Recitation । তেলাওয়াত
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
يَا اَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمُ الَّذِىْ خَلَقَكُمْ مِّن نَّفْسٍ وَّاحِدَةٍ وَّخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيْرًا وَّنِسَاءً ۚ وَاتَّقُوا اللهَ الَّذِىْ تَسَاءَلُوْنَ بِهِ وَالْاَرْحَامَ ۚ اِنَّ اللهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيْبًا ١
১. হে মানুষ! তোমরা তোমাদের প্রভূকে ভয় করো, যিনি তোমাদের একটি (মাত্র) ব্যক্তিসত্ত্বা থেকে সৃষ্টি করেছেন, অত:পর তিনি তা থেকে (তার) জুড়ি পয়দা করেছেন, (এরপর) তিনি তাদের (এ আদি জুড়ি) থেকে অসংখ্য নর-নারী (দুনিয়ায় চারদিকে) ছড়িয়ে দিয়েছেন (হে মানুষ)!, তোমরা ভয় করো আল্লাহ পাককে, যাঁর (পবিত্র) নামে তোমরা একে অপরের কাছে অধিকার (ও পাওনা) দাবী করো এবং সম্মান করো গর্ব (ধারিণী মা)-কে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তোমাদের ওপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে চলেছেন।
1. Oh mankind ! fear your Guardian Lord, Who created you from a single person, created, out of it, his mate, and from them twain scattered (like seeds) countless men and women- fear Allah, through whom you demand your mutual (rights) and be heedful of the wombs (that bore you); for Allah, ever watches over you.
وَاٰتُوا الْيَتٰمٰى اَمْوَالَهُمْ ۖ وَلَا تَتَبَدَّلُوا الْخَبِيْثَ بِالطَّيِّبِ ۖ وَلَا تَاْكُلُوْا اَمْوَالَهُمْ اِلٰى اَمْوَالِكُمْ ۚ اِنَّهُ كَانَ حُوْبًا كَبِيْرًا ٢
২. এতীমদের ধন-সম্পদ তাদের কাছে দিয়ে দাও, (তাদের) ভালো জিনিসের সাথে (নিজেদের) খারাপ জিনিসের বদল করো না, তাদের সম্পদসমূহ কখনো নিজেদের সম্পদের সাথে মিলিয়ে ভক্ষণ করে নিয়ো না, এটা একটা জঘন্য পাপ।
2. To orphans restore their property (when they reach their age), nor substitute (your) worthless things for (their) good ones and devour not their substance (by mixing it up) with your own. for this is indeed a great sin.
وَاِنْ خِفْتُمْ االَّا تُقْسِطُوْا فِى الْيَتٰمٰى فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَاءِ مَثْنٰى وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ ۖ فَاِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تَعْدِلُوْا فَوَاحِدَةً اَوْ مَا مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْ ۚ ذٰلِكَ اَدْنٰى اَلَّا تَعُوْلُوْا ٣
৩. আর যদি তোমাদের এ আশঙ্কা থাকে যে, তোমরা এতীম (মহিলা-দের মাঝে ন্যায়বিচার করতে পারবে না, তাহলে (অন্য) নারীদের মাঝে থেকে তোমাদের যাদের ভালো লাগে তাদের দুজন, তিনজন কিংবা চার জনকে বিয়ে করে নাও, কিন্তু যদি তোমাদের এই ভয় হয় যে, তোমরা (একের অধিক হলে তাদের মাঝে ন্যায়বিচার করতে পারবে না, তাহলে (তোমাদের জন্যে) একজনই (যথেষ্ট), কিংবা যে তোমাদের অধিকারভূক্ত, (তাদেরই যথেষ্ট মনে করে নাও। মনে রেখো, সব ধরনের) সীমালঙ্ঘন থেকে বেচে থাকার জন্য এটাই হচ্ছে (উত্তম ও) সহজতর (পন্থা)।
3. If you fear that you shall not be able to deal justly with the orphans, marry women of your choice, two, or three, or four, but if you fear that you shall not be able to deal justly (with them), then only one, or that which your right hands possess. That will be more suitable, to prevent you from doing injustice.
وَاَتُوا النِّسَاءَ صَدُقٰتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَاِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَىْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوْهُ هَنِيْئًا مَّرِيْئًا ٤
৪. নারীদের তাদের মোহরানার অংশ খূশী মনে তাদের দিয়ে দাও; অত:পর তারা যদি নিজেদের মনের খূশীতে এর কিছু অংশ তোমাদের (ছেড়ে) দেয়, তাহলে তোমরা তা খূশী মনে ভোগ করতে পারো।
4. And give the women (on marriage) their dower as an obligation; but if they, of their own good pleasure, remit any part of it to you, take it and enjoy it with right good cheer.
وَلَا تُؤْتُوا السُّفَهَاءَ اَمْوَالَكُمُ الَّتِىْ جَعَلَ اللهُ لَكُمْ قِيٰمًا وَّارْزُقُوْهُمْ فِيْهَا وَاكْسُوْهُمْ وَقُوْلُوْا لَهُمْ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا ٥
৫. আল্লাহ পাক তোমাদের যে সম্পদকে (দুনিয়ায়) তোমাদের প্রতিষ্ঠা লাভের উপকরণ হিসেবে বানিয়ে দিয়েছেন, তা এ্ নির্বোধ লোকদের হাতে ছেড়ে দিয়ো না, (অবশ্যই এ থেকে) তাদের খা
ওয়ার ব্যবস্থা করবে, তাদের পোশাক সরবরাহ করবে, (সর্বোপরি) তাদের সাথে উত্তম কথা বলবে।
5. To those weak of understanding give not your property which Allah has assigned to you to manage, but feed and clothe them therewith, and speak to them words of kindness and justice.
৬. এতীমদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে থাকবে যতক্ষণ না তারা বিয়ের বয়স পর্যন্ত পৌছে, অতঃপর যদি তোমরা তাদের মধ্যে (সম্পদ পরিচালনার) যোগ্যতা অনুভব করতে পারো, তাহলে তাদের ধন-সম্পদ তাদের হাতেই তুলে দেবে এবং তাদের বড় হবার পূর্বেই (তাড়াহুড়ো করে) তা ভক্ষণ করে ফেলো না, (এতীমদের পৃষ্ঠপোষক) যদি সম্পদশালী হয় তাহলে সে যেন (এ বাড়াবাড়ি থেকে) বেঁচে থাকে (তবে হ্যাঁ,) যদি (পৃষ্ঠপোষক) গরীব হয় তাহলে (সমাজের) প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী সে যেন তা থেকে (নিজের পারিশ্রমিক) গ্রহণ করে, যখন তোমরা তাদের ধন-সম্পদ তাদের ফিরিয়ে দেবে, তখন তাদের ওপর সাক্ষী রেখো, (যদিও) হিসাব গ্রহণের জন্যে আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।
6. Make trial of orphans until they reach the age of marriage; if then you find sound judgment in them, release their property to them; but consume it not wastefully, nor in haste against their growing up. If the guardian is well-off, let him claim o remuneration, but if he is poor, let him have for himself what is just and reasonable. When you release their property to them, take witness in their presence: but all-sufficient is Allah in taking account.
6. Make trial of orphans until they reach the age of marriage; if then you find sound judgment in them, release their property to them; but consume it not wastefully, nor in haste against their growing up. If the guardian is well-off, let him claim o remuneration, but if he is poor, let him have for himself what is just and reasonable. When you release their property to them, take witness in their presence: but all-sufficient is Allah in taking account.
৭. তাদের পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের রেখে যাওয়া ধন-সম্পদে পুরুষদের (যেমন) নির্দিষ্ট অংশ রয়েছে, (একইভাবে) নারীদের জন্যেও (সে সম্পদে) নির্দিষ্ট অংশ রয়েছে, যা তাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনরা রেখে গেছে, (পরিমাণ) কম হোক কিংবা বেশী; (উভয়ের জন্যে এর ) অংশ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে।
7. From what is left by parents and those nearest related there is a share for women, whether the property be small or large, a determinate share.
7. From what is left by parents and those nearest related there is a share for women, whether the property be small or large, a determinate share.
৮. (মৃত ব্যক্তির সম্পদ) বন্টনের সময় যখন (তার) আপনজন, এতীম ও মিসকীনরা (সেখানে) এসে উপস্থিত হয়, তখন তা থেকে তাদেরও কিছু দেবে এবং তাদের সাথে সুন্দরভাবে কথা বলবে।
8. But if at the time of division other relatives, or orphans, or poor, are present, give them out of the (property), and speak to them words of kindness and justice.
8. But if at the time of division other relatives, or orphans, or poor, are present, give them out of the (property), and speak to them words of kindness and justice.
৯. (এতীমদের ব্যাপারে) মানুষদের (এটুকু) ভয় করা উচিত, যদি তারা নিজেরা (মৃত্যুর সময় এমনি) দুর্বল সন্তানদের পেছনে রেখে চলে আসতো, তাহলে (তাদের ব্যাপারে) তারা (এভাবেই) ভীত শঙ্কিত থাকতো, তাই তাদের (ব্যাপারে) মহান আল্লাহকে ভয় করে চলা এবং এদের সাথে (হামেশাই) ন্যায়-ইনসাফের কথাবার্তা বলা উচিত।
9. Let those (disposing of and estate) have the same fear in their minds as they would have for their own if they had left a helpless family behind: let them fear Allah, and speak appropriate words.
9. Let those (disposing of and estate) have the same fear in their minds as they would have for their own if they had left a helpless family behind: let them fear Allah, and speak appropriate words.
১০. যারা অন্যায়ভাবে এতীমদের ধন-সম্পদ ভোগ করে, তারা যেন আগুন দিয়েই নিজেদের পেট ভর্তি করে, অচিরেই এ লোকগুলো জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে থাকবে।
10. Those who unjustly eat up the property of orphans, eat up a Fire into their own bodies: they will soon be enduring a blazing Fire!
10. Those who unjustly eat up the property of orphans, eat up a Fire into their own bodies: they will soon be enduring a blazing Fire!
১১. আল্লাহ পাক (তোমাদের উত্তরাধিকারে) সন্তানদের সম্পর্কে (এ মর্মে) তোমাদের জন্যে বিধান জারি করছেন যে, এক ছেলের অংশ হবে দুই কন্যা সন্তানের সমান, কিন্তু (উত্তরাধিকারী) কন্যারা যদি দুয়ের বেশী হয় তাহলে তাদের জন্যে (থাকবে) রেখে যাওয়া সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ, আর (সে) কন্যা সন্তান যদি একজন হয়, তাহলে তার (অংশ) হবে (পরিত্যক্ত সম্পতিতির) অর্ধেক; মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার পিতামাতা প্রত্যেকের জন্যে থাকবে (সে সম্পদের) ছয় ভাগের এক ভাগ, (অন্য দিকে) মৃত ব্যক্তির যদি কোনো সন্তান না থাকে এবং পিতামাতাই যদি হয় (তার একমাত্র) উত্তরাধিকারী, তাহলে তার মায়ের (অংশ) হবে তিন ভাগের এক ভাগ, যদি মৃত ব্যক্তির কোনো ভাই বোন (বেঁচে) থাকে তাহলে তার মায়ের (অংশ) হবে ছয় ভাগের এক ভাগ, (মৃত্যুর) আগে সে যে ওসিয়ত করে গেছে এং তার (রেখে যাওয়া) ঋণ পরিশোধ করে দেয়ার পরই (কিন্তু এ সব ভাগ-বাটোয়ারা করতে হবে); তোমরা জানো না তোমাদের পিতামাতা ও তোমাদের সন্তান-সন্ততির মধ্যে কে তোমাদের জন্যে উপকারের দিক থেকে বেশী নিকটবর্তী; (অতএব) এ হচ্ছে আল্লাহর বিধান , অবশ্যই আল্লাহ পাক সকল কিছু সম্পর্কে জ্ঞাত এবং তিনিই হচ্ছেন বিজ্ঞ, পরম কুশলী।
11. Allah (thus) directs you as regards your children's (inheritance): to the male, a portion equal to that of two females: If only daughters, two or more, their share is two-thirds of the inheritance; if only one, her share is a half. deceased left children; if no children, and the parents are the (only) heirs, the mother has a third: if the deceased left brothers (or sisters), the mother has a sixth. (The distribution in all cases is) after the payment of legacies and debts. You know not whether your parents or your children are nearest to you in benefit. These are settled portions ordained by Allah: and Allah is All-knowing, All-wise.
