had sent unto thee a written (Message) on parchment, so that they could touch it with their hands, the Unbelievers would have been sure to say: This is nothing but obvious magic!"
৮. তারা বলে, এ (নবী)-র প্রতি কোনো ফেরেশতা অবতীর্ণ করা হলো না কেন (যে তার সত্যতা সম্পর্কে আমাদের বলে দিতো)? যদি সত্যিই আমি কোনো ফেরেশতা পাঠিয়ে দিতাম তাহলে (তাদের) ফয়সালা (তো তখনি) হয়ে যেতো, এরপর তো আর কোনো অবকাশই তাদেরকে দেয়া হতো না।
8. They say: "Why is not an angel sent down to him?" If We did send down an angel, the matter would be settled at once, and no respite would be granted them.
৯. (তা ছাড়া) আমি যদি (সত্যিই) ফেরেশতা পাঠাতাম, তাকেও তো মানুষের আকৃতিতেই পাঠাতাম, তখনও তো তারা এমনিভাবে আজকের মতো সন্দেহেই নিমজ্জিত থাকতো।
9. If We had made it an angel, We should have sent him as a man. And We should certainly have caused them confusion in a matter which they have already covered with confusion.
১০. (হে রাসূল!) আপনার আগেও বহু নবী-রাসূলকে এভাবে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা হয়েছিলো, (অনন্তর) তাদের মধ্যে যারা নবীর সাথে যে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করেছে তাই (তাদের শাস্তির আকারে) পরিবেষ্টন করে ফেলেছে!
10. Mocked were (many) Messengers before thee; but their scoffers were hemmed in by the thing that they mocked.
১১. (হে নবী!) আপনি তাদের বলুন, তোমরা এ পৃথিবীতে ঘুরে-ফিরে দেখো, দেখো যারা (নবী-রাসুলদের) মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তাদের কী (ভয়াবহ) পরিণাম হয়েছে।
11. Say: "Travel through the earth and see what was the end of those who rejected Truth."
১২. (হে নবী!) আপনি তাদের জিজ্ঞেস করুন, আসমানসমূহ ও যমীনে যা আছে তা কার? আপনি বলুন, (এর সবকিছুই) আল্লাহ পাকের জন্যে; (মানুষদের ওপর) দয়া করাটা তিনি তাঁর নিজের ওপর (কর্তব্য বলে) স্থির করে নিয়েছেন। কেয়ামতের দিন তিনি তোমাদের অবশ্যই জড়ো করবেন, এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই; (সত্য অস্বীকার করে) যারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি সাধন করেছে, তারা (এমন একটি দিনের আগমনকে কখনো) বিশ্বাস করে না।
১৩. রাত ও দিনের মাঝে যা কিচু স্থিতি লাভ করছে তার সমস্ত কিচুই তাঁর জন্যে; তিনি (এদের সবার কথা) শোনেন এবং (সবার অবস্থা) দেখেন।
১৪. (হে নবী!) আপনি বলুন, আমি কিভাবে আসমাসমূহ ও যমীনের প্রবু আল্লাহ পাককে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নিজের পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে নেবো, অথচ তিনিই (সৃষ্টিলোকের সবাইকে) আহার যোগান, তাঁকে কোনো রকমের আহার যোগানো যায় না; আপনি বলুন, আমাকে আদেশ দেয়া হয়েছে, যেন সবার আগে আমি মুসলমান হয়ে যাই এবং (আমাকে এ মর্মে আরো) আদেশ দেয়া হয়েছে, 'তুমি কখনো মুশরিকদের দলে শামিল হয়ো না।
১৫. (আপনি আরো) বলুন, আমি যদি আমার প্রভুর কথা না শুনি, তাহলে আমি এক মহাদিবসের শাস্তি (আমার ওপর আপতিত হওয়ার) ভয় করি।
১৬. সে (কেয়ামতের) দিন যাকে তা (শাস্তি) তেকে রেহাই দেয়া হবে, তার ওপর (নিঃসন্দেহে) আল্লাহ পাক দয়া করবেন, আর এটিই (হবে সেদিনের) সুস্পষ্ট সাফল্য।
১৭. (জেনে রাখুন!) যদি আল্লাহ পাক আপনাকে কোনো দুঃখ পৌছাতে চান তাহলে তিনি ব্যতীত আর কেউই (আপনার থেকে) তা দূর করতে পারবে না; অন্যদিতে তিনি যদি আপনার কোনো উপকার করেন, তাহলে (কেউ তাতে বাধাও দিতে পারে না) তিনি সব কিছুর ওপর একক ক্ষমতাবান!
১৮. তিনি তাঁর বান্দাদের ওপর একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী; তিনি মহাজ্ঞানী, তিনি সম্যক জ্ঞাত।
১৯. আপনি (তাদের) বলুন, সাক্ষী হিসেবে কার সাক্ষ্য সবচয়ে বেশী বড়? আপনি বলুন, (ঞ্যাঁ) একমাত্র আল্লাহ পাকের, যিনি তোমাদের এবং আমার মাঝে (সর্বোত্তম) সাক্ষী হয়ে তাকবেন। এ কোরআন (তাঁর কাচ থেকেই) আমার কাছে অবতীর্ণ হয়েছে, যেন তা দিয়ে তোমাদের এবং (তোমাদের পর) যাদের কাছে এ গ্রন্থ পৌছবে (তাদের সকলকে) আমি (শাস্তির) ভয় দেখাই; তোমরা কি (সত্যিই) একথার সাক্ষ্য দিতে পারবে যে, আল্লাহর সাথে আর কোনো ইলাহ রয়েছে? (হে নবী!) আপনি (তাদের) জানিয়ে দিন, আমি (জেনে-বুঝে) কখনো এ ধরনের (মিথ্যা) সাক্ষ্য দিতে পারবো না, আপনি বলুন, তিনি তো একক, তোমরা (আল্লাহ পাকের সাতে) যে শেরেক করে যাচ্ছো, তার থেকে আমি সম্পূর্ণ মুক্ত।
২০. (আপনার আগে) যাদের আমি কিতাব দান করেছি তারা নবীকে ঠিক সেবাবেই চেনে, যেভাবে চেনে তারা তাদের আপন চেলেদের, কিন্তু যারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি সাধন করেছে তার াতো (কখনো) ঈমান আনবে না।
২১. তার চাইতে বড় অত্যাচারী আর কে আছে, যে স্বয়ং আল্লাহ পাক সম্পর্কে কোনো মিথ্যা কথা রচনা করে কিংবা তাঁর কোনো আয়াতকে অস্বীকার করে, এ (ধরনের) অত্যাচারীরা কখনো সাফল্য লাভ করতে পারবে না।
২২. একদিন আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করবো, অতঃপর মুশরিকদের আমি বলবো, তারা সবাই আজ কোথায় যাদের তোমরা ৯দুনিয়ার জীবনে) আমার সাথে শরীক মনে করতে!
২৩. অতঃপর তাদের (সেদিন) একথা (বলা) ব্যতীত কোনো যক্তিই থাকবে না যে, আল্লাহ পাকের শপথ, যিনি আমাদের প্রবু, আমরা কখনো মুশরিক ছিলাম না।
২৪. (হে নবী!) আপনি চেয়ে দেকুন, কিবাবে (আজ) লোকগুলো (শাস্তি তেকে বাঁচার জন্যে) নিজেরাই নিজেদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে এবং (এও দেখো) তাদের মনিজেদের রচনা করা মিত্যা (কিবাবে আজ) নিস্ফল হয়ে যাচ্ছে!
২৫. তাদের মধ্যে এমন কিচু লোকও আছে যে (বাহ্যিক দৃষ্টিতে মনে হয়) আপনার কথা সে কান দিয়ে মুনছে, (কিন্তু আসলে) আমি তাদের মনের ওপর পর্দা ঢেলে দিয়েছি, যার জন্যে তারা কিছুই উপলব্ধি করতে পারে না, আমি  তাদের কানেও চিপি এটে দিয়েছি; (মূলত) তারা যদি (আল্লাহর) সব নিদর্শন দেখেও নেনয়, তবু তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে না, এমনকি তারা যখন আপনার সামনে আসবে তখন আপনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হবে, (কোরআনের আয়াত সম্পর্কে) কাফেররা বলবে, এতা পুরনো দিনের গল্পকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।
২৬. তারা (যেন) নিজেদের তা (শোনা) থেকে বিরত রাখে, (তেমনি) অন্যদেরও তা থেকে দূরে রাখে, (মূলত এ আচরণে) তারা নিজেদেরই ধ্বংস সাধন করছে, কিন্তু তারা কোনো সংবাদই রাখে না।
২৭. আপনি যদি (সিত্যই তাদের) দেখতে পেতেন, যখন এি (হতভাগ্য) ব্যক্তিদের (জ্বলন্ত) আগুনের পাশে এনে দাঁড় করানো হবে, তখন তারা (চীৎকার করে) বলবে, হায়! যদি আমাদের আবার (দুনিয়ায়) ফেরত পাঠানো হতো, তাহলে আমরা (আর কখনো) আমাদের প্রভুর আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতাম না এবং আমরা (অবম্যই) ঈমানদার লোকদের দলে শামিল হয়ে যেতাম।
২৮. এর আগে যা কিছু তারা গোপন করে আসছিলো (আজ) তা তাদের সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেরা; (আসলে) যদি তাদের আবার দুনিয়ায় ফেরত পাঠানোও হয়, তবু তারা তাই করে বেড়াবে যা থেকে তাদের নিষেধ করা হয়েছিলো, তারা (আসলেই) মিথ্যাবাদী।
২৯. (এ) লোকগুলো আরও বলে, আমাদের এ পার্থিব জীবনই হচ্ছে একমাত্র জীবন, আমরা কখনোই পুনরুর্জীবিত হবো না।
৩০. হায়! তুমি যদি সত্যিই (সে দৃশ্য) দেখতে পেতে যখন তাদেরকে তাদের প্রভুর সামনে দাঁড় করানো হবে এবং তিনি তাদের জিজ্ঞেস করবেন (আজ বলো), এ দিনটি কি সত্য নয়? তারা বলবে, হ্যাঁ, আমাদের প্রভুর কসম (এটা সত্য); তিনি বলবেন, তাহলে (আজ) সে (কঠিন) শাস্তি ভোগ করো, যাকে তোমরা সব সময় অবিশ্বাস করতে।
৩১. অবশ্যই তারা (ভীষণভাবে) ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে, যারা মহান আল্লাহর সামনা সামনি হওয়াকে মিথ্যা বলেছে; আর একদিন যখন (সত্যি সত্যিই) কেয়ামতের ঘন্টা হঠাৎ করে তাদের সামনে এসে উপস্থিত হবে, তখন তারা বরবে, হায় আফসো, (দুনিয়ায়) এ দিনটিকে আমরা কতোই না অবহেলা করেছি, সেদিন তারা নিজেদের পপের বোঝা নিজেদের ফিঠেই বয়ে বেড়াবে; কতো (বারীও) নিকৃষ্ট বোঝা হবে সেটি!
৩২. আর (এ) বৈষয়িক জীবন, এ তো নিছক কিছু খেল-তামামা ব্যতীত আর কিছুই নয়; (মূলত) পরকালের বাড়িঘরই তাদের জন্যে উৎকৃষ্ট যারা আল্লাহ পাককে ভয় করে; তোমরা কি (মোটেই) অনুধাবন করো না?
৩৩. (হে রাসূল)! আমি জানি, এ লোকগুলো যেসব কথাবৃর্তা বলে, তা আপনাকে (বড়ই) পীড়া দেয়, কিন্তু আপনি কি জানেন, এরা (এসব বলে শুধু) আপনাকেই মিথ্যা সাব্যস্ত করছে না; বরং এ অত্যাচারীরা (এর মাধ্যমে) আল্লাহ পাকের আয়াতকেই অস্বীকার করছে।
৩৪. আপনার আগেও (এভাবে) বহু (নবী) রাসূলকে মিথ্যাবাদী সাব্রস্ত করা হয়েচিলো, কিন্তু তাদের মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করা ও (নানার রকম) নির্যাতন চালাবার পরও তারা (কঠোর) দৈর্যদারণ করেছে, শেষ পর্যন্ত তাদের নিকট আমার (পক্ষ থেকে) সাহায্য এসে উপস্থিত হয়েছে। আসলে আল্লাহর কথার রদবদলকারী কেউ নেই, তদুপরি নবীদের ৯এ সব) সংবাদ তো আপনার কাছে (আগেই) এসে পৌছেছে।
৩৫. (তারপরও) যদি তাদের এ উপেক্ষা আপনার নিকট কষ্টকর মনে হয়, তাহলে আপনার সাধ্য থাকলে আপনি (পালানের জন্যে) ভূগর্তে কোনো সুড়ংগ কিংবা আসমানে সিড়ি তালাশ করুন, (পারলে সেকানে চলে যান) এবঙ (সেখান থেকে) তাদের জন্যে কেনো কিছু একটা নিদর্শন নিয়ে আসুন: (আসলে) আল্লাহ পাক যদি চাইতেন, তিনি তাদের সবাইকে হেদায়াতের ওপর জড়ো করে দিতে পারতেন, আপনি কখনো মূর্খ লোকদের দলে শামিল হবেন না।
৩৬. যারা (এ কথাগুলো যথাযথভাবে) শোনে, তারা অবম্যই (আল্লাহর) ডাকে সাড়া দেয় এবং যারা মরে গেছে আল্লাহ পাক এদের সবাইকেও কবর থেকে উঠিয়ে (জড়ো করে) নেবেন, অতঃপর (মহা বিচারের জন্যে) তার সবাই তাঁর সামনে প্রত্যাবর্তিত হবে।
৩৭. এরা বলে, (নবীর) ওপর তার প্রবুর পক্ষ থেকে (আমাদের থামতো) কোনো নিদর্শন অবতীর্ণ করা হয়নি কেন? (হে রাসূল) আপনি তাদের বলুন, অবশ্যই আল্লাহ পাক (সব ধরনের) নিদর্শন পাঠানোর ক্ষমতা রাখেন, কিন্তু এদের অধিকাংশ লোকই তো কিচু জানে না।
৩৮. যমীনের বুকে বিচরণশীল যে কোনো জন্তু কিংবা বাতাসের বুকে নিজ ডানা দুটি দিয়ে উড়ে চলা যে কোনো পাখীই (তোমার দেখো না কেন) এগুলো সবই তোমাদের মতো (আল্লাহ পাকের সৃষ্টি); আমি (আমার) গ্রন্থে বর্ণনা বিশ্লেষণে কোনো কিচুই বাকী রাখিনি, অতঃপর এদের সবাইকে (একদিন) তাদের প্রবুর কাছে ফিরে যেতে হবে।
৩৯. যারা আমার আয়াতকে মিথ্যা সাব্যস্ত করে, তারা ৯হেদায়াতের ব্যাপারে) বধির ও মূক, তারা অন্ধকারে পড়ে আছে; আল্লাহ পাক যাকে চান তাকে গোমরা করে দেন; আবার যাকে চান তাকে সঠিক পথের ওপর স্থাপন করেন।
৪০. আপনি বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছো, যখন তোমাদের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে (বড় ধরনের) কোনো মাস্তি আসবে, কিংবা হঠাৎ করে কেয়ামত এসে উপস্থিত হবে, তখন তোমরা কি আল্লহ পাক চাড়া আর কাউকে ডাকবে? (বলুন) যদি তোমরা সত্যবাদী হও!
৪১. বরং তোমরা (তে সেদিন) শুধু তাঁকেই ডাকবে, তোমরা যে জন্যে তাঁকে ডাকবে তিনি চাইলে তা দূর করে দেবেন (এবং) যাদের তোমরা আল্লাহ পাকের সাথে অংশীদার বানাতে, তাদের সবাইকেই (তখন) তোমরা ভূলে যাবে।
৪২. তোমরা আগের জাতিসমূহের কাছেও আমি আমার রাসূল পাঠিয়েছিলাম, তাদেরকেও আমি দুঃখ কষ্ট ও বিপর্যয়ে(-র জালে) আটকে রেখেছিলাম, যাকে করে তারা বিনয়ের সাথে নতি স্বীকার করে।
৪৩. কিন্তু সত্যিই যখন তাদের ওপর আমার বিপর্যয় এসে আপতিত হলো, তখনও তারা কেন বিনীত হলো না, অধিকন্তু তাদের মন এতে আরো শক্ত হয়ে গেরা এবং তারা যা করে যাচ্ছিলো, শয়তান তাদের কাছে তা শোভনীয় করে তুলে ধরলো।
৪৪. অতঃপর তারা সেসব কিচুই ভুলে গেলো, যা তাদেরকে (বার বার )মনে করানো হয়েচিলো; তারপরও আমি তাদের ওপর (সচ্ছলাতর) ব ক/যটি দরজাই খুলেছিলাম; শেষ পর্যন্ত যখন তারা তাতেই মত্ত হয়ে গেরা যা তাদের দেয়া হয়েছিল, তখন আমি তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করে নিলাম, ফলে তারা নিরাশ হয়ে পড়লো।
৪৫. (এভাবেই) যাচাই (আল্লাহ পাকের ব্যাপারে) অত্যাচার করেছে, তাদেরই মূলোচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে; আর সকল প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্যেই, যিনি সৃষ্টিকুলের প্রভু।
৪৬. (হে রাসূল, তাদের) আপনি বলুন, তোমরা কি একথা বেবে দেখেচো, যদি আল্লাহ পাক কখনো তোমাদের শোনার ও দেকার ক্ষমতা কেড়ে নেন এবং তোমাদের অন্তসমূহের ওপর মোহর মেরে দেন, তবে আল্লাহ পাক ব্যতীত তোমাদের দ্বিতীয় কোনো মা
বুদ আছে কি, যে তোমাদের এসব কিছু ফিরিয়ে দিতে পারবে; লক্ষ্য করো, কিবাবে আমার আয়াতসমূহ আমি খুলে খুলে বর্ণনা করছি, এতদসত্ত্বেও তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
৪৭. আপনি বলুন, তোমরা চিন্তা করে দেখেছো কি, যদি কখনো অকস্মাৎ (গোপনে) কিংবা প্রকাশ্যবাবে আল্লাহর শাস্তি েতোমাদের ওপর আপতিত হয়, (তাতে) কতিপয় অত্যচারী সম্প্রদায়ের লোক ব্যতীত অন্য কাউকে ধ্বংস করা হবে কি?
৪৮. আমি তো রাসূলদের (জান্নাতের) সুসংবাদবাহী ও (দোযখের) সতর্ককারী ব্যতী অন্য কোনো হিসেবে পাঠাই না,অতঃপর যে ব্যক্তি (রাসুলদের ওপর) ঈমান আনবে এবং (তাদের কথা মতো) নিজেকে সংশোধন করে নেবে, এমন লোকদের (আখিরাতে) কোনো বয় নেই এবং তাদের(সেদনি) কোনো রকম চিন্তিত হতে হবে না।
৪৯. (অন্যদিকে) যারা আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, তাদের এই নাফরমানীর কারণে আমার শাস্তি তাদের ঘিরে ধরবে।
৫০. (হে মুহাম্মদ!) আপনি বলুন, আমি তো তোাদের (একথা) বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহ পাকের বিপুল ধনভাঙ্গার রয়েছে, আর না (একথা বলি যে,) আমি গায়বের কোনো সংবাদ রাখি! আর একথাও বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা, (আসলে) আমি তো সেই ওহীরই অনুসরণ করি যা আমার ওপর অবতীর্ণ হয়, আপনি বলুন, অন্ধ আর চক্ষুম্মান ব্যক্তি কি(কখনো) এক হতে পারে? তোমরা কি মোটেই চিন্তাভাবনা করো না?