11. Allah (thus) directs you as regards your children's (inheritance): to the male, a portion equal to that of two females: If only daughters, two or more, their share is two-thirds of the inheritance; if only one, her share is a half. deceased left children; if no children, and the parents are the (only) heirs, the mother has a third: if the deceased left brothers (or sisters), the mother has a sixth. (The distribution in all cases is) after the payment of legacies and debts. You know not whether your parents or your children are nearest to you in benefit. These are settled portions ordained by Allah: and Allah is All-knowing, All-wise.
১২. তোমাদের স্ত্রীদের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে তোমাদের অংশ হচ্ছে অর্ধেক, যদি তাদের কোনো সন্তানাদি না থাকে, আর যদি তাদের সন্তান থাকে তাহলে (সে সম্পত্তিতে) তোমাদের অংশ হবে চার ভাগের এক ভাগ, তারা যে ওসিয়ত করে গেছে কিংবা (তাদের) ঋণ পরিশোধ করার পরই (কিন্তু তোমরা এ অংশ পাবে); তোমাদের স্ত্রীদের জন্যে (থাকবে) তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ, যদি তোমাদের কোনো সন্তান না থাকে, যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তাহলে তারা পাবে রেখে যাওয়া সম্পদের আট ভাগের এক ভাগ, (মৃত্যুর আগে) তোমরা যা ওসিয়ত করে যাবে অথবা যে ঋণ তোমরা রেখে যাবে তা পরিশোধ করে দেয়ার পরই (এ অংশ তারা পাবে); যদি কোনো পুরুষ কিংবা নারী এমন হয় যে, তার কোনো সন্তানও নেই, পিতা মাতাও নেই, (শুধু) আছে তার এক ভাই ও এক বোন, তবে তাদের সবার জন্যে থাকবে ছয় ভাগে এক ভাগ, (ভাই বোন মিলে) তারা যদি এর চাইতে বেশী হয় তবে (মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদের) এক-তৃতীয়াংশে তারা সবাই (সমান) অংশীদার হবে, অবশ্য (এ সম্পত্তির ওপর) মৃত ব্যক্তির যা অসিয়ত করা আছে কিংবা কোনো ঋণ (পরিশোধ) এর পরই (এ ভাগাভাগি করা যাবে), তবে (মনে রাখতে হবে,) কখনো উত্তরাধিকারীদের অধিকার পাওয়ার পথে তা যেন ক্ষতিকর হয়ে না দাঁড়ায়, কারণ এ হচ্ছে মহান আল্লাহর নির্দেশ; আর আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞানী ও পরম ধৈর্যশীল।
12. In what your wives leave, your share is a half, if they leave no child, but if they leave a child, you get a fourth; after payment of legacies and debts. In what you leave; their share is a fourth, if you leave no child; but if you leave a child, they get an eighth; after payment of legacies and debts.
If the man or woman whose inheritance is in question, has left neither ascendants nor descendants, but has left a brother or a sister, each one of the two gets a sixth; but if more than two, they share in a third; after payment of legacies and debts; so that no loss is caused (to anyone). Thus is it ordained by Allah; and Allah is All-Knowing, Most Forbearing.
12. In what your wives leave, your share is a half, if they leave no child, but if they leave a child, you get a fourth; after payment of legacies and debts. In what you leave; their share is a fourth, if you leave no child; but if you leave a child, they get an eighth; after payment of legacies and debts.
If the man or woman whose inheritance is in question, has left neither ascendants nor descendants, but has left a brother or a sister, each one of the two gets a sixth; but if more than two, they share in a third; after payment of legacies and debts; so that no loss is caused (to anyone). Thus is it ordained by Allah; and Allah is All-Knowing, Most Forbearing.
১৩. এগুলো হচ্ছে আল্লাহ পাকের সীমারেখা; যে ব্যক্তি (এর ভেতরে থেকে) তাঁর ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে, আল্লাহ পাক তাকে এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, সেখানে সে যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে; (মূলত) এ হবে এক মহাসাফল্য।
13. Those are limits set by Allah: those who obey Allah and His messenger will be admitted to Gardens with rivers flowing beneath, to abide therein (forever) and that will be the Supreme achievement.
13. Those are limits set by Allah: those who obey Allah and His messenger will be admitted to Gardens with rivers flowing beneath, to abide therein (forever) and that will be the Supreme achievement.
১৪. (অপরদিকে) যে ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করবে এবং তাঁর (নির্ধারিত) সীমারেখা লংঘন করবে, আল্লাহ পাক তাকে (জ্বলন্ত) আগুনে প্রবেশ করাবেন, সেখানে সে যুগ যুগ ধরে থাকবে, তার জন্যে (রয়েছে) অপমানকর শাস্তি।
14. But those who disobey Allah and His Messenger and transgress His limits will be admitted to a Fire, to abide therein: and they shall have a humiliating punishment.
14. But those who disobey Allah and His Messenger and transgress His limits will be admitted to a Fire, to abide therein: and they shall have a humiliating punishment.
১৫. তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা (ব্যভিচারের) দুষ্কর্ম নিয়ে আসবে তাদের (বিচারের) ওপর তোমরা নিজেদের মধ্যে থেকে চার জন সাক্ষী যোগাড় করবে, এরপর সে চার জন লোক যদি (ইতিবাচক) সাক্ষ্য প্রদান করে তাহলে সে নারীদের তোমরা ঘরের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখবে, যতোদিন না মৃত্যু এসে তাদের সমাপ্তি ঘটিয়ে দেয়, কিংবা আল্লাহ পাক তাদের জন্যে অন্য কোনো ব্যবস্থা না করেন।
15. If any of your women are guilty of lewdness, take the evidence of four (reliable) witnesses from amongest you against them; and if they testify, confine them to houses until death do claim them, or Allah ordain for them some (other) way.
15. If any of your women are guilty of lewdness, take the evidence of four (reliable) witnesses from amongest you against them; and if they testify, confine them to houses until death do claim them, or Allah ordain for them some (other) way.
১৬. আর তোমাদের মধ্যে যে দুজন (নর-নারী) এ (ব্যভিচারের) কাজ করবে, তাদের দু'জনকেই তোমরা শাস্তি দেবে, (হ্যাঁ) তারা যদি তাওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে নেয়, তাহলে তাদের (শাস্তি দেয়া ) থেকে তোমরা সরে দাঁড়াও, অবশ্যই মহান আল্লাহ তাওবা কবুলকারী এবং পরম দয়ালু।
16. If two persons among you are guilty of lewdness, punish them both. If they repent and amend, leave them alone; for Allah is Oft-Returning, Most Merciful.
16. If two persons among you are guilty of lewdness, punish them both. If they repent and amend, leave them alone; for Allah is Oft-Returning, Most Merciful.
১৭. আল্লাহ পাকের ওপর শুধু তাদের তাওবাই (কবুলযোগ্য) হবে, যারা ভুলবশত পাপের কাজ করে, অতঃপর (জানামাত্রই) তারা দ্রুত (তা থেকে) ফিরে আসে, (মূলত) এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের ওপর মহান আল্লাহ দয়াপরবশ হন; আর আল্লাহ পাকই হচ্ছেন সকল বিষয়ে জ্ঞানী, কুশলী।
17. Allah accepts the repentance of those who do evil in ignorance and repent soon afterwards; to them will Allah turn in mercy: for Alllah is full of knowledge and wisdom.
17. Allah accepts the repentance of those who do evil in ignorance and repent soon afterwards; to them will Allah turn in mercy: for Alllah is full of knowledge and wisdom.
১৮. আর তাদের জন্যে তাওবা (করার কোনো অবকাশই) নেই, যারা (আজীবন) শুধু পাপ কাজই করে, এভাবেই (পাপ কাজ করতে করতে) একদিন তাদের কারো (দুয়ারে) যখন মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়, তখন সে বলে (হে আল্লাহ!), আমি এখন তাওবা করলাম, (আসলে) তাদের জন্যেও (কোনো তাওবা) নয় যারা কাফের অবস্থায় ইহলীলা সাংগ করলো; এরা হচ্ছে সেসব লোক, যাদের জন্যে অামি কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি।
18. Of no effect is the repentance of those continue to do evil, until death faces one of them, and he says, "Now have I repented indeed;" nor of those who die rejecting Faith; for them have We prepared a chastisement most grievous.
18. Of no effect is the repentance of those continue to do evil, until death faces one of them, and he says, "Now have I repented indeed;" nor of those who die rejecting Faith; for them have We prepared a chastisement most grievous.
১৯. হে মানুষ! তোমরা যারা ঈমান এনেছো তোমাদের জন্যে কখনো জোর করে বিধবা নারীদের উত্তরাধিকারের পণ্য বানানো হালাল নয়, (বিয়ের সময় মোহর হিসেবে) যা তোমরা তাদের দিয়েছো তার কোনো অংশ তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়ার জন্যে তোমরা তাদের আটক করে রেখো না, যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা প্রকাশ্য কোনো ব্যভিচারের কাজে লিপ্ত না হয়, তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন করো, এমনকি তোমরা যদি তাদের পছন্দ নাও করো, এমনও তো হতে পারো, যা কিছু তোমরা পছন্দ করো না তার মধ্যেই মহান আল্লাহ তোমাদের জন্যে অফুরন্ত কল্যাণ নিহিত রেখে দিয়েছেন।
19. O you who believe! you are forbidden to inherit women against their will. Nor should you treat them with harshness, that you may take away part of the dower you have given them, except where they have been guilty of open lewdness, on the contrary live with them on a footing of kindness and equity. If you take a dislike to them it may be that you dislike a thing, and Allah brings about through it a great deal of good.
19. O you who believe! you are forbidden to inherit women against their will. Nor should you treat them with harshness, that you may take away part of the dower you have given them, except where they have been guilty of open lewdness, on the contrary live with them on a footing of kindness and equity. If you take a dislike to them it may be that you dislike a thing, and Allah brings about through it a great deal of good.
২০. আর যদি তোমরা এক স্ত্রীকে অারেকজন স্ত্রী দ্বারা বদল করার সংকল্প করেই নাও, তাহলে (মোহর হিসেবে) বিপুল পরিমাণ সোনাদানা দিলেও তার কোনো অংশ তোমরা তার নিকট থেকে ফেরত নিয়ো না; তোমরা কি (তাদের ওপর মিথ্যা) অপবাদ দিয়ে ও সুস্পষ্ট পাপাচার করে তা ফেরত নিতে চাচ্ছো?
20. But if you decide to take one wife in place of another, even if you had given the latter a whole treasure for dower, take not the least bit of it back: would you take it by slander and a manifest sin?
20. But if you decide to take one wife in place of another, even if you had given the latter a whole treasure for dower, take not the least bit of it back: would you take it by slander and a manifest sin?
২১. তোমরা (মোহরানার) সে অংশটুকু ফেরত নেবেই বা কি করে? অথচ (বিভিন্নভাবে) তোমরা তো একে অন্যের স্বাদ গ্রহণ করেছো, (তাছাড়া এর মাধ্যমে) তারা তোমাদের নিকট থেকে (বিয়ে বন্ধনের) পাকাপাকি একটা প্রতিশ্রুতিও আদায় করে নিয়েছিলো (যা তোমরা ভেংগে দিয়েছো)।
21. And how could you take it when you have gone in unto each other, and they have taken from you a solemn covenant?
21. And how could you take it when you have gone in unto each other, and they have taken from you a solemn covenant?
২২. নারীদের মধ্য থেকে যাদের তোমাদের পিতামহ)-রা বিয়ে করেছে তাদের তোমরা কখনো বিয়ে করো না, (হ্যাঁ, এ নির্দেশ আসার আগে যা হয়ে গেছে তা তো হয়েই গেছে, এটি যা হয়ে গেছে তা তো হয়েই গেছে, এটি (আসলেই) ছিলো এক অশ্লীল (নির্লজ্জ) কাজ এবং খুবই ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট আচরণ।
22. And marry not women whom your fathers married, except what is past: it was shameful and odious, an abominable custom indeed.
22. And marry not women whom your fathers married, except what is past: it was shameful and odious, an abominable custom indeed.
২৩. (বিয়ের জন্যে) তোমাদের ওপর হারাম করে দেয়া হয়েছে তোমাদের মা, তোমাদের মেয়ে, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভাইদের মেয়ে, বোনদের মেয়ে, (আরো অবৈধ করা হয়েছে) সেসব মা , যারা তোমাদের বুকের দুধ খাইয়েছে, তোমাদের দুধ (খাওয়ার সাথী) বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মা, তোমাদের স্ত্রীদের মাঝে যাদের সঙ্গে তোমরা সহবাস করেছো তাদের আগের স্বামীর ঔরসজাত মেয়েরা, যারা তোমাদের অভিভাবকত্ত্বে রযেছে, (অবশ্য) যদি তাদের সাথে তোমাদের (শুধু বিয়ে হয়ে থাকে কিন্তু) তোমরা কখনো তাদের সাথে সহবাস করোনি, তাহলে (তাদের আগের স্বামীর মেয়েদের বিয়ে করায়) তোমাদের জন্যে কোনো দোষ নেই, (তোমাদের জন্যে) তোমাদের নিজেদের ঔরসজাত ছেলেদের স্ত্রীদের অবৈধ করা হয়েছে; (উপরন্তু বিয়ের জন্যে) তোমাদের ওপর দুই বোনকে একত্র করাও (হারাম করা হয়েছে), তবে যা কিছু (এর) আগে সংঘটিত হয়ে গেছে (তা তো হয়েই গেছে, সে ব্যাপারে) অবশ্যই মহান আল্লাহ বড়োই ক্ষমাশীল ও একান্ত দয়াবান।
23. Prohibited to you (for marriage) are: your mothers, daughters, sisters; father's sisters, mother's sisters; brother's daughters, sister's daughters; foster-mothers (who gave you suck), foster-sisters; your wives mothers; your step-daughters under your guardianship, born of you wives to whom you have gone in, no prohibition if you have not gone in, (those who have been) wives of your sons proceeding from your loins; and two sisters in wedlock at one and the same time, except for what is past; for Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful;
23. Prohibited to you (for marriage) are: your mothers, daughters, sisters; father's sisters, mother's sisters; brother's daughters, sister's daughters; foster-mothers (who gave you suck), foster-sisters; your wives mothers; your step-daughters under your guardianship, born of you wives to whom you have gone in, no prohibition if you have not gone in, (those who have been) wives of your sons proceeding from your loins; and two sisters in wedlock at one and the same time, except for what is past; for Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful;
২৪. নারীদের মাঝে বিয়ের দুর্গে অবস্থানকারীদেরও (তোমাদের জন্যে অবৈধ করা হয়েছে), তবে যেসব নারী (যুদ্ধবন্দী হয়ে) তোমাদের অধিকারে এসে পড়েছে তারা ছাড়া, এ হচ্ছে (বিয়ের ব্যাপারে) তোমাদের ওপর আল্লাহ পাকের বিধান, এর বাইরে যে সব (নারী) রয়েছে, তাদের তোমাদের জন্যে (এ শর্তে) বৈধ করা হয়েছে যে, তোমরা (বিয়ের জন্যে) একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ (মোহর) বিনিময় আদায় করে দেবে এবং তোমরা (বিয়ের) সংরক্ষিত দুর্গে অবস্থান করবে, তোমরা অবাধ যৌনস্পৃহা পূরণে (নিয়োজিত) হবে না; অতঃপর তাদের মধ্যে যাদের তোমরা এর মাধ্যমে উপভোগ করবে, তাদের (মোহরের) বিনিময় ফরয হিসেবে আদায় করে দাও, (অবশ্য একবার) এ মোহর নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পর যে (পরিমাণের) ওপর তোমরা উভয়ে একমত হও, তাতে কোনো দোষের কিছু নেই, নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, কুশলী।
24. Also (prohibited are) women already married, except those whom your right hands possess: thus has Allah ordained (prohibitions) against you: except for these, all others are lawful, provided you seek (them in marriage) with gifts from your property,-desiring chastity, not fornication. Give them their dowery for the enjoyment you have of them as a duty; but if, after a dower is prescribed, you agree mutually (to vary it), there is no blarne on you, and Allah is All-Knowing All-Wise.
24. Also (prohibited are) women already married, except those whom your right hands possess: thus has Allah ordained (prohibitions) against you: except for these, all others are lawful, provided you seek (them in marriage) with gifts from your property,-desiring chastity, not fornication. Give them their dowery for the enjoyment you have of them as a duty; but if, after a dower is prescribed, you agree mutually (to vary it), there is no blarne on you, and Allah is All-Knowing All-Wise.
২৫. আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তির স্বাধীন ও সম্ভ্রান্ত কোনো ঈমানদার নারীকে বিয়ে করার (আর্থিক ও সামাজিক) সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সে যেন তোমাদের অধিকারভুক্ত কোনো ঈমানদার নারীকে বিয়ে করে নেয়; তোমাদের ঈমান সম্পর্কে তো আল্লাহ পাক সম্যক অবগত আছেন; (ঈমানের মাপকাঠিতে) তোমরা তো একই রকম, অতঃপর তোমরা তাদের (অধিকারভুক্তদের) অভিভাবকদর অনুমতি নিয়ে বিয়ে করো এবং ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক তাদের যথার্থ মোহরানা দিয়ে দাও (এর উদ্দেশ্য হচ্ছে), তারা যেন বিয়ের দুর্গে সুরক্ষিত হয়ে যায়-(স্বেচ্চাচারিণী হয়ে) পরপুরুষকে আনন্দ দানের কাজে নিয়োজিত না থাকে, এরপর যখন তাদের বিয়ের দুর্গে অবস্থান করে দেয়া হলো, তখন যদি তারা পাপাচারে লিপ্ত হয়, (তখন) তাদের ওপর আরেপপিত শাস্তির পরিমাণ কিন্তু (বিয়ের) দুর্গে অবস্থানকারিণী স্বাধীন (সম্ভ্রান্ত) নারীদের ওপর (আরোপিত শাস্তির) অর্ধেক; তোমাদের মধ্যে যাদের পাপাচারে লিপ্ত হবার আশঙ্কা থাকবে, (শুধু) তাদের জন্যেই এ (বিধান-টুকু (দেয়া হয়েছে); কিন্তু তোমরা যদি ধৈর্যধারণ করতে পারো, অবশ্যই তা তোমাদের জন্যে কল্যাণকর এবং আল্লাহ তাআলা একান্ত ক্ষমাপরায়ণ ও পরম দয়ালু।
25. If any of you have not the means wherewith to wed free believing women, they may wed believing girls from among those whom your right hands possess: and Allah has full knowledge about your Faith. You are one from another: wed them with the leave of their owners, and give them their dowers, according to what is reasonable: they should be caste, not fornicators, nor taking adulterous: when they are taken in wedlock, if they commit indecency their punishment is half that for free women. This (permission) is for those among you who fear sin; but it is better for you that you practice self-restraint. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
25. If any of you have not the means wherewith to wed free believing women, they may wed believing girls from among those whom your right hands possess: and Allah has full knowledge about your Faith. You are one from another: wed them with the leave of their owners, and give them their dowers, according to what is reasonable: they should be caste, not fornicators, nor taking adulterous: when they are taken in wedlock, if they commit indecency their punishment is half that for free women. This (permission) is for those among you who fear sin; but it is better for you that you practice self-restraint. And Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
২৬. মহান আল্লাহ (তাঁর বাণীসমূহ) তোমাদের কাছে খুলে খুলে বলে দিতে চান এবং তিনি তোমাদের -তোমাদের পূর্ববর্তী (পুণ্যবান) মানুষদের সঙ্গে পরিচালিত করতে চান, আর (এর মাধ্যমে) আল্লাহ পাক তোমাদের মাফ (অনুগ্রহ) করতে চান, আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, কুশলী।
26. Allah doth wish to make clear to you and to guide you into the ways of those before you; and (He doth wish to) turn to you (in Mercy): and Allah is All-Knowing, All-Wise.
26. Allah doth wish to make clear to you and to guide you into the ways of those before you; and (He doth wish to) turn to you (in Mercy): and Allah is All-Knowing, All-Wise.
২৭. আল্লাহ তা'আলা তোমাদের ওপর ক্ষমাপরবশ হতে চান, (অন্যদিকে) যারা নিজেদের (পাশবিক) লালসার অনুসরণ করে, তারা চায়, তোমরা সে মাফের পথ থেকে বহুদূরে (নিক্ষিপ্ত হয়ে গোমরাহ) থেকে যাও।
27. Allah doth wish to turn to you, but the wish of those who follow their lusts is that you should turn away (from Him), far, far away.
27. Allah doth wish to turn to you, but the wish of those who follow their lusts is that you should turn away (from Him), far, far away.
২৮. মহান আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে বিধি নিষেধের বোঝা লঘু করে (তোমাদের জীবন সহজ করে) দিতে চান, (কারণ) মানুষকে দূর্বল করে পয়দা করা হয়েছে।
28. Allah doth wish to lighten your (burdens): for man was created weak (in resolution).
28. Allah doth wish to lighten your (burdens): for man was created weak (in resolution).
২৯. হে মানুষ! তোমরা যারা ঈমান এনছো, (কখনো) তোমরা একে অন্যের ধন-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না, (হ্যাঁ), ব্যবসা-বাণিজ্য যা করবে তা পারস্পিরিক সম্মতির ভিত্তিতেই করবে এবং কখনো (স্বার্থের কারণে) একে অপরকে হত্যা করো না, অবশ্যই আল্লাহ পাক তোমাদের প্রতি মেহেরবান।
29. Oh you who believe! eat not up your property among yourselves in vanities: but let there be amongest you traffic and trade by mutual good-will: nor kill (or destroy) yourselves: for verily Allah has been to you Most Merciful.
29. Oh you who believe! eat not up your property among yourselves in vanities: but let there be amongest you traffic and trade by mutual good-will: nor kill (or destroy) yourselves: for verily Allah has been to you Most Merciful.
৩০. যে কেউই বাড়াবাড়ি ও অত্যাচার করতে গিয়ে এ (হত্যার) কাজ করে, অচিরেই আমি তাকে আগুনে পুড়িয়ে দেবো, (আর) মহান আল্লাহর পক্ষে এ কাজ একবারেই সহজ (মোটেই কঠিন কিছু নয়)।
30. If any do that in rancour and injustice,-Soon shall We cast him into the Fire: and easy it is for Allah.
30. If any do that in rancour and injustice,-Soon shall We cast him into the Fire: and easy it is for Allah.
৩১. যদি তোমরা সে সমস্ত বড় বড় পাপ থেকে বেঁচে থাকো, যা থেকে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে, তাহলে তোমাদের (ছোটোখাটো) পাপ আমি (এমনিই) তোামাদের (হিসাব) থেকে মুছে দেবো এবং অত্যন্ত সম্মানজনক স্থানে আমি তোমাদের প্রবেশ করাবো।
31. If you (but) eschew the most heinous of the things which you are forbidden to do, We shall remit your evil deeds, and admit you to a Gate of great honour.
31. If you (but) eschew the most heinous of the things which you are forbidden to do, We shall remit your evil deeds, and admit you to a Gate of great honour.