৫১. (হে মুহাম্মদ!) আপনি সে (কিতাবের) মাধ্যমে সে সমস্ত লোককে পরকালের (শাস্তির) ব্যাপারে সাবধান করে দেন, যারা এ ভয় করে যে, তাদেরকে (একদিন) তাদের প্রভুর সামনে একত্র করা হবে, (সেদিন) তাদের জন্যে তিনি ব্যতীত কোনো সাহায্যকারী বন্ধু কিংবা কোনো সুপারিশকরাী থাকবে না, আশা করা যায় (এতে করে) তারা সাবধান হবে।
৫২. যারা সকাল-সন্ধ্যায় তাদের প্রভুকেই ডাকে, তাঁরই সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদের আপনি (কখনো আপনার কাছ থেকে) সরিয়ে দেবেন না,(কারণ) তাদের কাজকর্মের (জবাবহিদিতার) দায়িত্ব ৯যেমন) আপনার ওপর কিচুই নেই, (তেমনি) আপনার কাজকর্মেরি হিসাব-কিতাবের কোনো রকম দায়িত্বও তাদের ওপর নেই, (তারপরও) যদি আপনি তাদেরকে আপনার নিকট থেকে দূরে সরিয়ে দেন, তাহলে আপনিও বাড়াবাড়ি করা লোকদের দলে শামিল হয়ে যাবেন।
৫৩. আর আমি এভাবেই তাদের একদল দ্বারা অপর দলের পরীক্ষা নিয়েছি, যেন তারা (একদল) একথা বলতে পারে যে, এরাই কি হচ্ছে আমাদের মাঝে সে দলের লোক, যাদের ওপর আল্লাহ পাক দয়া করেছেন; আল্লাহ পাক কি (হাঁর) কৃতজ্ঞ বান্দাহদের ভালো করে জানেন না।
৫৪. যারা আমার আয়াতসমূহের ওপর ঈমান এনেছে তারা যখন আপনার কাছে আসবে, তখন আপনি তাদের বলবেন, (আল্লাহ পারেক পক্ষ থেকে তোমাদের ওপর) শান্তি বর্ষিত হোক-তোমাদের ওপর দয়া করাটা তোমাদের প্রভু নিজের কর্তব্য বলে স্থির করে নিয়েছেন; তবে তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কখনো অজ্ঞতাবশত কোনো অন্যায় কাজ করে বসে এবং রক্ষণেই তাওবা করে ও (নিজের জীবন) শুধরে নেয়, তাহলে আল্লাহ পাক (তাকে মাফ করে দেবেন, তিনি) একান্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
৫৫. আর এভরবেই আমি আমার আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করি, যাতে অপরাধীদের পথ পরিস্কার হয়ে যায়।
৫৬. (হে মুহাম্মদ!) আপনি (তাদের) বলে দিন, ৯এক) আল্লাহ পাককে বাদ দিয়ে তোমরা আর যাদের গোলামী করছো, আমাকে তাদের গোলামী করতে নিষেধ করা হয়েছে; আপনি (তাদের এও) বলে দিন, আমি কখনো তোমাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করি না, (তেমনিটি করলে) আমি নিঃসন্দেহে গোমরাহ হয়ে যাবো এবং আমি আর সত্যের অনুসরণকারী দলের সাথে থাকবো না।
৫৭. আপনি বলুন, আমি অবশ্যই আমার প্রভুর এক উজ্জ্বল দলীল প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত আছি এবঙ তাই তিমরা অস্বীকার করছো; (এ অস্বীকার করার পরিণাম) যা তোমরা দ্রুত (দেখতে) চাও তা (ঘটানের ক্ষমাত) আমার নিকট নেইং (সব কিছুর) চূড়ান্ত ক্ষমতা তো কেবলমাত্র আল্লাহ পাকের হাতেই রয়েছে; (আর এ মহা) সত্যটিই তিনি (তোমাদের কাছে) বর্ণনা করছেন, তিনিই হচ্ছেন উত্তম ফয়সালাকারী।
৫৮. আপনি বলুন, (শাস্তির) যে বিষয়টার জন্যে তোমরা তাড়াহুড়ো করছো, তা (ঘটানো) যদি আমার ক্ষমতার মধ্যে থাকতো, তাহলে তোমাদের ও আমার মধ্যকার অয়সালা (অনেক আগেই) হয়ে যেতো! অত্যাচারীদের (সাথে কি আচরণ করা উচিত তা) আল্লাহ পাক ভালো করেই জানেন।
৫৯. গায়বের চাবিগুলো সব তাঁর হাতেই নিবদ্ধ রয়েছে, সেই (অদৃশ্য) সংবাদ তো তিনি ছাড়া আর কারোই জানা নেই; জলে-স্থলে (যেখানে) যা কিছু আছে তা শুদু তিনিই জানেন; (এই সৃষ্টিরাজির মধ্যে) একটি পাতা কোথাও ঝড়ে না যার (খবর) তিনি ব্যতীত অন্য কেউই জানে না, মাটির অন্ধকারে একটি শস্যকণাও নেই-নেই কোনো তাজা সবুজ, (কিংবা ক্ষয়িষ্ণু) শুকনো (কিছু), যার (পুর্ণাঙ্গ) বর্ণনা একটি সুস্পষ্ট গ্রন্থে মজুদ নেই।
৬০. তিনিই মহান সত্ত্বা, যিনি রাতের বেলা তোমাকে মৃত (মানুষের মতো) করে ফেলেন, আবার দিনের বেলায় তোমরা যা কিছু (যমীনের বুকে) কে রবেড়াও, তাও তিনি (পুঙ্খানুপুঙ্খ) জানেন, পরিমেষে সেখানে তিনি তোমাদের (মৃতসম অবস্থা থেকে) আবার (জীবনের অবস্থায়) ফিরিয়ে আনেন, যাতে করে তোমাদের নির্দিষ্ট সময়কালটি এভাবে পূর্ণতা প্রাপ্ত হতে পারে, (আর এ মেয়াদ পূরণ করার পর) তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তন (একদিন) তাঁর দিকেই (সংঘটিত) হবে, এরপর তিনি তোমাদের (পুংকানুপুখ) বলে দেবেন তোমরা (দুনিয়ায়) কী কাজ করছিলে।
৬১. আল্লাহ পাক নিজ বান্দাদের (সমস্ত বিষয়ের) ওপর পূর্ণ মাত্রায় কর্তৃত্বশীল, (এ জন্যেই) তিনি তোমাদের ওপর পাহারাদার (ফেরেশতা) নিযুক্ত করেন; এমনিকি (দেখতে দেখতে) তোমাদের কারো যখন মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়, তখন প্রেরিত ফেরেশতারা তার (জীবনের) সমাপ্তি গটিয়ে দেয়, (দায়িত্ব পালনে ফেরেশতারা) কখনো কোনো ভুল করে না।
৬২. অতঃপর তাদের সবাইকে বিচারের জন্যে তাদের আসল প্রভুর সামনে ফিরিয়ে নেয়া হবে; হুশিয়ার ৯থেকো, কারণ), যাবতীয় ক্ষমতার ও কর্তৃত্ব কিন্তু একা তাঁর এবং ত্বরিৎ হিসাব গ্রহণে তিনি অত্যন্ত তৎপর।
৬৩. আপনি (তাদের বলুন, যখন তোমরা স্থবুমে ও সমুদ্রের অন্ধকারে ৯বিপদে) পড়ে, (যখন) তোমরা কাতর কন্ঠে এবঙ নীরবে তাঁকেই ডাকতে থাকো, তখন(কে) তোমাদের (সেসব থেকে) উদ্ধার করে? (কাকে তোমরা তখন) বলে (হে প্রভু!) আমাদের যদি আপনি এ তকে বাঁচিয়ে দিন তাহলে আমরা আপনার কৃতজ্ঞ বান্দাদের দলে শামিল হয়ে যাবে।
৬৪. আপনি বলে দিন, হ্যাঁ, আল্লাহ পাকই (তখন) তোমাদের সে (অবস্থা) থেকে এবং অন্যান্য যাবতীয় বিপদ আপন থেকে বাঁচিয়ে দেন, তারপরও তোমরা তাঁর সাথে অন্যদের শরীক করো!
৬৫. আপনি (আরো) বলুন, আল্লাহ পাক তোমাদের উপর থেকে কিংবা তোমাদের পায়ের নীচ থেকে শাস্তি পাঠাতে সক্ষম, অথবা তিনি তোমাদেরকে দল-উপদলে ভাগ করে একদলকে আরেক দলের সংঘর্ষের স্বাদগ্রহণ করাতেও সম্পূর্ণরুপে সক্ষম; লক্ষ্য করো, কিবাবে আমি আমার আয়াতসমূহ (তাদের কাছে) বর্ণনা করি, যাতে করে তারা (সত্য) অনুধাবন করতে পারে।
৬৬. আপনার জাতির লোকেরা এ (কোরআন)-কে অস্বীকার করেছে, কিন্তু তাই একমাত্র সত্য; আপনি (তাদেরকে এটুকুই) বলে দিন যে, আমি তোামাদের ওপর কর্মবিধায়ক নাই।
৬৭. প্রতিটি বার্তার (প্রমাণের) জন্যে একটি সুনির্দষ্ট দিনক্ষণ নির্দিষ্ট রয়েছে এবং তোমরা অচিরেই (তা) জানতে পারবে।
৬৮. আপনি যখন এমন সব লোককে দেকতে পান যারা আমার আয়াতসমূহ  নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে, তখন আপনি তাদের নিকট থেকে সরে আসুন, যতক্ষণ না তারা অন্য কথার দিকে মনোনিবেশ করে; যদি কখনো শয়তান আপনাকে বুলিয়ে (ওখানে বসিয়ে) রাখে, তাহলে মনে পড়ার পর আপনি অত্যাচারী জাতির সাথে আর বসে থাকবেন না।
৬৯. তাদের (এসব) কার্যকলাপের ব্যাপারে আল্লাহ পাককে যারা বয় করে, তাদের ওপর হিসাবের কোনো দায়দায়িত্ব নেই, তবে উপদেশ তো দিয়েই যেতে হবে, হতে পারে তারা আল্লাহ পাককে ভয় করবে।
৭০. সেসব লোকদেরকে আপনি (আল্লাহর বিচারের জন্যে) চেড়ে দিন, যারা তাদের দ্বীনকে নিছক কেল-তামাশায় পরিণত করে রেখেছে এবং এ পার্থিব জীবন যাদেরকে প্রতারণায় জালে আটকে রেখেছে, আপনি এ (কোরআন) দিয়ে (তাদেরকে আমার কথা) মনে করাতে থাকুন, যাতে করে কেউ নিজের অর্জিত কর্মকান্ডের ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে না পারে, (মহাবিচারের দিন) তার জন্যে আল্লাহ পাক ব্যতীত কোনো সাহায্যকারী বন্দু এবং সুপারিশকারী থাকবে না। সে যদি নিজের সব কিচু দিয়েও দেয়, তবু তার নিকট তেকে (সেদিন তা) গ্রহণ করা হবে না; এরাই হচ্ছে সে (হতভাগ্য) মানুষ, যাদের নিজেদের অর্িঝিত গুনাহের কারণে তাদের ধ্বংস করে দেয়া হবে, মহান আল্লাহকে অস্বীকার করার কারণে তাদের জন্যে (আরো থাকবে) ফুটন্ত পানি ও মর্মন্তুদ শাস্তি।
৭১. আপনি (তাদের) বলুন, আমরা কি আল্লাহ পাককে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকবো, যে-না আমাদের কোনো উপকার করতে পারে, আর না আমাদের কোনো অপকার করতে পারে, আল্লাহ পাক যেকানে আমাদের (চলার জন্যে) সঠিক পথ বাতলে দিয়েছেন, সেখানে তাঁকে বাদ দিয়ে আমরা কি আবার উল্টো পথে ফিরে যাবো-ঠিক সে ব্যকিটিটির মতো, যাকে শয়তাননা যমীনের বুকে পথব্রষ্ট করে দ্বারে দ্বারে ঠোকর খাওয়াচ্ছে, কিন্তু তার সাথীরা তাকে ডাকছে, আপনি আমাদের কাছে আসুন, আমাদের কাছে (মজুদ আল্লাহ পাকের ) সহজ সরল পথের দিকে! আপনি বলে দিন, সত্যিকার অর্থে হেদায়াত তো তাই; যা মহান আল্লাহর (পক্ষ তেকে এসেছে) এবং আমাদের এ আদেশ দেয়া হয়েছে যেন আমরা সৃষ্টিকুলের প্রবুর সামনে আনুগত্যের মাথা নত করি
৭২. আমরা যেন নামায প্রতিষ্ঠা করি এবং আল্লাহ পাককেই ভয় করি, (কারণ) তিনিই হচ্ছেন এমন সত্ত্বা, যাঁর সামনে (একদিন) তোমাদের সবাইকে উপস্থিত করা হবে।
৭৩. তিনিই যথাবিধি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন; যেদিন (আবার) তিনি বলবেন (সব কিছু বিলীন) হয়ে যাও, তখন (সাথে সাথেই) তা (বিলীন) হয়ে যাবে, তাঁর কথাই হচ্ছে চূড়ান্ত সত্য, যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে (সেদিন) সমস্ত কর্তৃত্ব ও বাদশাহী হবে একান্তই তাঁর; তিনি দৃম্য-অদ্রশ্য সব কিচু সম্পকেইর্ সম্যক অবগত রয়েছেন; তিনি প্রজ্ঞাময়, তিনি সম্যক অবগত।
৭৪. (মনে করো, ( যখন ইব্রাহীম তার পিতা আযরকে বললো, তুমি কি (সত্যি সত্যিই এই) মূর্তিগুলোকে মা'বুদ বানিয়ে নিয়েছো? আমি তো দেখতে পাচ্ছি, তুমি ও তোমার জাতির লোকেরা স্পষ্ট গোমরাহীতে নিমজ্জিত রযেছো।
৭৫. এভাবে আমি ইব্রাহীমকে আকাশসূহ ও যমীনের সমস্ত পরিচলন ব্যবস্থা দেখাতে চেয়েছিলাম, যেন সে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের দলে শামিল হয়ে যেতে পারে।
৭৬. যখন তার ওপর অাঁধার চেয়ে রাত এলা, তখন সে একটি তারক াদেকতে পেলো, (তারকাটি দেখেই) সে বলে উঠলো, এ (বুঝি) আমার প্রভু, অতঃপর যখন তারকাটি ডুবে গেলো, তখন সে (কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে) বললো, যা ডুবে যায় তাকে তো আমি (আমার প্রবু বলে) পচন্দ করতে পারি না!
৭৭. (এবার) যখন সে (আকাশে) একটি ঝলমলে চাঁদ দেখলো, তখন বললো (হ্যাঁ), এই (মনে হয়) আমার প্রভু, অতঃপর এক পর্যায়ে যখন তাও ডুবে গেল তখন সে বলল, আমার 'রব' যদি আমাকে সঠিক পথ না দেখান, তাহলে আমি অবশ্যই গোমরাহ লোকদের দলে মামিল হয়ে যাবো।
৭৮. (এরপর দিনের বেলায়) সে যখন দেখলো একটি াালোকোজ্জ্বল সূর্য এবং (দেখেই) বলতে লাগলো, (মনে হচ্ছে) এই আমার প্রভু, (কারণ এ যাবত যা দেখেছি) এটা তার সবগুলোর চাইতে বড়, (সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে) তাও যখন ডুবে গেলো, তখন ইব্রাহীম ()নতুন বিশেএস বলীয়য়ান হয়ে) নিজের জাতিকে ডেকে বললো, হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা যে সব কিছুকে আল্লাহ পাকের সঙ্গে অংশীদার বানাও, আমি তা তেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।
৭৯. আমি নিষ্ঠার সাথে সেই মহান সার্বভৌম প্রবুর দিকেই আমার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি, ডিুনি এই আসমাসমূহ ও যমীন (সহ চাঁদ-সুরুজ-গ্রহ-তারা সব কিচু) পয়দা করেছেন, আমি (এখন) আর মুশরিকদের দলবূক্ত নই।
৮০. এর পরই) তার সম্প্রদায়ের লোকেরা তার সাথে (আল্লাহ পাকের ব্যাপারে) বির্তক শুরু করে দিলো; (উত্তরে) সে বললো, তোমরা কি আমার সাথে স্বয়ং (কুল মাখলুকাতের প্রভু) আল্লাহ পাকের ব্যাপারে তর্ক করছো, অথচ তিনিই আমাকে সঠিক পথের দিমা দিয়েছেন; আমি (এখন আর) তোমাদের (প্রভুকে) ভয় পাই না-যাদের তেমরা আল্লাহ পাকের (কাজে) অংশীদার (মনে) করো। অবশ্য আমার প্রভু যদি অন্য কিচু চান (সেটা ভিন্ন কথা); আমার প্রভুর জ্ঞান সব কিচুর ওপর পরিব্যাপ্ত; (এরপরও) কি তোমরা সাবধান হবে না?
৮১. তোমাদের যাকে আল্লাহ পাকের সাথে অংশীদার বানাও, তাকে আমি কিতাবে ভয় করবো, অথচ তোমরা আল্লাহ পাকের সাথে অন্যদের শরীক করতে ভয় পাও না, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক কোনো প্রামাণপত্র তোমাদের নিকট পাঠাননি; (এ অবস্থায় তোমরাই বলো) আমাদের এ উবয় দলের মধ্যেে াকন দলটি ৯দুনিয়া ও আখেরাতে) নিরাপত্তা লাবের বেশী অধিকারী? (বলো!) যদি তোমাদের কিচু জানা থাকে!
৮২. যারা ঈমান এনছে এবং যারা তাদের ঈমানকে অত্রাচারীর (কালিমা) দিয়ে কলুষিত করেনি, তারাই (হচ্ছে দুনিয়া ও আখেরাতে) নিরাপত্তা লাবের বেশী অধিকারী, (মূলত) তারাই হচ্ছে হেদায়াতপ্রাপ্ত)।
৮৩. এ চিলো ()শেরেক সম্পর্কিত) আমার সেই (অকাট্য) যুক্তি, যা আমি ইব্রাহীমকে তার জাতির ওপর দান করেছিলাম, (এবাবেই) আমি (আমার জ্ঞান দিয়ে) যাকে ইচ্ছা তাকে সমুন্ন করি; অবশ্যই তোমার প্রবু প্রবল প্রজ্ঞাময়, কুশলী।
৮৪. অতঃপর আমি তাকে দান করেছিলাম, (এভাবেই) আমি (আমার জ্ঞান দিয়ে) যাকে ইচ্ছা তাকে সমুন্নত করি; অবশ্যই তোমার প্রবু প্রবল প্রজ্ঞাময়, কুশলী।
৮৪. অতঃপর আমি তাকে দান করেছি ইসহাক ও ইয়াকু (এর মতো দুই জন সুপুত্র); এদের সবাইকেই আমি সঠিক পথের দিশা দিয়েছিলাম, (এদের ) আগে আমি নূহকেও হেদায়াতের পত দেখিয়েছি, অতঃপর তার বংশের মাঝে দাউদ, সোলায়মান, আইয়ুব, ইউসুফ, মুসা এবং হারুনকেও (আমি হেদায়াত দান করেছি); আর এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার দিয়ে থাকি।
৮৫. যাকারিয়া, ইয়াহইয়া, ঈসা এবঙ ইলয়াসকেও (আমি সঠিক পথ দেখিয়েছিলাম); এরা সবাই ছিলো নেককারদের দলভূক্ত।
৮৬. আমি (আরো সৎপথ দেখিয়েছিলাম) ইসমাঈল, ইয়াসা, ইউনুস এবং লুতকেও; এদের সাবইকেই আমি (নবুওত দিয়ে) সৃষ্টিকুলের ওপর বিশেষ সম্মান দান করেছিলাম।
৮৭. এদেরপূর্বপুরুষ, এদের পরবর্তী বংশধর ও এদের ভাই বন্ধুদেরও আমি (নানাভাবে পুরস্কৃত করেছিলাম), আমি এদেরকে বাছাই করে নিয়েছিলা এবং আামি এদের সবাইকে সরলল পথে পরিচালিত করেছিলাম।
৮৮. এ হচ্ছে মহান আল্লাহর হেদায়াত, নিজ বান্দাদের মাঝে যাকে চান তিনি তাকেই এ হেদায়াত দান করেন; ৯কিন্তু) দতারা যদি শেরেক করতো, তাহলে তাদের সমস্ত কর্ম অবম্যই নিস্ফল হয়ে যেতো।
৮৯. এরাই ছিলো সেসব লোক, যাদের আমি কিতাব, প্রজ্হা ও নবুওয়্যাত দান করেছি, (এ সত্ত্বেও আজ) যদি তারা তা অস্বীকার করে (তাতে আমার কোনোই ক্ষতি নেই(), আমি তো (অতীতে) এমন এক জাতির ওপর এ দায়িত্ব অর্পণ করেছিলাম, যারা কখনো ৯এগুলো) প্রত্যাখ্যান করেনি।
৯০. এরা হচ্ছে সে সব (সৌভাগ্যবান বান্দা) আল্লাহ পাক যাদের সৎপথে পরিচালিত করেছেন; অতএব (হে মুহাম্মদ!) আপনিও এদের পথের অনুসরণ করুন (এবং কাফেরদের) বলুন, আমি এর জন্য তোমাদের নিকট থেকে কোনো পারিশ্রমিক চাই না; (আসলে) এ হচ্ছে (দুনিয়ার) মানুষের জন্য একটি উপদেশ মাত্র।
৯১. তারা আল্লাহ পাককে তাঁর যথাযোগ্য সম্মান দান করেনি, (বিশেষ করে) যখন তারা বললো, আল্লাহ পাক কোনো মানুষের ওপর ৯গ্রন্থের) কোনো বস্তুই অবতীর্ণ করেননি; আপনি তাদের জিজ্ঞেস করুন, (যদি তাই হয় তাহলে) মূসার আনীত কিতাব-যা মানুষের জন্যে ছিলো এক আলোকবর্তিকা ও পথনির্দেশ, যা তোমরা কাগজের (পাতায়) লিখে রাখতে, যার কিছু অংশ তোমরা মানুষের সামনে প্রকাশ করতে এবং অধিকাংশই গোপন করে রাখতে, (সবেৃাপরি) সে কিতাব দ্বারা তোমাদের এমন সব জ্ঞান শিক্ষা দেয়া হতো , যার কিছুই তোমরা জানতে না এবঙ তোমাদের পূর্বপুরুষরাও জানতো না-তা কে অবতীর্ণ করেছেন? আপনি বলুন (হ্যাঁ) আল্লাহ পাকই (তা অবতীর্ণ করেছেন), েেহে নবী!) আপনি তাদেরকে (এসব) নিরর্থক আলোচনায় মত্ত থাকতে দিন।
৯২. এটি এক বরকতপূর্ণ গ্রন্থ, যা আমি (আপনার নিকট) পাঠিয়েছি, এটি আাগের কিতাবের পুরোপুরি সত্যায়ন করে এবং যাতে এ (কিতাব) দিয়ে আপনি মক্কা ও তার পার্শ্ববর্তী জনপদসমূহের মানুসকে সাবধান করবে; যারা আখেরাতের ওপর ঈমান আনে তারা এ কিতাবের ওপরও ঈমান আনে, আর তারা তাদের নামাযের হেফাযত করে।
৯৩. সে ব্যক্তির চাইতে বড়ো অত্যাচারী আর কে আছে যে আল্লাহ পাকের ওপর মিথ্যা আরোপ করে, অথবা বলে, আমার ওপর ওহী অবতীর্ণ হয়েছে, (যদিও) তার প্রতি কিছু্ অিবতীর্ণ করা হয়নি, (তার চাইতেই বা বড়ো অত্যাচারী কে), যে বলে, আমি অচিরেই আল্লাহর অবতীর্ণ করা গ্রন্থের মোত কিচু অবতীর্ণ করে দেখাবো! যদি (সত্যি সত্যিই) অত্যাচারীদের মৃত্যু-যন্ত্রণা (উপস্থিত) হবার সময় (তাদের অবস্থাটা) আপনি দেখতে পেতেন! যখন (মৃত্যুর) ফেরেশতারা তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, তোমাদের প্রাণবায়ু বের করে দাও; তোমরা আল্লাহ পাক সম্পর্কে যেসব অন্যায় কথা বলতে এবং আল্লাহর আয়াতের ব্রাপরে যে (ক্ষমাহীন) ৗদ্ধত্য প্রকাশ করতে, তার জন্যে আজ অত্যন্ত অবমাননাকর এক শাস্তি তোমাদের দেয়া হবে।
৯৪. (আজ সত্যি সত্যিই) তোমরা াামার সামনে (একাকী) নিঃসঙ্গ অবস্থায় এল, যেমনি নিঃসঙ্গ অবস্থায় আমি তোমাদের প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলা, তারপর তোমাদের আমি যা কিছু (ধন-সম্পদ) দান করেছিলাম, তার সবটুকুই তোমরা পেচনে ফেলে (একান্ত কালি হাতে এখানে) এসচো, তোমাদের সাথে তোমাদের সুপারিশকারী ব্যক্তিদের -যযাদের তোমরা মনে করতে তারা তোমাদের (কাজকর্মের) মাঝে অংশীদার, তাদের তো আজ তোামাদের মাঝে দেখতে পাচ্ছি না। বস্তুত তাদের এবং তোামাদের মধ্যকার সেই (মিথ্যা) সম্পর্ক আজ নিস্ফল (প্রমাণিত) হয়ে গেছে।
৯৫. নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক শস্যবীজ ও অাঁটিগুলো অঙ্কুরিত করেন, তিনিই নিজীর্ব (কিছু) থেকে জবিন্ত (কিছু) বের করে আনেন, (আবার) তিনিই জীবন্ত (কিছু) থেকে প্রাণহীন কিছু নির্গত করেন; এই (সৃষ্টি কৌশলের প্রভু) হচ্ছেন আল্লাহ পাক, (এরপরও) তোমরা কোথায় ফিরে যাচোছা (বল)!