৩২. মহান আল্লাহ তোমাদের একজনের ওপর আরেকজনকে যা (কিছু বেশী) দান করেছেন, তোমরা (তা পাওয়ার) লালসা করো না, যা কছিু পুরুষরা উপার্জন করলো তা তাদেরই অংশ হবে; আবার নারীরা যা কিছু অর্জন করলো তাও (হবে) তাদেরই অংশ; তোমরা আল্লাহ পাকের নিকট থেকে তাঁর দয়া (পাওয়ার জন্যে) প্রার্থনা করো; অবশ্যই আল্লাহ পাক প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রয়েছেন।
32. And in no wise covet those things in which Allah has bestowed His gifts more freely on some of you than on others: to men is allotted what they earn, and to women what they earn: but ask Allah of His bounty. For Allah has full knowledge of all things.
32. And in no wise covet those things in which Allah has bestowed His gifts more freely on some of you than on others: to men is allotted what they earn, and to women what they earn: but ask Allah of His bounty. For Allah has full knowledge of all things.
৩৩. পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজনের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আমি সবার জন্যেই অভিভাবক বানিয়ে রেখেছি; যাদের সঙ্গে তোমাদের কোনো চুক্তি কিংবা অঙ্গীকার রয়েছে তাদের পাওনা (পুরোপুরিই) আদায় করে দেবে, আল্লাহ পাক অবশ্যই প্রতিটি বিষয়ের ওপর সাক্ষী হয়ে আছেন।
33. To (benefit) everyone. We have appointed sharers and heirs to property left by parents and relatives. To those, also, to whom your right hand was pledged, give their due portion. For truly Allah is witness to all things.
33. To (benefit) everyone. We have appointed sharers and heirs to property left by parents and relatives. To those, also, to whom your right hand was pledged, give their due portion. For truly Allah is witness to all things.
৩৪. পুরুষরা হচ্ছে নারীদের (কাজকর্মের) ওপর প্রহরী, কেননা, আল্লাহ পাক এদের একজনকে আরেকজনের ওপর (কিছু বিশেষ) সম্মান প্রদান করেছেন; (পুরুষের এই সম্মানের) একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে, (প্রধানত) তারাই দাম্পত্য জীবনের জন্যে) নিজেদের অর্থ সম্পদ ব্যয় করে, অতএব সতী-সাব্ধী নারী হবে (একান্ত) অনুগত, (পুরুষদের) অনুপস্থিতিতে তারা (স্বয়ং) আল্লাহর তত্ত্বাবধানে (থেকে) নিজেদের (ইজ্জত-আবরু ও অন্যান্য) সব অদেখা কিছুর রক্ষণাবেক্ষণ করবে; আর যখন কোনো নারীর অবাধ্যতার (ঐদ্ধত্যের) ব্যাপারে তোমরা আশঙ্কা করো, তখন তোমরা তাদের (ভালো কথার) উপদেশ দাও, (তা কার্যকর না হলে) তাদের সঙ্গে একই বিছানায় থাকা ছেড়ে দাও, (তাতেও যদি তারা সংশোধিত না হয় তাহলে চূড়ান্ত ব্যবস্থা হিসেবে) তাদের (মৃদু) প্রহার করো, তবে যদি তা (এমনিই) অনুগত হয়ে যায়, তাহলে তাদের (খামাখা কষ্ট দেয়ার) ওপর অজুহাত খুঁজে বেড়িয়ো না; অবশ্যই আল্লাহ পাক সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবার চাইতে মহান!
34. Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has given the one more (strength) than the other, and because they support them from their means. Therefore the righteous women devoutly obedient and guard in (the husband's absence) what Allah would have them guard. As to those women on those part you fear disloyalty and ill-conduct, admonish them (first), (nest), refuse to share their beds, (and last) beat them (lightly); but if they return to obedience, seek not against them means (of annoyance): for Allah is Most High, Great (above you all)
34. Men are the protectors and maintainers of women, because Allah has given the one more (strength) than the other, and because they support them from their means. Therefore the righteous women devoutly obedient and guard in (the husband's absence) what Allah would have them guard. As to those women on those part you fear disloyalty and ill-conduct, admonish them (first), (nest), refuse to share their beds, (and last) beat them (lightly); but if they return to obedience, seek not against them means (of annoyance): for Allah is Most High, Great (above you all)
৩৫. আর যদি তাদের (স্বামী-স্ত্রী এ) দু'জনের মাঝে বিচ্ছেদের আশঙ্কা দেখা দেয়, তাহলে তার পক্ষ থেকে একজন সালিস এবং তার (স্ত্রীর) পক্ষ থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করো, (আসলে) উভয়ে যদি নিজেদের নিস্পত্তি চায়, তাহলে আল্লাহ পাক তাদের (পুনরায় মীমাংসায় পৌছার) তাওফীক দেবেন, মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই সম্যক জ্ঞানী, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।
35. If you fear a breach between them twain, appoint (two) arbiters, one from his family, and the other from hers; if they seek to set things aright, Allah will cause their reconciliation: for Allah has full knowledge, and is acquainted with all things.
35. If you fear a breach between them twain, appoint (two) arbiters, one from his family, and the other from hers; if they seek to set things aright, Allah will cause their reconciliation: for Allah has full knowledge, and is acquainted with all things.
৩৬. তোমরা এক আল্লাহ পাকের ইবাদত করো, কোনো কিছুকেই তাঁর সঙ্গে অংশীদার বানিয়ো না এবং পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করো, (আরো ) যারা (তোমাদের) ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, এতীম, মিসকীন, আত্মীয় প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, (তোমার) পথচারী সঙ্গী ও তোমার অধিকারভূক্ত (দাস দাসী, তাদের সবার সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করো), অবশ্যই আল্লাহ পাক এমন মানুষকে কখনো পছন্দ করেন না, যে অহঙ্কারী ও দাম্ভিক।
36. Serve Allah, and join not any partners with Him; and do good-to parents, kinsfolk, orphans, those in need, neighbours who are of kin neighbours who are strangers, the Companion by your side, the wayfarer (you meet), and what your right hands possess: for Allah loveth not the arrogant, vainglorious;-
36. Serve Allah, and join not any partners with Him; and do good-to parents, kinsfolk, orphans, those in need, neighbours who are of kin neighbours who are strangers, the Companion by your side, the wayfarer (you meet), and what your right hands possess: for Allah loveth not the arrogant, vainglorious;-
৩৭. (আল্লাহ পাক এমন ধরনের লোকদেরও ভালোবাসেন না) যারা নিজেরা (যেমন) কার্পণ্য করে, (তেমনি) অন্যদেরও কার্পণ্যকরার আদেশ করে, (তাছাড়া) মহান আল্লাহ তাদের যা কিছু (ধন-সম্পদের) অনুগ্রহ দান করেছেন তারা তা লুকিয়ে রাখে; আমি কাফেরদের জন্যে এক লাঞ্চনাদায়ক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি।
37. (Nor) those who are niggardly, enjoin niggardliness on others, hide the bounties which Allah has bestowed on them; for We have prepared, for those who resist Faith, a Punishment that steeps them in contempt;
37. (Nor) those who are niggardly, enjoin niggardliness on others, hide the bounties which Allah has bestowed on them; for We have prepared, for those who resist Faith, a Punishment that steeps them in contempt;
৩৮. (আল্লাহ পাক তাদেরও পছন্দ করেন না) যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নিজেদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তারা আল্লাহ পাক এবং শেষ বিচারের দিনকেও বিশ্বাস করে না; (আর) শয়তান যদি কোনো ব্যক্তির সঙ্গী হয় তাহলে (বুঝতে হবে) সে বড়োই খারাপ সঙ্গী (পেলো)।
38. Nor those who spend of their substance, to be seen of men, and have no faith in Allah and the Last Day: if any take the Satan for their companion, what a dreadful companion he is!
38. Nor those who spend of their substance, to be seen of men, and have no faith in Allah and the Last Day: if any take the Satan for their companion, what a dreadful companion he is!
৩৯. কি (দুর্যোগ) তাদের ওপর দিয়ে বয়ে যেতো যদি তারা (শয়তানকে সাথী বানানোর বদলে) আল্লাহ পাকের ওপর ঈমান আনতো এবং ঈমান আনতো পরকাল দিবসের ওপর, সর্বোপরি মহান আল্লাহ তাদের যা কিছু দান করেছেন তা থেকে তারা ব্যয় করতো; (বস্তুত) আল্লাহ পাক তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে ভালোভাবেই জ্ঞাত রযেছেন।
39. And what burden were it on them if they had faith in Allah and in the Last Day, and they spent out of what Allah has given them for sustenance? For Allah has full knowledge of them.
39. And what burden were it on them if they had faith in Allah and in the Last Day, and they spent out of what Allah has given them for sustenance? For Allah has full knowledge of them.
৪০. আল্লাহ পাক কারো ওপর এক বিন্দু পরিমাণও অত্যাচার করেন না, (বরং তিনি তো এতো দয়ালু যে, ) নেকীর কাজ যদি একটি হয় তাহলে তিনি তার পরিমাণ দ্বিগুণ করে দেন এবং (এর সাথে) তিনি নিজ থেকেও বড় কিছু পুরস্কার যোগ করেন।
40. Allah is never unjust in the lest degree: if there is any good (done). He doubleth it, and giveth from His Own self a great reward.
40. Allah is never unjust in the lest degree: if there is any good (done). He doubleth it, and giveth from His Own self a great reward.
৪১. সেদিন (তাদের অবস্থাটা) কেমন হবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মতের (কাজে) সাক্ষী (হিসেবে তাদের নবীকে) এনে উপস্থিত করবো এবং (হে মুহাম্মদ!) এদের সবার কাছে সাক্ষী হিসেবে আমি (সেদিন) তোমাকে নিয়ে আসবো।
41. how then if We brought from each People a witness, and We brought thee as a withness against the People.
41. how then if We brought from each People a witness, and We brought thee as a withness against the People.
৪২. সেদিন যারা মহান আল্লাহকে অস্বীকার করেছে এবং (তাঁর) রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছে, তারা কামনা করবে, মাটি যদি তাদের নিজেদের সাথে মিশে একাকার হয়ে যেতো! (কারণ সেদিন) কোনো মানুষ কোনো কথাই (মহাবিচারক) আল্লাহ পাকের নিকট থেকে গোপন করতে পারবে না।
42. On that day those who reject Faith and disobey the Messenger will wish that the earth were made one with them: but never will they hide a single fact from Allah.
42. On that day those who reject Faith and disobey the Messenger will wish that the earth were made one with them: but never will they hide a single fact from Allah.
৪৩. হে ঈমানদাররা! তোমরা কখনো নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের কাছে যেও না, যতক্ষণ পর্যন্ত (তোমরা এতোটুকু নিশ্চিত না হবে যে), তোমরা যা কিছু বলছো তা তোমরা (ঠিক ঠিক) জানতে (ও বুঝতে) পারছো, (আবার) অপবিত্র অবস্থায়ও (নামাযের কাছে যেও) না, যতক্ষণ না তোমরা (পুরোপুরিভাবে) গোসল সেরে নেবে, তবে পথচারী অবস্থায় থাকলে তা অন্য কথা, (আর) যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে পড়ো কিংবা প্রবাসে থাকো, কিংবা তোমাদের কেউ যদি পায়খানা থেকে (ফিরে) আসো অথবা তোমরা যদি (দৈহিক মিলনের সাথে) নারী স্পর্শ করো (তাহলে পানি নিয়ে নিজেদের পরিস্কার করে নেবে), আর যদি (এসব অবস্থায়) পানি না-ই পাও, তাহলে পবিত্র মাটি নিয়ে তায়াম্মুম করে নেবে (এবং তার পদ্ধতি হচ্ছে), তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও তোমাদের হাত মাসেহ করে নেবে, অবশ্যই আল্লাহ পাক পাপ মার্জনাকারী, পরম ক্ষমাশীল।
43. O you who believe! approach not prayers in a state of intoxication, until you can understand all that you say,-nor in a state of ceremonial impurity except when you are passing by (through the mosque). Until after washing your whole body. If you are ill, or on a journey, or one of you cometh from the privy, or you have been in contact with women, and you find no water, then take for yourselves clean sand (or earth), and rub therewith your faces and hands. For Allah doth blot out sins and forgive again and again.
43. O you who believe! approach not prayers in a state of intoxication, until you can understand all that you say,-nor in a state of ceremonial impurity except when you are passing by (through the mosque). Until after washing your whole body. If you are ill, or on a journey, or one of you cometh from the privy, or you have been in contact with women, and you find no water, then take for yourselves clean sand (or earth), and rub therewith your faces and hands. For Allah doth blot out sins and forgive again and again.
৪৪. (হে নবী)! আপনি কি তাদের (অবস্থা) দেখেননি, যাদের (আসমানী) গ্রন্থের (সামান্য) একটা অংশ দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু তারা গোমরাহীর পথই কিনে নিচ্ছে, তারা তো চায় তোমরা যেন পথভ্রষ্ট হয়ে যাও।
44. hast thou not turned thy thought to those who were given a portion of the Book? They traffic in error , and wish that you should lose the right path.
44. hast thou not turned thy thought to those who were given a portion of the Book? They traffic in error , and wish that you should lose the right path.
৪৫. তোমাদের দুশমনদের আল্লাহ পাক ভালো করেই জানেন; অভিভাবক হিসেবে (যেমন) মহান আল্লাহ যথেষ্ট, তেমনি সাহায্যকারী হিসেবেও আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।
45. But Allah has full knowledge of your enemies: Allah is enough for a Protector, and Allah is enough for a Helper.
45. But Allah has full knowledge of your enemies: Allah is enough for a Protector, and Allah is enough for a Helper.
৪৬. ইহুদী জাতির মধ্যে কিছু লোক এমন আছে যারা (রসূলের) কথাগুলো মূল (অর্থের) স্থান থেকে সরিয়ে (বিকৃত করে) দেয় এবং তারা বলে, আমরা শুনলাম এবং (সঙ্গে সঙ্গে) অমান্যও করলাম, (আবার বলে) আমাদের কথা শুনুন, (আসলে ইসলামী) জীবন বিধানে অপবাদ দানের উদ্দেশ্যে নিজেদের জিহ্বাকে কুঞ্চিত করে এরা বলে (হে নবী!) আপনি শুনুন (সাথে সাথেই বলে), আপনার শ্রবণশক্তি রহিত হয়ে যাক, (কিন্তু এসব কথা না বলে) তারা যদি বলতো (হে নবী)! আমরা (আপনার কথা) শুনলাম এবং (তা) মেনে নিলাম এবং আপনি আমাদের কথা শুনুন, আমাদের প্রতি লক্ষ্য করুন, তাহলে এ বিষয়টা তাদের জন্যে কতোই না ভালো হতো, তাই হতো (বরং) তাদের জন্যে সঙ্গত, কিন্তু সত্য অস্বীকার করার জন্যে তাদের ওপর আল্লাহ পাক লা'নত দিয়েছেন, অতঃপর (তাদের) সামান্য কিছু লোকই মাত্র ঈমান এনে থাকে।
46. Of the Jews there are those who displace words from their (right) places, and say: "We hear and we disobey" and "Here, may you not hear, and Ra'ina with a twist of their tongues and a slander hear and we obey; and Do hear; and Do look at us: it would have been better for them, and more proper; but Allah has cursed them for their Unbelief; and but few of them will believe.
46. Of the Jews there are those who displace words from their (right) places, and say: "We hear and we disobey" and "Here, may you not hear, and Ra'ina with a twist of their tongues and a slander hear and we obey; and Do hear; and Do look at us: it would have been better for them, and more proper; but Allah has cursed them for their Unbelief; and but few of them will believe.
৪৭. হে মানুষেরা! যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে, তোমরা সেই গ্রন্থের ওপর ঈমান আনো, যা আমি (মুহাম্মাদের ওপর) অবতীর্ণ করেছি (এ হচ্ছে এমন এক বিতাব), যা তোমাদের কাছে মজুদ (পূর্ববর্তী) কিতাবের সত্যতা স্বীকার করে, (ঈমান আনো) সে সময় আসার পূর্বে, যখন আমি (পাপিষ্ঠদের) চেহারাসমূহ বিকৃত করে তাকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেবো, অথবা (ইহুদীদের পবিত্র দিন) শনিবারের অবমাননাকারীদের) প্রতি আমি যেভাবে লা'নত নাযিল করেছি (তেমনি কোনো বড়ো বিপর্যয় আসার আগেই ঈমান আনো), আর আল্লাহ পাকের হুকুম, সে তো অবধারিত।
47. O you People of the Book! believe in what We have (now) revealed, confirming what was (already) with you, before We change the face and fame of some (of you) beyond all recognition, and turn them hindwards, or curse them as We cursed the Sabbath-breakers, for the decision of Allah must be carried out.
47. O you People of the Book! believe in what We have (now) revealed, confirming what was (already) with you, before We change the face and fame of some (of you) beyond all recognition, and turn them hindwards, or curse them as We cursed the Sabbath-breakers, for the decision of Allah must be carried out.
৪৮. নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ কখনো (সে পাপ) মাফ করবেন না) যেখানে তাঁর সাথে কাউকে শরীক করা হয়, এ ছাড়া অন্য সব পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার বানালো সে সত্যিই (আল্লাহর ওপর) মিথ্যা আরোপ করলো এবং একটা মহাপাপে (নিজেকে) জড়ালো!
48. Allah forgiveth not that partners should be set up with Him; but he forgiveth anything else, to whom he pleaseth; to set up partners with Allah is to devise a sin most heinous indeed.
48. Allah forgiveth not that partners should be set up with Him; but he forgiveth anything else, to whom he pleaseth; to set up partners with Allah is to devise a sin most heinous indeed.
৪৯. (হে নবী)! আপনি কি তাদের অবস্থা দেখেননি যারা নিজেদের খুব পবিত্র মনে করে, অথচ আল্লাহ পাক যাকে ইচ্ছা তাকেই পবিত্র করেন এবং (সেদিন) তাদের ওপর এক বিন্দু পরিমাণও অত্যাচার করা হবে না।
49. hast thou not turned thy thought to those who claim purity for themselves? Nay-but Allah doth purify whom He pleaseth. And they will not be wronged a bit.
49. hast thou not turned thy thought to those who claim purity for themselves? Nay-but Allah doth purify whom He pleaseth. And they will not be wronged a bit.
৫০. (এদের প্রতি) তাকিয়ে দেখো কিভাবে এরা আল্লাহ পাকের ওপর মিথ্যা আরোপ করছে, প্রকাশ্য পাপ হিসেবে এটাই তো (এদের জন্যে) যথেষ্ট!
50. Behold! how they invent a lie against Allah! But that by itself is a manifest sin!
50. Behold! how they invent a lie against Allah! But that by itself is a manifest sin!
৫১. আপনি কি তাদের (অবস্থা) দেখেননি, যাদেরকে (মহান আল্লাহর) কিতাবের কিছু অংশ দান করা হয়েছিলো, (তারা আস্তে আস্তে) নানা ধরনের ভিত্তিহীন অমূলক যাদুমন্ত্র জাতীয় জিনিস ও (বহুতরো) মিথ্যা মা'বুদের ওপর ঈমান আনতে শুরু করলো এবং এ কাফেরদের সম্পর্কে তারা বলতে লাগলো, ঈমানদারদের তুলনায় এরাই তো সঠিক পথের ওপর রয়েছে!
51. Hast thou not turned thy thought to those who were given a portion of the Book? They believe in sorcery and Tagut and say to the Unbelievers that they are better guided in the (right) way than the Believers!
51. Hast thou not turned thy thought to those who were given a portion of the Book? They believe in sorcery and Tagut and say to the Unbelievers that they are better guided in the (right) way than the Believers!
৫২. এরাই হচ্ছে সেই (হতভাগ্য) মানুষগুলো, যাদের ওপর আল্লাহ পাক লা'নত করেছেন, আর আল্লাহ পাক যার ওপর লা'নত পাঠান তার জন্যে তুমি কখনো কোনো সাহায্যকারী পাবে না।
52. They are (men) whom Allah has curse: and those whom Allah has cursed, thou wilt find, have no one to help.
52. They are (men) whom Allah has curse: and those whom Allah has cursed, thou wilt find, have no one to help.
৫৩. কিন্তু (এরা কি মনে করে যে), তাদের আগে রাজত্ব (ও প্রাচুর্য সংক্রান্ত কিছু বরাদ্দ করা) আছে? (যদি সত্যি সত্যিই তেমন কিছু এদের দেয়া হতো) তাহলে এরা তো খেজুর পাতায় একটি ঝিল্লিও কাউকে দিতে চাইতো না।
53. Have they a share in dominion or power? Behold, they give not a farthing to their fellow-men?
53. Have they a share in dominion or power? Behold, they give not a farthing to their fellow-men?
৫৪. কিংবা এরা কি অন্যান্য মানব সন্তানদের ব্যাপারে হিংসা (বিদ্বেষ) পোষণ করে, যাদের মহান আল্লাহ নিজস্ব ভান্ডার থেকে (জান, কৌশল ও রাজনৈতিক ক্ষমতা) দান করেছেন, (অথচ) আমি তো ইব্রাহীমের বংশধরদেরও (আমার) গ্রন্থ (ও সেই গ্রন্থলব্ধ) জ্ঞান-বিজ্ঞান দান করেছিলাম, (এর সঙ্গে) আমি তাদের (এক বিশাল পরিমাণ) রাজত্বও দান করেছিলাম।
54. Or do they envy mankind for what Allah has given them of His bounty? But We had already given the people of Abraham the Book and Wisdom, and conferred upon them a great kingdom.
54. Or do they envy mankind for what Allah has given them of His bounty? But We had already given the people of Abraham the Book and Wisdom, and conferred upon them a great kingdom.
৫৫. তারপর তাদের মধ্যে সামান্য কিছু লোকই তার ওপর ঈমান এনেছে, আবার কেউ কেউ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে; এদের (পুড়িয়ে দেয়ার) জন্যে দোযখই যথেষ্ট!
55. Some of them believed, and some of them averted their faces from him: and enough is Hell for a burning fire.
55. Some of them believed, and some of them averted their faces from him: and enough is Hell for a burning fire.
৫৬. যারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে তাদের আমি অচিরেই জাহান্নামের আগুনে পুড়িয়ে দেবো, অতঃপর (পুড়ে যখন) তাদের দেহের চামড়া গলে যাবে তখন আমি তার পরিবর্তে নতুন চামড়া বানিয়ে দেবো, যাতে করে তারা আযাব ভোগ করতে পারে, অবশ্যই আল্লাহ পাক মহাপরাক্রমশালী, বিজ্ঞ, কুশলী।
56. Those who reject our Signs, We shall soon cast into the Fire: as often as their skins are roasted through. We shall change them for fresh skins, that they may taste the Chastisement: for Allah is Exalted in Power, Wise
56. Those who reject our Signs, We shall soon cast into the Fire: as often as their skins are roasted through. We shall change them for fresh skins, that they may taste the Chastisement: for Allah is Exalted in Power, Wise
৫৭. যারা (আমার) আয়াতসমূহ বিশ্বাস করেছে এবং ভালো কাজ করেছে, তাদের অচিরেই আমি এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবো,যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্নাধারা প্রবাহিত হবে, সেখানে তারা (থাকবে) অনন্তকাল, তাদের জন্যে থাকবে পুতপবিত্র (সঙ্গেী)ও সঙ্গিনীরা, (সর্বোপরি) আমি তাদের এক চিরস্নিগ্ধ ছায়ায় প্রবেশ করিয়ে দেবো।
57. But those who believe and do deeds of righteousness, We shall soon admit to Gardens, with rivers flowing beneath, their eternal home: therein shall they have spouses purified We shall admit them to shades, cool and ever deepening.
57. But those who believe and do deeds of righteousness, We shall soon admit to Gardens, with rivers flowing beneath, their eternal home: therein shall they have spouses purified We shall admit them to shades, cool and ever deepening.