৯৬. (রাতের অাঁধার ভেদ করে) তিনিই ঊষার উন্মেষ ঘটান, তিনি রাতকে তোমাদের বিম্রামের জন্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবঙ (দিন তারিখের) হিসাব কিতাবের জন্যে তিনিচাঁদ ও সুরুজ বানিয়েছেন, এসব কিছুই হচ্ছে মহাপরাক্রমশালী ও জ্ঞানী আল্লাহ পাকের নির্দারণ করা (বিষয়)।
৯৭. তিনি তোমাদের জন্যে (অসংখ্য) তারকা বানিয়ে রেখেছেন যেন তোমরা জলে-স্থলের অাঁধারে পথের দিশা পেতে পারো, যে জাতির লোকেরা (এ সব কিছু) জানে, তাদের জন্যে আমি আমার নিদর্শসমূহ খুলে খুলে বর্ণনা করেছি।
৯৮. তিনি তোমাদের মাত্র একটি ব্যক্তিসত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি (তোমাদের) থাকার জায়গা ও মালামাল রাখার জায়গা (বানালেন), জ্ঞানী লোকদের জন্যে আমি আমার নিদর্শনগুলো (এভাবেই) বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে থাকি।
৯৯. তিনি আসমান থেকে পানি(-র ধারা) অবতীর্ণ করেন, অতঃপর সে পানি দিয়ে আমি সব রকমের উদ্ভিদ (ও গাছপালা) জন্মানোর ব্যবস্থা করি, তা থেকে সবুজ শ্যামল পাতা উদগত করি, পরে তা থেকে পরস্পর জড়ানো ঘন শস্যদানাও সৃষ্টি করি ্এবং ফলের) ভারে নুয়ে পড়া খেজুরের গোচা বের করে আনি, আংগুরের উদ্যানমারা, জলপাই ও আনার সৃষ্টি করি, এগুরো একে অন্যের সদৃশ হয়, আবার (একটার সাথে) আরেকটার গরমিলও থাকে; গাছ যখন সুশোভিত হয় তখন (এক সময়) তা ফলবান হয়, আবার যখন ফলগুলো পাকতে শুরু করে, তখন তোমরা এই সৃষ্টি-ণেপুণ্যের দিকে তাকিয়ে থাকো; অবশ্যই এতে ঈমানদার লোকদের জন্রে বহু আলামত রয়েছে।
১০০. তারা জ্বিনকে আল্লাহর সাথে শারীক মনে করে, অথচ আল্লাহ পাকই জ্জিনদের পয়দা করেছেন, অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে তারা আল্লাহ পাকের ওপর পুত্র-কন্যা ধারণের অপবাদও আনয়ন করে, অথচ আল্লাহ পাক মহিমা্বিত, এরা যা বলে তিনি তার চেয়ে অনেক মহান ও পবিত্র।
১০১. তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের ৯একক) উদ্ভাবক। ৯এদের তুমি বলো), তাঁর সন্তান হবে কি ভাবে, তাঁর তো, জীবনসঙ্গিনীই নেই, সব কিচু তিনিই সৃষ্টি করেছেন এবং সব কিছু সম্পর্কে তিনি পুরোপুরিই জ্ঞাত রয়েছেন।
১০২. তিনিই আল্লাহ পাক-তোমাদের প্রভু, তিনি ব্যতীত অর কোনো ইলাহ নেই, সব কিচুর (একক) স্রষ্টা তিনি, সুতরাং তোমরা তাঁরই এবাদাত করো, সব কিচুর ওপর তিনি চূড়ান্ত তত্তাবধায়ক বটে।
১০৩. কোনো (সাধারণ) দৃষ্টি তাঁকে দেখতে পায় না, (অথচ) তিনি সব কিচুই দেখতে পান, িতিন সূক্ষ্মদর্শী, তিনি সব কিচু সম্পর্কেই খোঁজ-খবর রাখেন
১০৪. তোমাদের কাছে তোমাদের প্রভুর পক্ষ তেকে (এই) সূক্ষ্ম দৃষ্টিসম্পন্ন জ্ঞান (এর নিদর্শন) দেখতে পায়, তাহলে সে তা দেখবে তার নিজের (কল্যাণের) জন্যেই, আবার যদি কেউ (তা না দেখে) অন্ধ হয়ে থাকে, তাহলে তার দায়িত্ব তার ওপরই (বর্তাবে আপনি বলুন); আমি তোমাদের ওপর তত্ত্বাবধায়ক নই।
১০৫. আমি এবাবেই আমার আয়াতগুলো (তোমাদের নিকট) বিধৃত করি, যাতে করে তারা একথা বলতে পারে, আপনি (এসব কথা ভালো করেই) পড়ে এসেছেন এবং যারা জ্ঞানী তাদের জন্যে যেন আমি তাকে (আরো) সুস্পষ্ট করে দিতে পারি।
১০৬. (হে মুহাম্মদ!) আপনি শুধু তারই অনুসরণ করুন- যা আপনার প্রভুর নিকট থেকে আপনার কাছে অবতীর্ণ করা হয়েছে, আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কোনো মাবুদ নেই, (এরপরও) যারা শিরকে লিপ্ত, তাদের আপনি (পুরোপুরিই) এড়িয়ে চলুন।
১০৭. আল্লাহ পাক যদি চাইতেন, তাহলে এরা কেউই তাঁর সাথে শিরক করতো না; আর আমি (কিন্তু) তোমাকে তাদের ওপর পাহারাদার নিযুক্ত করে পাঠাইনি, (সত্যি কথা হচ্ছে) তুমি তো তাদের ওপর কোনো অভিভাবকও নও।
১০৮. তারা আল্লাহ পাকের পরিবর্তে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি-গালাজ করো না, নইলে শত্রুতার বশবর্তী হয়ে না জেনে আল্লাহ পাককেও তারা গালি দেবে; আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছেই তাদের নিজেদের কার্যকলাপ সুশোবন করে রেখেছি, অতঃপর  (সবাইকেই) তাদের প্রভুর কাছে ফিরে যেতে হবে, *তারপর) তিনি তাদের বলে দেবেন, তারা (দুনিয়ার জীবনে) কি করে এসছে।
১০৯. এরা মহান আল্লাহর নামে কঠিন শপথ করে বলে, যদি তাদের কাছে কোনো নিদর্শন আসে, তাহলে অবশ্যই তারা তার ওপর ঈমান আনবে; আপনি বলুন, নিদর্মন পাঠানো (সম্পূর্ণতা) আল্লাহ পাকের ব্যাপার, আপনি কি জানেন (এদের অবস্থা), নিদর্শন এলেও এরা কিন্তু কখনো ঈমান আনবে না।
১১০. আমি (অচিরেই) তাদের অন্তকরণ ও দৃষ্টিশক্তিকে (অন্যদিকে) ফিরিয়ে দেবো, যেমন তারা প্রথম বারেই এ (কোরআনের) ওপর ঈমান আনেনি এবং আমি (এবার) তাদের অবাধ্যতার আবর্তে ঘুরপাক খাওয়ার জন্যে ছেড়ে দেবো!