৫৮. (হে ঈমানদার ব্যক্তিরা)! আল্লাহ পাক তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, তোমরা আমানতসমূহ তাদের (যথার্থ) মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেবে, আর যখন মানুষের মাঝে (কোনো কিছুর) ব্যাপারে তোমরা বিচার ফয়সালা করো তখন তা ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে করবে; মহান আল্লাহ তোমাদের যা কিছু উপদেশ দেন তা সত্যিই সুন্দর! আল্লাহ পাক সবকিছু দেখেন এবং শোনেন।
58. Allah doth command you to render back you Trusts to those to whom they are due; and when you judge between people that you judge with justice: verily how excellent is the teaching which He giveth you! For Allah is He who heareth and seeth all things.
58. Allah doth command you to render back you Trusts to those to whom they are due; and when you judge between people that you judge with justice: verily how excellent is the teaching which He giveth you! For Allah is He who heareth and seeth all things.
৫৯. হে ঈমানদার মানুষেরা! তোমরা মহান আল্লাহর আনুগত্য করো, আনুগত্য করো (তাঁর) রাসূলের এবং সেসব লোকদের, যারা তোমাদের মাঝে দায়িত্বপ্রাপ্ত, অতঃপর কোনো ব্যাপারে তোমরা যদি একে অন্যের সাথে মতবিরোধ করো, তাহলে সে বিষয়টি (ফয়সালার জন্যে) আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও, যদি তোমরা (সত্যিকার অর্থে) মহান আল্লাহর ওপর এবং শেষ বিচারের দিনের ওপর ঈমান এনে থাকো! (তাহলে) এ পদ্ধিতিই হবে (তোমাদের বিরোধ মীমাংসায়) সর্বোৎকৃষ্ট উপায় এবং বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহের ব্যাখার দিক থেকে (এটি) হচ্ছে উত্তম পন্থা।
59. Oh you who believe! obey Allah, and obey the Messenger, and those charged with authority among you. If you differ in anything among yourselves, refer it to Allah and His messenger, if you do believe in Allah and the Last Day: that is best, and most suitable for final determination.
59. Oh you who believe! obey Allah, and obey the Messenger, and those charged with authority among you. If you differ in anything among yourselves, refer it to Allah and His messenger, if you do believe in Allah and the Last Day: that is best, and most suitable for final determination.
৬০. (হে নবী)! আপনি কি তাদের (অবস্থা) দেখেননি যারা মনে করে, তারা সে বিষয়ের ওপর ঈমান এনেছে যা আপনার নিকট পাঠানো হয়েছে এবং সে (কিতাবের) ওপরও ঈমান এনেছে, যা আপনার আগে অবতীর্ণকরা হয়েছে, কিন্তু (ফয়সালার সময় আমার কিতাবের বদলে) এরা মিথ্যা মাবুদদের কাছ থেকেই ফয়সালা পেতে চায়, অথচ এদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো, তারা এসব (মিথ্যা মাবুদদের) অস্বীকার করবে; (আসল কথা হচ্ছে) শয়তান এদের সত্য থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিতে যেতে চায়।
60. Hast thou not turned thy thought to those who declare that they believe in the revelations that have come to thee and to those before thee? Their (real) wish is to resort together for judgment (in their disputes) to the Evil (tagut) though they were ordered to reject him. But Satan's wish is to lead them astray far away (from the Right).
60. Hast thou not turned thy thought to those who declare that they believe in the revelations that have come to thee and to those before thee? Their (real) wish is to resort together for judgment (in their disputes) to the Evil (tagut) though they were ordered to reject him. But Satan's wish is to lead them astray far away (from the Right).
৬১. এদের যখন বলা হয়, আল্লাহ পাক তাঁর রাসূলের ওপর যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন তোমরা তার দিকে (ফিরে) এসো, তখন তুমি এই মুনাফিকদের দেখবে, এরা তোমরার নিকট থেকে (একে একে) মুখ ফিরিয়ে দূরে সরে যাচ্ছে।
61. When it is said to them: "Come to what Allah has revealed, and to the Messenger" thou seest the Hypocrites avert their faces from thee in disgust.
61. When it is said to them: "Come to what Allah has revealed, and to the Messenger" thou seest the Hypocrites avert their faces from thee in disgust.
৬২. অতঃপর তাদের কৃতকর্মের জন্যে যখন তাদের ওপর কোনো বিপদ-মসিবত এসে পড়ে, তখন এদের অবস্থাটা কি হয়? তারা তখন সবাই তোমার কাছে (ছুটে) আসে এবং মহান আল্লাহর নামের কসম করে তোমাকে বলে, আমরা তো কল্যাণ সস্প্রীতি ব্যতীত আর কিছুই চাইনি।
62. How then, when they are seized by misfortune, because of the deeds which their hands have sent forth? then they come to thee, swearing by Allah: "We meant no more than good-will and conciliation!"
62. How then, when they are seized by misfortune, because of the deeds which their hands have sent forth? then they come to thee, swearing by Allah: "We meant no more than good-will and conciliation!"
৬৩. এদের মনের ভেতরে কি (অভিসন্ধি লুকিয়ে) আছে তা আল্লাহ পাক ভালো করেই জানেন, তাই আপনি এদের এড়িয়ে চলুন, আপনি এদের ভালো উপদেশ দিন এমন সব কথায়, যা তাদের (অন্তর) ছুঁয়ে যায়।
63. Those men,-Allah knows what is in their heart; so keep clear of them but admonish them, and speak to them a word to reach their very souls.
63. Those men,-Allah knows what is in their heart; so keep clear of them but admonish them, and speak to them a word to reach their very souls.
৬৪. (আপনি আরো বলুন) আমি যখনই কোনো (জনপদে) কোনো রাসূল পাঠিয়েছি, তাকে এ জন্যেই পাঠিয়েছি যে, মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তার (শর্তহীন) আনুগত্য করা হবে; যখনি তারা নিজেদের ওপর কোনো অত্যাচার করবে, তখনি তারা তোমার নিকট (ছুটে) আসবে এবং নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে আল্লাহ পাকের নিকট মাফ চাইবে, আল্লাহর রাসূলও (তাদের জন্যে) মাফ চাইবে, এমতাবস্থায় তারা অবশ্যই মহান আল্লাহকে পরম ক্ষমাশীল ও অতীব দয়ালু হিসেবে (দেখতে) পাবো!
64. We sent not a Messenger, but to be obeyed, in accordance with the leave of Allah. If they had only, when they were unjust to themselves, come unto thee and asked Allah's forgiveness. And the Messenger had asked forgiveness for them, they would have found Allah indeed Oft-Returning, Most Merciful.
64. We sent not a Messenger, but to be obeyed, in accordance with the leave of Allah. If they had only, when they were unjust to themselves, come unto thee and asked Allah's forgiveness. And the Messenger had asked forgiveness for them, they would have found Allah indeed Oft-Returning, Most Merciful.
৬৫. না, তোমার প্রভুর শপথ, এরা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের সমস্ত মতবিরোধের ফয়সালায় তোমাকে (শর্তহীনভাবে) বিচারক মেনে নেবে, অতঃপর তুমি যা ফয়সালা করবে সে ব্যাপারে তাদের মনে আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে না, বরং তোমার সিদ্ধান্ত তারা সর্বান্তকরণে মেনে নেবে।
65. But no, by thy lord, they can have no (real) Faith, until they make thee judge in all disputes between them, and find in their souls no resistance against thy decisions, but accept them with the fullest conviction.
65. But no, by thy lord, they can have no (real) Faith, until they make thee judge in all disputes between them, and find in their souls no resistance against thy decisions, but accept them with the fullest conviction.
৬৬. আমি যদি তাদের ওপর এ আদেশ জারি করতাম যে, তোমরা নিজেদের জীবন বিসর্জন দাও কিংবা তোমরা নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে (অন্যত্র চলে) যাও, (তাহলে) তাদের মধ্যে সামান্য সংখ্যক মানুষই তা করতো, যেসব উপদেশ তাদের দেয়া হয়েছে তা যদি তারা মেনে চলতো, তবে তা তাদের জন্যে খুবই মঙ্গলজন হতো এবং (তাদের) মানসিক স্থিরতাও (এতে করে) মজবুত হতো।
66. If We had ordered them to sacrifice their lives or to leave their homes, very few of them would have done it: but if they had done what they were (actually) told, it would have been best for them, and would have gone farthest to strengthen their (faith);
66. If We had ordered them to sacrifice their lives or to leave their homes, very few of them would have done it: but if they had done what they were (actually) told, it would have been best for them, and would have gone farthest to strengthen their (faith);
৬৭. তাহলে আমিও আমার তরফ থেকে (এ জন্যে) তাদের বড় ধরনের পুরস্কার দিতাম।
67. And We should then have given them from Ourselves a great reward;
67. And We should then have given them from Ourselves a great reward;
৬৮. (উপরন্তু) আমি তাদের সরল পথও দেখিয়ে দিতাম!
And We should have shown them the Straight Way.
And We should have shown them the Straight Way.
৬৯. যারা মহান আল্লাহ ও (তাঁর) রাসূলের আনুগত্য করে, তারা (শেষ বিচারের দিন সেসব) পুণ্যবান মানুষদের সঙ্গে থাকবে, যাদের ওপর আল্লাহ পাক প্রচুর নেয়ামত বর্ষণ করেছেন, এরা (হচ্ছে) নবী-রাসূল, যারা (হেদায়াতের) সত্যতা স্বীকার করেছে, (মহান আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গকারী) শহীদ ও অন্যান্য নেককার মানুষ, সাথী হিসেবে এরা সত্যিই উত্তম!
69. All who obey Allah and the Messenger are in the Company of those on whom is the Grace of Allah,-of the Prophets (who teach), the Sincere (lovers of Truth), the Martyres, and the Righteous (who do good); Ah ! How beautiful is their Company.
69. All who obey Allah and the Messenger are in the Company of those on whom is the Grace of Allah,-of the Prophets (who teach), the Sincere (lovers of Truth), the Martyres, and the Righteous (who do good); Ah ! How beautiful is their Company.
৭০. এ হচ্ছে আল্লাহ পাকের নিকট থেকে বিরাট এক অনুগ্রহ, (মূলত কোনো কিছু) জানার জন্যে আল্লাহ পাকই যথেষ্ট!
70. Such is the Bounty form Allah and sufficient is it that Allah knoweth all.
70. Such is the Bounty form Allah and sufficient is it that Allah knoweth all.
৭১. হে ঈমানদাররা! (শত্রুরা মোকাবেলায়) তোমরা (সর্বদা) তোমাদের সতর্কতা গ্রহণ করো, অতঃপর হয় দলে দলে বিভক্ত হয়ে, কিংবা সবাই একত্রে (শত্রুর মোকাবলো) করো।
71. O you who believe! take your precautions, and either go forth in parties or go forth all together.
71. O you who believe! take your precautions, and either go forth in parties or go forth all together.
৭২. তোমাদের মধ্যে অবশ্যই এমন (মুনাফিক) লোক থাকবে, যে (যুদ্ধের ব্যাপারে) গড়িমসি করবে, তোমাদের ওপর কোনো বিপদ-মসিবত এলে সে বলবে, মহান আল্লাহ সত্যিই আমার ওপর বড় দয়া করেছেন, (কারণ) আমি সে সময় তাদের সাথে ছিলাম না।
72. There are certainly among you men who would tarry behind: if a misfortune befalls you, they say: Allah did favour us in that we were not present among them.
72. There are certainly among you men who would tarry behind: if a misfortune befalls you, they say: Allah did favour us in that we were not present among them.
৭৩. আর যদি তোমাদের ওপর আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে (বিজয়ের) অনুগ্রহ আসে, তখন সে (এমনভাবে) বলে, যেন তার সঙ্গে তোমাদের কোনো রকম বন্ধুত্বই ছিলো না, সে (তখন আরো) বলে, কতোই না ভালো হতো যদি আমি তাদের সাথে থাকতাম, তাহলে (আজ) আমিও অনেক বড় সফলতা অর্জন করতে পারতাম!