১১১. (এমনকি) আমি যদি তাদের নিকট (আমার) ফেরেশতাদেরও পাঠিয়ে দেই এবং (কবর থেকে) মৃত ব্যক্তিরাও যদি (উঠে এসে) তাদের সঙ্গে কথা বলে, কিংবা আমি যদি (দুনিয়ার) সমুদয় বস্তুও এনে তাদের সামনে জড়ো করে দেই, তবু এরা (কখনো) ঈমান আনবে না, অবশ্য (এদের কারো ব্যাপারে) যদি আল্লাহ পাক (ভিন্ন কিছু) চান (তা ভিন্ন কথা আসলে), এদের অধিকাংশ ব্যক্তিই মুর্খের আচরণ করে।
১১২. আমি এবাবেই প্রত্যেক নবীর জন্যে (যুগে যুগে কিছু কিছু) দুশমন বানিয়ে রেখেছি মানুষের মধ্য তেকে, (কিছু আবার) জ্বিনদের মধ্য থেকে, যারা প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে একে অন্যকে চমকপ্রদ কথা বলে, আপনার প্রভু চাইরে তারা (অবশ্য এটা) করতো না, সুতরাং আপনি তাদের চেড়ে দিন, তারা যা পারে মিথ্যা রচনা করে বেড়াক।
১১৩. যারা শেষ বিচারের দিনের ওপর ইমান রাখে না, তাদের মন এর ফলে শয়তানের প্রতি অনুরাগী হয়ে পড়ে, যাতে করে তারা তার ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকতে পারে, (সর্বোপরি) তারা যেসব কুকর্ম চালিয়ে যেতে চায়, তাও এর ফলে নির্বিঘ্নে তারা চালিয়ে যেতে পারে।
১১৪. (আপনি বলুন) আমি কি আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কোনো ফয়সালাকারী সন্ধান করবো? অথচ তিনিই হচ্ছেন সেই মহান সত্ত্বা, যিনি তোমাদের কাছে সবিস্তারে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন; (আগে) যাদের আমি আমার কিতাব দান করেছিলাম তারা জানে, তোমার প্রবুর পক্ষ থেকে সত্য বাণী নিয়েই এটা (আল কোরআন) অবতীর্ণ করা হয়েছে, অতএব, আপনি কখনো সন্দিহানদের অন্তর্ভূক্ত হবেন না।
১১৫. ন্যায় ও ইনসাফ (এর আলোকে) আপনার প্রভুর কথাগুলো পরিপূর্ণ হয়ে গেছে এবং তাঁর কথা পরিবর্তন করার কেউ নেই, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
১১৬. (হে মুহাম্মদ,) দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষের কথা যদি আপনি মেনে চলেন, তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহ পাকের পথ থেকে বিচ্যুত করে ছাড়বে; কেননা, এরা নিকছক অনুমানের ওপর ভিত্তি করেই চলে, (অধিকাংশ ব্যাপারে) এরা মিথ্যা ব্যতীত অন্য কিছু বলেই না।
১১৭. আপনার প্রভু নিঃসন্দেহে ভালো করেই জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে বিপথগামী হচ্ছে, আর কে সঠিক পথের অনুসারী-তাও তিনি সম্যক অবগত রয়েছেন।
১১৮. যদি আল্লাহ পাকের আয়াতের ওপর তোমরা বিশ্বাস করো, তাহলে তোমরা (শুধু) সেসব (জন্তুর গোশত) খাবে, যার ওপর (যবাই করার সময়) আল্লাহ পাকের নাম নেয়া হয়েছে।
১১৯. তোমাদের এ কি হয়েছে! তোমরা সেসব ঁজন্তুর গোশত) কেন খাবে না, যার ওপর (যবেহ করার সময়) আল্লাহ পাকের নাম নেয়া হয়েছে, (বিশেষ করে যখন) আল্লাহ পাক পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন যে, তিনি তোমাদের ওপর কোন কোন বস্তু অবৈধ করেছেন-সে কথা অবশ্যই ভিন্ন যখন তোমাদেরকে তার কাছে একান্ত বাধ্য (ও নিরুপায়) করা হয়। অধিকাংশ মানুষ সুষ্ঠু জ্ঞান ছাড়াই নিজেদের খেয়াল-কুশীমতো (মানুষকে) বিপথে চালিত করে; নিঃসন্দেহে তোমার প্রভু সীমালঙ্ঘনকারীদের বালো করেই জানেন।
১২০. তোমরা প্রকাশ্য পাপ থেকে বেঁচে তাকো, (বেঁচে থাকো) তার গোপন অংশ থেকেও; নিঃসন্দেহে যারা কোনো পাপ অর্জন করবে, তাদের কৃতকর্মের যথাযথ ফল তাদের প্রদান করা হবে।
১২১. (যবেহ করার সময়) যার ওপর আল্লাহ পাকের নাম নেয়া হয়নি, সে (জন্তুর গোশত) তোমরা কখনো কাবে না, (কারণ) তা হচ্ছে জঘন্য গুনাহের কাজ; শয়তাদের (কাজই হচ্ছে) তার সঙ্গী-সাথীদের মনে প্ররোচনা দেয়া, যে তারা তোমাদের সাথে (এ নিয়ে) ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়, যদি তোমরা তাদের কথা মেনে চলো, তাহলে অবশ্যই তোমরা মুশরিক হয়ে পড়বে।
১২২. যে ব্যক্তি (এক সময়) ছিলো মৃত, অতঃপর আমি তাকে জীবিত করলাম, (তদুপরি) তার জন্যে এমন এক আলোকবর্তিকাও আমি বানিয়ে দিলাম, যার আলো দিয়ে মানুষের সমাজে সে চলার (দিমা) পাচ্ছে, সে কি কখনো সে ব্যক্তির মতো হতে পারে, যে এমন অন্ধকারে(পড়ে) আছে, যেখান তেকে সে (কোনোভাবেই) বেরিয়ে আসতে পারছে না; এবাবেই কাফেরদের জন্যে তাদের কর্মকান্ডকে শোভনীয় (ও সুখকর) বানিয়ে রাখা হয়েছে।

১২৩. এবাবে আমি প্রত্যেক জনপদে তার কিচু কিছু বড় অপরাধী নিযুক্ত করে রেখেছি, যেন তারা সেখানে (অন্যদের) ধোঁকা দিতে পারে; (আসলে) এসব কিছুর মাধ্যমে তারা তাদের নিজেদেরই প্রতারিত করছে, কিন্তু তারা নিজেরা এ কথাটা মোটেই উপলব্ধি করতে পারছে না।
১২৪. তাদের নিকট যখনি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো আয়াত আসে তখন তারা বলে উঠে, আমরা এর ওপর কখনো ঈমান আনবো না, যতক্ষণ না আমাদেরও তাই দেয়া হয় যা আল্লাহর রাসূলদের দেয়া হয়েছে। আল্লাহ পাক ভালো করেই জানেন তাঁর রেসালাত তিনি কোতায় রাখবেন; যারা এ অপরাধ করেছে তারা অছিরেই মহান আল্লাহর পক্ষ তেকে অপমান ও কঠিন শান্তির সম্মুখীন হবে কারণ তারা আল্লাহ পাকের সাথে প্রতারণা করছিলো।
১২৫. মহান আল্লাহর কাউকে সৎপথে পরিচালিত করতে চাইলে তিনি তার হৃদয়কে ইসলামের জন্যে খুলে দেন, (আবার) যাকে তিনি বিপথগামী করতে চান তার মনকে অতিশয় সঙ্কীর্ণ করে দেন, (তার পক্ষে ইসলমের অনুসরণ করা এমন কঠিন হয়) যেন কোনো একজন ব্যক্তি আকাশে চড়তে চাইছে; আর যারা (আল্লাহর ওপর) বিশ্বাস করে না, আল্লাহ পাক এভাবেই তাদের ওপর (অপমানজনক লাঞ্চনাও) নাপাকী ছেয়ে দেন।
১২৬. (মূলত) এটি হচ্ছে আপনার প্রভুর (দেখানো) সহজ সরল পথ; আমি অবশ্য আমার আয়াত সমূহ উপদেশ গ্রহণে আগ্রহীদের জন্যে বিশদভাবে বর্ণনা করেছি।

১২৭. তাদের প্রভুর কাছে রয়েছে (তাদের) জন্যে শান্তির এক সুন্দর নিবাস, আল্লাহ পাকই তাদের অভিভাবক , (দুনিয়ায়) তারা যা করতো এটা হচ্ছে তারই বিনিময়।
১২৮. (স্মরণ করো), সেদিন আল্লাহ পাক তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন, (তখন তিনি শয়তানরুপী জ্বিনদের) বলবেন, হে জ্বিন জাতি! তোমরা তো বিভিন্ন (সময়) অনেক মানুষকেই গোমরাহ করেচো, ৯এ সময়) মানুষের ভেতর থেকে (যারা) তাদের বন্দু (তারা) বলবে, হে আমাদের প্রভু! আমাদের এক একজন এক একজনকে (ব্যবহার করে) দুনিয়ার জীবনে প্রচুর লাভ কামাচ্ছিলাম, আর এভাবেই আমরা চূড়ান্ত সময়ে এসে উপস্থিত হয়েছি, যা তুমি আমাদের জন্যে নির্দিষ্ট করে রেকেচিলে; আল্লাহ পাক বলবেন, (হ্যাঁ, আজ সে গোমরাহীর জন্যে) তোমাদের ঠিকানা (হবে দোযখের) আগুন, সেকানে তোমরা অনন্তকাল থাকবে, অবশ্য আল্লাহ পাক যা কিছু চাইবেন (তা ভিন্ন); তোমার প্রভু অবশ্যই প্রজ্ঞাময় ও সম্যক অবহিত।
১২৯. আমি এভাবে একদল অত্যাচারীকে তাদেরই (অন্যায়) কার্যকলাপের দরুন আরেক দল অত্যাচারীর ওপর ক্ষমতাবান করে দেই।

১৩০. (আল্লাহ পাক সেদিন আরো বলবেন), হে জ্বিন ও মানব জাতি! (বলো), তোমাদের কাছে কি তোমাদেরই মধ্যে থেকে আমার (এমন এমন) সব রাসূল আসেনি, যারা আমার আয়াতগুলো তোমাদের কাছে বর্ণনা করতো, (উপরন্তু) যারা তোমাদের ভয় দেখাতো যে, তোমাদের আজকের এ দিনের সম্মুখীন হতে হবে; (সেদিন) ওরা বলবে, হ্যাঁ (এসছিলো, তবে আজ) আমরা আমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছি, (প্রকৃতপক্ষে) দুনিয়ার জীবন এদের প্রতারিত করে রেখেছিলো, তারা নিজেদের বিরুদ্ধেই একতায় সাক্ষ্য দেবে যে, তারা (মূলত) কাফের ছিলো। 
১৩১. এটা এ জন্যে, আপনার প্রভু অন্যায়ভাবে এমন কোনো জনপদের মানুষকে ধ্বংস করেন না, যার অধিবাসীরা (সত্য দ্বীন সম্পর্কে) সম্পূর্ণ অজ্ঞ থাক।
১৩২. তাদের নিজস্ব কর্ম অনুযায়ী প্রতিটি ব্যক্তির জন্যেই (তার মর্যাদা রয়েছে, আপনার মালিক তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে মোটেই উদাসীন নন।
১৩৩. আপনার প্রভু কারো মুখাপেক্ষী নন, দয়া ও অনুগ্রহের প্রভু তিনি; যদি চান তাহলে তোমাদের (এ জনপদ থেকে) সরিয়ে নিতে পারেন, এবং তোমাদের পরে অন্য যাদের তিনি চান এখানে (তোমাদের স্থানে) বসিয়েও দিতে পারেন, যেমনি করে তোমাদেরও তিনি অন্য সম্প্রদায়ের বংশধর থেকে উত্থান ঘটিয়েছেন। 
১৩৪. তোমাদের কাছে যে ওয়াদা দেয়া হচ্ছে তা অবম্যই আসবে, আর তোমরা (আল্লাহ পাককে) ব্যর্থ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখো না।
১৩৫. (তাদের আপনি বলে দিন) হে আমার জাতি! তোমরা নিজ নিজ জায়গায় (যা যা করার) করে যাও, আমিও (আমার করণীয়) করে যাবো, অচিরেই তোমরা জানতে পারবে, কার জন্যে পরিণামের (সুন্দর) ঘরটি (নির্দিষ্ট) রয়েছে; (এ জানতে পারবে যে,) অত্যাচারীরা কখনো সাফল্য লাভ করতে পারে না।

১৩৬. স্বয়ং আল্লাহ পাক যে শস্য উৎপাদন করেছেন ও গবাদিপমু সৃষ্টি করেছেন, এ (মূর্খ) ব্যক্তিরা তারই এক অংশ আল্লাহর জন্যে র্িদিষ্ট করে রাখে এবং নিজেদের খেয়ালখুশী মতো (একথা) বলে, এ অংশ হচ্ছে মহান আল্লাহর জন্যে আর এ অংশ হচ্ছে আমাদের দেবতাদের জন্যে, অতঃপর, যা তাদের দেবতাদের জন্যে (রাখা হয়) তা (কখনো) আল্লাহর কাচ পর্যন্ত পৌছায় না, (যদিও) আল্লাহর (নামে) যা (রাখা হয় তা শেষ পর্যন্ত) তাদের দেবতাদের কাছে গিয়েই পৌছে; কতো নিকৃষ্ট তাদের এ বিচার!