73. But if good fortune come to you from Allah, they would be sure to say-as if there had never been ties of affection between you and them "Oh ! I wish I had been with them: a fine thing should I then have made of it"
73. But if good fortune come to you from Allah, they would be sure to say-as if there had never been ties of affection between you and them "Oh ! I wish I had been with them: a fine thing should I then have made of it"
৭৪. যেসব মানুষ পরকালের বিনিময়ে এ পার্থিব জীবন ও তার সুখ-স্বচ্ছন্দ্য বিক্রি করে দিয়েছে, সেসব মানুষের উচিত মহান আল্লাহর পথে লড়াই করা, কারণ যে আল্লাহ পাকের পথে লড়াই করবে সে এ পথে জীবন বিলিয়ে দেবে কিংবা সে বিজয় লাভ করবে, অচিরেই আমি তাকে (এ উভয় অবস্থার জন্যেই) বিরাট পুরস্কার দেবো।
74. Let those fight in the cause of Allah who sell the life of this world for the Hereafter. To him who fighteth in the cause of Allah,-whether he is slain or gets victory-soon shall We give him a reward of great (value)
74. Let those fight in the cause of Allah who sell the life of this world for the Hereafter. To him who fighteth in the cause of Allah,-whether he is slain or gets victory-soon shall We give him a reward of great (value)
৭৫. তোমাদের এ কি হয়েছে, তোমরা মহান আল্লাহর পথে সেসব অসহায় নর-নারী ও (দুস্থু) শিশু সন্তানদের (বাঁচবার) জন্যে লড়াই করো না, যারা (নির্যাতনে কাতর হয়ে) ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের প্রভু, আমাদের যালেমদের এ জনপদ থেকে বের করে (অন্য কোথাও) নিয়ে যাও, অতঃপর আপনি আমাদের জন্যে আপনার নিকট থেকে একজন অভিভাবক (পাঠিয়ে) দিন আপনার কাছ থেকে আমাদের জন্যে একজন সাহায্যকারী পাঠান।
75. And why should you not fight in the cause of Allah and of those who, being weak, are ill-treated (and oppressed) men, women, and children, whose cry is: "Our Lord ! rescue us from this town, whose people are oppressors; and raise for us from thee one who will protect; and raise for us from thee one who will help!"
75. And why should you not fight in the cause of Allah and of those who, being weak, are ill-treated (and oppressed) men, women, and children, whose cry is: "Our Lord ! rescue us from this town, whose people are oppressors; and raise for us from thee one who will protect; and raise for us from thee one who will help!"
৭৬. যারা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান এনেছে, তারা (সর্বদা) আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা (আল্লাহ পাককে) অস্বীকার করেছে তারা লড়াই করে মিথ্যা মা'বুদদের পথে, সুতরাং তোমরা যুদ্ধ করো শয়তান ও তার চেলা-চামুন্ডাদের বিরুদ্ধে (তোমরা সাহস হারিয়ো না), অবশ্যই শয়তানের ষড়যন্ত্র খুবই দুর্বল।
76. Those who believe fight in the cause of Allah, and those who reject Faith fight in the cause of Evil (Tagut): so fight you against the friends, of Satan: feeble indeed is the cunning of Satan.
76. Those who believe fight in the cause of Allah, and those who reject Faith fight in the cause of Evil (Tagut): so fight you against the friends, of Satan: feeble indeed is the cunning of Satan.
৭৭. (হে নবী)! আপনি তাদের অবস্থা দেখেননি, যাদের (প্রথম দিকে) যখন বলা হয়েছিলো, তোমরা (আপাতত যুদ্ধ থেকে) নিজেদের হাত গুটিয়ে রাখো, (এখন) নামায প্রতিষ্ঠা করো এবং যাকাত আদায় করো, তখন তারা নেতাদের জন্য অস্থির হযে পড়েছিলো, অথচ যখন (পরবর্তী সময়ে) তাদের ওপর (সত্যি সত্যিই) যুদ্ধের হুকুম নাযিল করা হলো (তখন) এদের একদল লোক তো (প্রতিপক্ষের) মানুষদের এমনভাবে ভয় করতে শুরু করলো, যেমনি ভয় শুধু মহান আল্লাহকেই করা উচিত; অথবা তার চাইতেও বেশী ভয়! তারা আরো বলতে শুরু করলো, হে আমাদের প্রভু, তুমি আমাদের ওপর যুদ্ধের এ হুকুম (এতা তাড়াতাড়ি) জারি করতে গেলে কেন? কত ভালো হতো যদি তুমি আমাদের সামান্য কিছুটা অবকাশ দিতে? (হে নবী), তুমি বলো, দুনিয়ার এ ভাগ সামগ্রি খুবই সামান্য; যে ব্যক্তি (আল্লাহ পাককে) ভয় করে, তার জন্যে আখিরাত অনেক উত্তম। আর (সে আখিরাতে) তোমাদের ওপর কণামাত্রও কিন্তু অবিচার করা হবে না।
77. Hast thou not turned thy thought to those who were told to hold back their hands (from fight) but establish regular prayers and spend in regular Zakat ? When (at length) the order for fighting was issued to them, behold ! a section of them feared men as-or even more than-they should have feared Allah: they said; "Our Lord! why hast Thou ordered us to fight? Wouldst Thou not grant us respite to our (natural) term, near (enough)? Say: "Short is the enjoyment of this world: the Hereafter is the best for those who do right: never will you be dealt with unjustly in the very least.
77. Hast thou not turned thy thought to those who were told to hold back their hands (from fight) but establish regular prayers and spend in regular Zakat ? When (at length) the order for fighting was issued to them, behold ! a section of them feared men as-or even more than-they should have feared Allah: they said; "Our Lord! why hast Thou ordered us to fight? Wouldst Thou not grant us respite to our (natural) term, near (enough)? Say: "Short is the enjoyment of this world: the Hereafter is the best for those who do right: never will you be dealt with unjustly in the very least.
৭৮. তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই, এমনকি তোমারা যদি (কোনো মজবুদ দুর্গেও থাকে (সেখানেও মৃত্যু এসে উপস্তিত হবে। এদের অবস্থা হচ্ছে, যখন কোনো কল্যাণ তাদের স্পর্শ করে তখন তারা বলে, (হ্যাঁ) এ তো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকেই এসেছে, অন্যদিকে যখন কোনো কষতি (ও অকল্যাণ) তাদের স্পর্শ করে তখন তারা বলে, এ (সব) তো এসেছে আপনার নিকট থেকে, আপনি (তাদের) বলে দিন, (কল্যাণ-অকল্যাণ) সব কিছুই তো আসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে; এ জাতির হয়েছে কি, এরা মনে হয় কথাটি বুঝতেই চায় না।
78. " Wherever you are, death will find you out, even if you are in towers built up strong and high!" If some good befalls them they say. This is from Allah"; but if evil, they say, "This is from thee" (O Prophet). Say: "All things are from Allah."But what has come to these people, that they fail to understand a single fact?
৭৯. যে কল্যাণই আপনি লাভ করুন (না কেন, মনে রাখবেন), তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, আর যেটুকু অকল্যাণ আপনার ওপর আসে তা আসে আপনার নিজের নিকট থেকে; আমি আপনাকে মানুষদের জন্যে রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছি; আর সাক্ষী হিসেবে তো আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।
79. Whatever good, (O man!) happens to thee, is from Allah; but whatever evil happens to thee, is from thyself and We have sent thee as a Messenger to (instruct) mankind. And enough is Allah for a witness.
78. " Wherever you are, death will find you out, even if you are in towers built up strong and high!" If some good befalls them they say. This is from Allah"; but if evil, they say, "This is from thee" (O Prophet). Say: "All things are from Allah."But what has come to these people, that they fail to understand a single fact?
৭৯. যে কল্যাণই আপনি লাভ করুন (না কেন, মনে রাখবেন), তা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে, আর যেটুকু অকল্যাণ আপনার ওপর আসে তা আসে আপনার নিজের নিকট থেকে; আমি আপনাকে মানুষদের জন্যে রাসূল বানিয়ে পাঠিয়েছি; আর সাক্ষী হিসেবে তো আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।
79. Whatever good, (O man!) happens to thee, is from Allah; but whatever evil happens to thee, is from thyself and We have sent thee as a Messenger to (instruct) mankind. And enough is Allah for a witness.
৮০. যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য কে সে (যেন) আল্লাহরই আনুগত্য করে, আর যে ব্যক্তি (তার আনুগত্য থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, (মনে রেখো) তাদের ওপর আমি আপনাকে প্রহরী বানিয়ে পাঠাইনি।
80. He who obeys the Messenger, obeys Allah: but if any turn away, We have not sent thee to watch over them.
80. He who obeys the Messenger, obeys Allah: but if any turn away, We have not sent thee to watch over them.
৮১. তারা (মুখে মুখে) বলে, (আমরা তোমার) আনুগত্য (স্বীকার করি); কিন্তু তারা যখন আপনার নিকট থেকে দূরে সরে যায়, তখন তাদের একদল লোক রাতের (অন্ধকার) সময়ে একত্রিত হয়ে ঠিক আপনি যা বলেন তার বিরুদ্ধেই সলাপরামর্শ করে বেড়ায়; তারা রাতের বেলায় যা কিছু করে আল্লাহ পাক সেসব কর্মকাণ্ডগুলো (ঠিকমতোই) লিখে রাখছেন, সুতরাং আপনি এদের উপেক্ষা করে চলুন এবং সকল বিষয়ে শুধু আল্লাহ পাকের ওপরই ভরসা রাখুন, অভিভাবক হিসেবে তো আল্লাহ পাকই যথেষ্ট!
81. They have "Obedience" on their lips; but when they leave thee, a section of them meditate all night on things very different from what thou tellest them. But Allah records their nightly (plots): so keep clear of them, and put thy trust in Allah, and enough is Allah as a disposer of Affairs.
৮২. এরা কি কোরআন (ও তার আগমন সূত্র নিয়ে চিন্তা) গবেষণা করে না? এ (গ্রন্থ)-টা যদি আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে আসতো তাহলে তাতে অবশ্যই তারা অনেক গরমিল (দেখতে) পেতো।
82. Do they not ponder on the Quran ? Had it been from other than Allah, they would surely have found therein much discrepancy.
৮৩. এদের কাছে যখনি নিরাপত্তা কিংবা ভয়ের কোনো সংবাদ আসে, তখন (সত্য মিথ্যা না জেনেই) এরা তা প্রচার করে বেড়ায়, অথচ তারা যদি এ (জাতীয়) সংবাদ আল্লাহর রাসূল এবং তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জানিয়ে দিতো , তাহলে এমন সব লোকেরা তা জানতে পারতো, তারা তাদের মধ্যে থেকে সেই সংবাদের যথার্থতা যাচাই করতে পারতো; যদি তোমাদের ওপর আল্লাহর দয়া না থাকতো, তাহলে (এ প্রচারণার ফলে) হাতেগোনা কিছু লোক ব্যতীত তোমাদের অধিকাংশ লোকই শয়তানের অনুসারী হয়ে যেতো।
83. When there comes to them some matter touching (public) safety or fear, they divulge it. If they had only referred it to the Messenger or tho those charged with authority among hem, the proper investigators would have known it from them (direct). Were it not for the Grace and Mercy of Allah unto you, all but a few of you would have followed Satan.
৮৪. অতএব, (হে নবী!) আপনি মহান আল্লাহর পথে লড়াই করুন, (কারণ) আপনাকে শুধু আপনার কাজকর্মের জন্যেই দায়ী করা হবে এবং আপনি (আপনার সাথী) মু'মিনদের (আল্লাহ পাকের পথে লড়াই করতে) উদ্বুদ্ধ করতে তাকুন, আল্লাহ পাক হয়তো অচিরেই এ কাফেরদের শক্তি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন; (কারণ) আল্লাহ পাক শক্তিতে প্রবলতর, (আবার) শাস্তিদানেও তিনি কঠোরতার।
84. Then fight in Allah's cause-thou art held responsible only for thyself-and rouse the Believers. It may be that Allah will restrain the fury of the Unbelievers; for Allah is the strongest in might and in punishment.