১৩৭. এভাবে অসংখ্য মুশরিকের ক্ষেত্রেই তাদের শরীক (দেবতা)রা তাদের আপন সন্তানদের হত্যা করার (জঘন্য) কাজটিকেও একান্ত শোভনীয় করে রেখেছে, এর উদ্দেম্য হলো তাদের ধ্বংস সাধন করা এবং তাদের গোটা জীবন বিধানকেই তাদের কাছে সনেদহের বিষয়ে পরিণত করে দেয়া, অবম্যই আল্লাহ পাক ইচ্ছা করলে তারা (কখনো) এ কাজ করতো না, অতএব, আপনি তাদের ছেড়ে দিন, মিথ্যা রচনা নিয়ে (তাদের আপনি কিছুদিন ব্যস্ত) তাকতে দিন।
১৩৮. তারা বলে, এসব গবাদিপশু এবং এ কাদ্যশস্য নিষিদ্ধ (তালিকাভূক্ত), আমরা যাকে চাইবো সে ব্যতীত অন্য কেউ তা কেতে পারবে না, এটা তাদের ধারণা মাত্র (আবার তারা মনে করে), কিছু গবাদিপশু আছে যার পিঠ (আরোহণ কিংবা মাল সামানা রাখার জন্যে) নিষিদ্ধ, আবার কিচু গবাদিপশু আছে যার ওপর যবেহ করার সময়) তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করে না, আল্লাহর ওপর মিথ্যা রচনা করার উদ্দেশ্যেই (তাদের) এসব অপচেষ্ঠা; অচিরেই আল্লাহ পাক তাদের এ মিথ্যাচারের জন্যে তাদের (যথাযথ) প্রতিফল দান করবেন।
১৩৯. তারা বলে, এসব গবাদিপশুর পেটে যা কিচু আছে তা কেবল আমাদের পুরুষদের জন্যেই নির্দিষ্ট এবং আমাদের (মহিলা) সাথীদের জন্যে তা হারাম। তাবে যদি এ (পশুর পেটে) মরা কিচু থাকে তাহলে তাতে তারা (নারী-পুরুষ) উভয়েই সমান অংশীদার; আল্লাহ পাক অচিরেই তাদের এ ধরনের উদ্বট কথা বলার প্রতিফল দান করবেন; নিঃসন্দেহে তিনি হচ্ছেন প্রবল প্রজ্ঞাময়, তিনি মহাজ্ঞানী।
১৪০. অবশ্য যারা (নেহায়াত) নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতার বশবর্তী হয়ে নিজেদের সন্তানদের হত্যা করলো এবং আল্লাহ পাক তাদের যে জীবিকা দান করেছেন তা নিজেদের ওর হারাম করে নিলো, আল্লাহ পাক সম্পর্কে (নানার ধরনের) মিথ্যা (কথা) রচনা করলো; এসব কাজের মাধ্যমে এরা সবাই দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হযে গেলো, এরা কখনো সৎপথের অনুসারী ছিলো না।
১৪১. মহান আল্লাহ যিনি নানার প্রকারের উদ্যান বানিয়েছেন, কিছু লতা-গুল্ম, যা কোনো কান্ড ছাড়াই মাচার ওপর তুলে রাকা হয়েছে, (আবার কিচু বৃক্ষ) যা মাচার ওপর তুলে রাকা হয়নি (স্বীয় কাজের ওপর তা এমনিই দাঁড়িয়ে আছে। তিনি আরো সৃষ্টি করেছেন), খেজুর বৃক্ষ এবং বিভিন্ন (স্বাদ ও) প্রকার বিশিষ্ট খাদ্যশস্য ও আনার (এগুলো স্বাদে গন্ধে এক রকমও হতে পারে), আবার তা ভিন্ন দরনেরও হতে পারে, যখন তা ফলবান হয় তখন তোমরা তার ফল খাও, তোমরা ফসল তোলার দিনে (যে বঞ্চিত) তার হক আদায় করো, কখনো অপচয় করো না; কারণ, মহান আল্লাহ অপচয়কারীদের পচন্দ করেন না।

১৪২. গবাদিপশুর মধ্যে (কিচু পশু হচ্ছে ভারবাহী ও কিছু হলো খাবার উপযোগী, আল্লাহ পাক যা তোমাদের দান করেছেন তা তোমরা খাও এবং (এ পর্যায়ে) কখনো শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।
১৪৩. (আল্লাহ পাক তোমাদের দিয়েছেন এ) আট প্রকারের গৃহপালিত জন্তু, (প্রথমত) তার দুটো মেঘ, (দ্বিতীয়ত) তার দুটো ছাগল (হে মুহাম্মদ!) আপনি (তাদের) জিজ্ঞেস করুন, এর (নর দুটো কিংবা মাদি) অথবা তাদের মায়েরা যা কিচু পেটে রেখেছে তার কোনোটি (কি আল্লাহ পাক তোমাদের জন্যে) নিষিদ্ধ করেছেন? তোমরা আমকে প্রমাণসহ বলো যদি তোমরা সত্যবাদী হও!
১৪৪. (তৃতীয়ত) দুটো উট, (চতুর্থত) দুটো গরু; এর ৯নর দুটো কিংবা মাদী) দুটো কি আল্লাহ পাক হারাম করেছেন, অথবা এদের উভয়ের মায়েরা যা কিছু পেটে রেখেছে তা (কি তিনি তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন)? আল্লাহ পাক যখন তোমাদের (হারামের) নির্দেশটি দিয়েছিলেন তখন তোমরা কি সেখানে উপস্থিত চিলে? অতঃপর তার চাইতে বড় অত্যাচারী আর কে হতে পারে যে মানুষকে গোমরাহ করার জন্যে অজ্ঞতাবশত আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনা করে; নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সীমালঙ্ঘনকারী জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।
১৪৫. (হে মুহাম্মদ!) আপনি (এদের) বলুন, আমার কাছে যে ওহী প্রেরণ করা হয়েছে তাতে একজন ভোজনকারী মানুষ (সাধারণত) যা খায় তার মধ্যে এমন কোনো জিনিস তো আমি পাচ্ছি না-যাকে হারাম করা হয়েছে, মৃত জন্তু, প্রবাহিত রক্ত এবং শুকরের গোশত (হয় তাহলে তা অবশ্যই হারাম), কেননা, এসব হচ্ছে নাপাক, অথবা এমন (এক) অবৈধ (জন্তু) যা আল্লাহ পাক ছাড়া অন্য কারো নামে যবেহ করা হয়েছে, তবে যদি কাউকে না-ফরমানী এবং সীমালঙ্ঘনজতি অবস্থা ব্যতিরেকে (এর কোনো একটি জিনিস কেতে) বাধ্য করা হয়, তাহলে (তার ক্ষেত্রে) তোমার প্রবু অবশ্যই ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
১৪৬. আর আমি ইহুদীদের জন্যে নকযুক্ত সব পশুই হারাম করে দিয়েচি, গরু এবং ছাগলের চর্বিও আমি তাদের জন্যে হারাম করেছি, তবে (জন্তুর চর্বির) যা কিছু তাদের উভয়ের পিঠ, অাঁত কিংবা হাড়ের সাথে জড়ানো থাকে তা (হারাম) নয়; এভাবে নগেুরোকে (হারাম করে) আমি তাদের অবাধ্যতার শাস্তি দিয়েছিলাম, নিঃসন্দেহে আমি সত্যবাদী।
১৪৭. (এরপরও) যদি তারা তোমাদের মিথ্যাবাদী বলে তাহলে আপনি বলুন, অবশ্যই তোমাদের প্রভু এক বিশাল করুণার অাঁধার, (তবে) অপরাধীদের ওপর থেকে তাঁর শাস্তি কেউই ফেরাতে পারবে না।
১৪৮. অচিরেই এ মুশরিক লোকগুলো বলতে শুরু করবে, যদি আল্লাহ পাক ইচ্ছা করতেন তাহলে আমরা ও আমাদের পুর্বপুরুষরা তো শিরক করতাম না, না ৯এবাবে) আমরা কোনো জিনিস (নিজেদের ওপর) হারাম করে নিতাম; (আপনি তাদের বলুন, এর) পূর্বেও অনেকে (এভাবে আল্লাহর আয়াতকে) অস্বীকার করেছে; অবশেষে তারা আমার শাস্তির স্বাদ বোগ করেছে; আপনি (তাদের) জিজ্ঞেস করুন, তোমাদের কাছে কি সত্যিই (এমন) কোনো জ্ঞান (মজুদ) আছে? (থাকলে) অতঃপর দতা বের করে আমার জন্যে নিয়ে এসো, তোমরা তো কল্পনার ওপর (নির্বর করেই) কথা বলো এবং (হামেশাই) মিথ্যার অনুসরণ করো।
১৪৯. আপনি (আরো) বলুন, চূড়ান্ত প্রাণ তো আল্লাহ পাকের কাছেই রয়েছে, তিনি চাইলে তোমাদের সকলকেই সৎপথে পরিচালিত করে দিতেন।

১৫০. (হে মুহাম্মদ!) আপনি বলুন (যাও) তোমাদের সেসব সাক্ষী নিয়ে এসা যারা এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, াাল্লাহ পাকই এসব জিনিস (তোমাদের ওপর) হারাম করেছেন। (তাদের মধ্যে) কিচু সাক্ষী যদি সাক্ষ্য দেয়ও, তবু আপনি তাদের সাথে কোনো কাস্খ্য দিবেন না, যারা আমার আয়াতকে অস্বীকার করেছে, যারা পরকালের ওপর ইমান আনেনি, আসলে তারা অন্য কিচুকে তাদের প্রবুর সমকক্ষ মনে করে, (তাদেরও আপনি কখনো অনুসরন করবেন না)।
১৫১. তোমরা কখনো এতীমদের সম্পদের নিকটেও যাবে না, তবে উদ্দেশ্য যদি নেক হয়, তাহলে সে একটা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌছা পর্যন্ত (কোনো পদক্ষেপ নিলে তা ভিন্ন কথা), পরিমাপ ও ওজন (করার সময়) ন্যায্যবাবেই তা করবে, আমি (কখনো) কারো ওপর তার সাধ্যসীমার বাইরে কোনো দায়িত্ব চাপাই না, যখনি তোমরা কোনো ব্রাপারে কথা বলবে তখন নিসাফ কায়েম করবে, যদি তা (তোমাদের একান্ত) াাপনজনের ৯বিরুদ্ধে) ও হয়, তোমরা আল্লাহ পাককে দেয়া সব অঙ্গীকার পূরণ করো এ হচ্ছে তোমাদের (জন্যে আরো কতিপয় বিধান); এর মাধ্যমে আল্লাহ পাক তোমাদের আদেম দিয়েছেন )তোমরা যেন এগুলো মেনে চলো); আশা করা যায় তোমরা উপদেশ গ্রহণ করতে পারবে।
১৫৩. এটা হলো আমার (দেকানো) সরল পথ, অতএব, একমাত্র এরই তোমরা অনুসরণ করো, কখনো ভিন্ন পথ অবলম্বন করো না। কেননা, (ভ্নি পথ অবলম্বন করলে) তা তোমাদের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে এ হচ্ছে তোমাদের (জন্যে আরো কতিপয় বিধান); আল্লাহ পাক (এর মাধ্যমে) তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন (যেন তোমরা এগুলো মেনে চলো), আশা করা যায় তোমরা (আল্লাহ পাককে) ভয় করবে।
১৫৪. অতঃপর আমি মূসাকে (হেদায়েত সম্বলিত) তিাব দান করেছিলাম, (তা ছিলো) পরিপূর্ণ এবঙ বিশদ হেদায়াত ও রহমত, যাতে করে (বনী ইসরাঈলদের) লোকেরা এ কথার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে যে, (একদিন) তাদের (সবাইকে) তাদের প্রভুর সমীপে উপস্থিত হতে হবে।
১৫৫. এ কল্যাণময় কিতাব আমিই (তোমাদের জন্যে) অবতীর্ণ করেছি, অতএব, তোমরা এর অনুসরণ করো এবং (কিতাবের শিক্ষানযায়ী) তোমরা (আল্লাহ পাককে) ভয় করো, হয়তো তোমাদের ওপর (দয়া ও) অনুগ্রহ প্রদর্শন করা হবে।
১৫৬. (এখন) তোমরা আর এ কথা বলতে পাবে না যে, (আল্লাহর) কিতাব তো আমাদের আগের (ইহুদী ও খ্রিস্টান এ দুটো জাতিকেই দেয়া হয়েছিলো, তাই) আমরা সেসব কিতাবের পাঠ সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম।
১৫৭. অথবা একথা বলারও কোনো অজুহাত পাবে না যে, যদি (ইহুদী খ্রিস্টানদের মতো) আমাদেরও কোনো কিতাব দেয়া হতো, তা হলে আমরা তো তাদের তুলনায় অধিক সৎপথের অনুসারী হতে পারতাম, (আজ) তোমাদের কাছে (সত্যিই) তোমাদের প্রভুর পক্ষ তেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ, হেদায়াত ও রহমত (সর্বস্ব কিতাব) এসছে (তোমরা এর অনুসরণ করো), তার চেয়ে বড়ো অত্যাচারী আর কে, যে আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করবে এবং তা তেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে (জেনে রেখো), যারাই এভাবে আমার আয়াত তেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, শীঘ্রই আমি তাদের এ জঘন্য আচরণের জন্যে এক নিকৃষ্ট ধরনের শাস্তি দেবো।
১৫৮. তারা কিছু (সে দিনের) প্রতীক্ষা করছে যে, তাদের কাছে (আসমান থেকে আল্লাহ পাকের) ফেরেশতা অবতীর্ণ হবে, কিংবা স্বয়ং তোমাদের প্রভুই তাদের কাছে এসে (তাদের হাতে কিতাব দিয়ে) যাবেন, অথবা প্রভুর পক্ষ থেকে কোনো নিদর্শনের কোনো অংশ এসে (তাদের বেহেশত-জাহান্নাম দেখিয়ে দিয়ে) যাবে, (অথচ) সেদিন সত্যিই তোমার প্রভুর (পক্ষ থেকে এমন) কোনো নিদর্শন আসবে, সেদনি তা (হবে কেয়ামতের দিন, তখন) যে ব্যক্তি এর পূবেৃ ঈমান আসননি কিংবা যে ব্যক্তি তার ঈমান দিয়ে বালো কিছু অর্জন করেনি; তার জন্যে ঈমান আনাটা কোনোই কাজে আসবে না; (হে মুহাম্মদ!) আপনি (তাদের) বলুন, (ঠিক আছে) তোমরা ও প্রতীক্ষা করো, আমিও প্রতীক্ষ করছি।
১৫৯. যারা নিজেদের দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে নিজেরাই নানা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে গেছে, তাদের কোনো দায়িত্বই তোমার ওপর নেই; াতাদের (ফয়সালার) ব্রাপারটা আল্লাহ পাকের হাতে, (যেদিন তারা তার কাছে ফিরে যাবে) তখন তিনি তাদের বিস্তারিত বলবেন, তারা কে কি করছিলো।
১৬০. তোমাদের মাঝে কেউ যদি একটা নেক কাজ নিয়ে (আল্লাহ পাকের সামনে) আসে, তাহলে তার জন্যে দশ গুণ বিনিময়ের ব্যবস্থা তাকবে, (অপরদিকে) যদি কেউ একটা গুনাহের কাজ েয়ে আসে, তাকে (তার) একটাই প্রতিদান দেয়া হবে, ৯সেদিন) তাদের কারো ওপর যুলুম করা হবে না।
১৬১. (হে মুহাম্মদ!) আপনি (তাদের) বলুন, অবশ্যই আমার প্রভু তোমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন-সুপ্রতিষ্ঠিত জীবন বিধান, এটাই হচ্ছে ইব্রাহীমের একনিষ্ঠ পথ, যে কখনো মুশরিকদের দলভূক্ত ছিলো না।
১৬২. আপনি ৯একান্ত বিনয়ের সাথে) বলুন, অবশ্যই আমার নামায, আমার (আনুষ্ঠানিক) কাজকর্ম, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সবকিচুই সৃষ্টিকুলের প্রভু আল্লাহ পাকের জন্যে।
১৬৩. তাঁর শরীক (সমকক্ষ) কেউ নেই, আর একথা (বলার জন্যেই) আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, (আত্মসমপর্ণকার) মুসলমানদের মধ্যে আমি হচ্ছি সর্বপ্রথম।
১৬৪. আপনি (আরো) বলুন, ৯এরপরও) আমি কি আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কোনো প্রভু সন্ধান করে বেড়াবো? অথচ (আমি জানি) তিনিই সব কিছুর রিঙ্কুরশ) প্রভু; (তাঁর বিধান হচ্ছে) প্রতিিটি ব্রক্তি তার কৃতকর্মের জন্যে এককভাবে নিজেই দায়ী হবে এবং কেয়ামতের দিন কোনো বোঝা বহনকারী ব্রক্তিই অন্য কোনো লোকের (পাপের) বোঝা বহন করবে না, অতঃপর (একদিন) তোমাদের সকলকে তোমাদের প্রভুর কাছে ফিরে যেতে হবে, সেদিন আল্লাহ পাক তোমাদের সেসব কিছুই জানিয়ে দেবেন, যা নিয়ে (দুনিয়ার জীবনে) তোমরা মতপাথর্ক্য করতে।

১৬৫. তিনিই সে (মহান) সত্ত্বা, যিনি তোমাদের এ যমীনে তাঁর খলিফা বানিয়েছেন এবঙ (এ কারণে তিনি) তোমাদের একে অপররের ওপর (কিচু বেশি) মর্যাদা দান করেচেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহ পাক তোামদের সবাইকে যা কিছু দিয়েছেন তা দিয়েই তিনি তোমাদের কাছ থেকে (কৃতজ্ঞতার) পরীক্ষা নিতে চান; (জেনে রেখো!) তোমরার প্রভু শাস্তিদানের ব্রাপারে খুবই কঠোর ও তঃপর, (আবার) তিনি অতীব ক্ষমাশীল ও পরম দয়াময়।


অনুগ্রহ পূর্বক সঙ্গেই থাকুই 

Related Posts:

  • Ash Shuara । শু’আরা - কবিগণ Recitation । তেলাওয়াত بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে ١ طٰسمّ ১. ত্বোয়া-সীন-মীম। 1. Toaa, Siin, Miim… Read More
  • An Naml । নামল - পিপীলিকা Recitation । তেলাওয়াত بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে ١ طٰس ۚ تِلْكَ اٰيٰتُ الْقُرْاٰنِ وَ… Read More
  • Al Qasas । কাসাস - কাহিনী Recitation । তেলাওয়াত بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ  পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে ١ طٰسمّ ১. ত্ব-সীন-মীম। 1. Taa. S… Read More
  • Saba । সাবা - একটি নগরের নাম Recitation । তেলাওয়াত بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ  পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে Sura Saba-34 … Read More
  • As Sajdah । সিজদাহ - সিজদা Recitation । তেলাওয়াত بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ  পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামের্ As Sajdah-32 … Read More