৮৫. যদি তার জন্যে কোনো ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের সুপারিশ করে, তাহলে তাতে অবশ্যই তার অংশ থাকবে, আবার যে ব্যক্তি কোনো খারাপ কাজের ব্যাপারে সুপারিশ করবে তাহলে (তার সৃষ্ট অকল্যাণেও) তার (সমপরিমাণ) অংশ থাকবে, আল্লাহ পাকই হচ্ছেন (তোমাদের) সব ধরনের কাজের একক নিয়ন্ত্রণকারী।
85. Whoever intercedes in a good cause becomes a partner therein and whoever recommends and helps and evil cause, shares in its burden and Allah has power over all things.
৮৬. যখন তোমাদের (সালাম বা অন্য কিছু দ্বারা) অভিবাদন জানানো হয়, তখন তোমরা তার চাইতেও উত্তম পন্থায় তার উত্তর দাও, অবশ্যই আল্লাহ পাক সব কিছুর (পুঙ্খানুপুঙ্খ) হিসাব রাখেন।
86. When a (courteous) greeting is offered you, meet it with a greeting still more courteous, or (at least) of equal courtesy. Allah takes careful account of all things.
৮৭. আল্লাহ পাক (এক মহান সত্ত্বা) তিনি ব্যতীত (দ্বিতীয়) কোনো মাবুদ নেই; অবশ্যই তিনি তোমাদের কেয়ামতের দিন এক স্থানে জড়ো করবেন, তাতে কোনো রকম সন্দেহ নেই; আর এমন কে আছে যে মহান আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা বলতে পারে?
87. Allah ! There is no god but He of a surety he will gather you together on the Day of Judgment, about which there is no doubt. And whose word can be truer than Allah's?
৮৮. এ কি হলো তোমাদের ! তোমরা মুনাফিকদের ব্যাপারে দু'দল হয়ে গেলে? (বিশেষ করে) যখন স্বয়ং আল্লাহ পাকই তাদের কৃতকর্মের জন্যে তাদের ওপর লানত নাযিল করেছেন; আল্লাহ পাক স্বয়ং যাদের পথভ্রষ্ট করে দিয়েছেন তোমরা কি তাদের সঠিক পথে আনতে চাও? (বস্তুত) আল্লাহ পাক যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার (হেদায়াতের) জন্যে আপনি কোনো পথই (খুঁজে) পাবেন না।
88. Why should you be divided into two parties about the Hypocrites? Allah has cast them off for their (evil) deeds. Would you guide those whom Allah has thrown out of the Way? For those whom Allah has thrown out of the Way, never shall thou find the Way.
৮৯. তারা তো এটাই কামনা করে যে, তারা যেভাবে কুফরী করেছে তোমরাও তেমনি কুফরী করো, তাহলে তোমরা উভয়ে একই রকম হয়ে যেতেপারো, কাজেই তুমি তাদের মধ্য থেকে কাউকেও নিজের সঙ্গীরুপে গ্রহণ করো না, যতক্ষণ না তারা মহান আল্লাহর পথে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে (ঈমানের প্রমাণ) না দেবে, আর যদি তারা (হিজরতের) এ কাজটি না করে তাহলে তোমরা তাদের যেখানেই পাবে গ্রেফতার করবে এবং (যুদ্ধরত শত্রুদের সহযোগীতা করার জন্যে) তাদের হত্যা করবে, আর কোন অবস্থায়ই তাদের মদ্য থেকে কাউকে তোমরা বন্ধু ও সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ করো না।
89. They but wish that you should reject Faith, as they do, and thus be on the same footing (as they): So take no friends from their marks until they flee in the way of Allah (from what is forbidden). But if they turn renegades, seize them and slay them wherever you find them; and (in any case) take no friends or helpers from their ranks.
৯০. অবশ্য তাদের কথা ভিন্ন যারা তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোনো একটি জাতির সাথে এসে মিলিত হবে, আবার (তাদের ব্যপারও নয়) যারা তোমাদের সামনে এমন (মানসিক) অবস্থা নিয়ে আসে যে, (মূলত) তাদের মন তোমাদের সাথে (যেমনি) লাই করতে বাধা দেয়, (তেমনি) নিজেদের জাতির বিরুদ্ধেও তাদের লড়াই করতে বাধা দেয়; (অন্যদিকে) আল্লাহ পাক যদি চাইেতেন তিনি তোমাদের ওপর এদের ক্ষমতাবান করে দিতে পারতেন, তেমন অবস্থঅয় তারা অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে লড়াই করতো, অতএব এরা যদি তোমাদের নিকট থেকে আরাদা হয়ে যায়, (ময়দানের ) লড়াই থেকে বিত থাকে এবং তোমাদের কাছে শান্তি ও সন্ধির প্রস্তাব পাঠায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের কোনো পথই আল্লাহ পাক তোমাদের জন্যে (খোলা) রাখবেন না।
90. Except those who join a group between whom and you there is a treaty (of peace), or those who approach you with hearts restraining them from fighting you or fighting their own People. If Allah had pleased, He could have given them power over you, and they would have fought you: therefore if they withdraw from you but fight you not, and (instead) send you (guarantees of) peace, then Allah has opened no way for you (to war against them).
৯১. (এ মনাফিকদের মাঝে) তোমরা (এমন) অন্য এক দল পাবে, যারা তোমাদের দিক থেকে (ওযমন) শান্তি ও নিরাপত্তা পেতে চায়; (তেমনি) তারা তাদের নিজেদের জাতির নিকট থেকেও নিরাপত্তা (ও নিশ্চয়তা) পেতে চায়, কিন্তু এদের যখনি কানো বিপর্যয় সৃষ্টির কাজের দিকে ডাক দেয়া হবে, তখন সাথে সাথেই এরা তোমাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এরা যদি সত্যিই তোমাদের (সাথে যুদ্ধ করা) থেকে সরে না দাঁড়ায় এবং কোনো শান্তি ও সন্ধি প্রস্তাব তোমাদের নিকট পেশ না করে এবং নিজেদের অস্ত্র সংবরণ না করে, তবে তাদের তোমরা যেখানেই পাবে গ্রেফতার করবে এবং (চরম বিদ্রোহের জন্যে) তাদের তোমরা হত্যা করবে; (মূলত) এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের ওপর আমি তোমাদের সুস্পষ্ট ক্ষমতা দান করেছি।
91. Others you will find that wish to be secure from you as well as that of their people: every time they are sent back to temptation, they succumb thereto: if they withdraw not from you nor give you (guarantees of peace besides restraining their hands, seize them and slay them wherever you get them in their case We have provided you with a clear argument against them.
৯২. এটা কোনো ঈমানদার ব্যক্তির কাজ নয় যে, সে নিকটতম ঈমানদার ব্যক্তিকে হত্যা করবে, অবশ্য ভুলবশত করে ফেললে (তা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা) যদি কোনো (ঈমানদার) ব্যক্তি আরেকজন ঈমানদার ব্যক্তিকে ভুল করে মেরে ফেলে, তাহলে (তার বিনিময় হচ্ছে) সে একজন দাস মুক্ত করে দেবে এবং (তার সাথে ) নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনকে (তার ) রক্তের (ন্যায়সংগত) মূল্য পরিশোধ করে দেবে, তবে (মৃত ব্যক্তির পরিবারের) লোকেরা যদি (রক্তমূল্য) মাফ করে দেয় (তবে তা স্বতন্ত্র কথা); এ (মৃত) ঈমানদার ব্যক্তি যদি এমন কোনো জাতির (বা গোত্রের) লোক হয় যারা তোমাদের শত্রু এবং সে (মৃতব্যক্তি) মু'মিন হয় তাহলে (তার বিনিময় হবে) একজন মুমিন দাসের মুক্তি; পরদিকে (মৃত) ব্যক্তি যদি এমন এক জাতির কেউ হয়ে থাকে, যাদের সাথে তোমাদের কোনো সন্ধি চুক্তি বলবত আছে, তবে তার রক্তের মূল্য আদায় করা ও একজন ঈমানদার দাসের মুক্তিও (অপরিহার্য), যে ব্যক্তি (মুক্ত করর জন্যে কোনো দাস) পাবে না, (তার বিধান হচ্ছে ক্রমাগত দুই মাসের রোযা রাখা, এ হচ্ছে) আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে (মানুষের) তাওবা (কবুল করানোর ব্যবস্থামাত্র, বস্তুত) আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ কুশলী।
৯৩. যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে খুন করবে, তার শাস্তি হচ্ছে দোযখ, সেখানে সে অনন্তকাল ধরে পড়ে থাকবে, আল্লাহ পাক তার ওপর ভয়ানকভাবে রুষ্ট, তাকে তিনি অভিশাপ দেন, আল্লাহ পাক তার জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।
৯৪. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা! তোমরা যখন আল্লাহ পাকের পথে (জেহাদের) রাস্তায় বের হবে, তখন বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করবে, কোনো ব্যক্তি (কিংবা জাতি) যখন তোমাদের সামনে (শান্তিও) সন্ধির প্রস্তাব পেশ করে, তখন কিছু বৈষয়কি ধন-সম্পদের প্রত্যাশায় তাকে তোমরা বলো না যে, না তুমি ঈমানদার নও, (আসলে) আল্লাহ পাকের নিকট অনায়াসলভ্য সম্পদ প্রচুর রয়েছে, আগে তোমরাও এমনি ছিলে, অতঃপর আল্লাহ পাক তোমাদের ওপর দয়া করেছেন, কাজেই তোমরা (বিষয়টি) যাচাই বাছাই করে নিযো; তোমরা যা কিছুই করো আল্লাহ পাক সে ব্যাপারে সম্যক অবগত আছেন।
৯৫. মু'মিনদের মাঝে যারা কোনো রকম (শারীরিক পংগুত্বও) অক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও বসে থেকেছে এবং যারা নিজেদের জান ও মাল দিয়ে আল্লাহ পাকের পথে জেহাদে অবতীর্ণ হয়েছে, এরা উভয়ে কখনো সমান নয়; (ঘরে) বসে থাকা লোকদের চেয়ে (ময়দানের) মুজাহিদদের যারা নিজেদের জান মাল দিয়ে (আল্লাহ পাকের পথে) জেহাদ করেছে, মহান আল্লাহ তাদের উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন, (জেহাদ তখনো ফরয ঘোষিত না হওয়ায়) এদের সবার জন্যে আল্লাহ পাক উত্তম পুরস্কারের অঙ্গিকার করেছেন; (কিন্তু এটা ঠিক যে, ) আল্লাহ পাক (ঘরে) বসে থাকা লোকদের ওপর (সংগ্রামরত ময়দানের) মুজাহিদদের অনেক শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
৯৬. এ সম্মান দেয়া হয়েছে স্বয়ং আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকেই, এর সাথে রয়েছে তাঁর মাফ ও দয়া, (মূলত) আল্লাহ পাক বড় ক্ষমাশীল ও অতীব দয়ালু।
৯৭. যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছে তাদের প্রাণ কেড়ে নেয়ার সময় (মওতের) ফেরেশতারা যখন তাদের জিজ্ঞেস করবে, (বলো তো! এর আগে) সেখানে তোমরা কিভাবে ছিলে? তারা বলবে, আমরা দুনিয়ায় দূর্বল (ও অক্ষম) ছিলাম; ফেরেশতারা বলবে, কেন, (তোমাদের জন্যে) মহান আল্লাহর এ যমীন কি প্রশস্ত ছিলো না/ তোমরা ইচ্ছা করলে সেখানে চলে যেতে পারতে, (আসলে) এরা হচ্ছে সেসব লোক যাদের (আবাসস্থল) দোযখ; আর তা কতো নিকৃষ্টতম আসাব!
৯৮. তবে সেসব নারী-পুরুষ ও শিশু সন্তান, যাদের (হিজরত করার মতো শারীরিক) শক্তি ছিলো না, কোথাও যায়ার কোনো উপকরণ ছিলো না, তাদের কথা ভিন্ন।
৯৯. এরা হচ্ছে সেসব মানুষ-আল্লাহ পাক সম্ভবত যাদের নিকট থেকে (পাপসমূহ) মাফ করে দেবেন, অবশ্যই আল্লাহ পাক পাপ মোচনকারী ও পরম ক্ষমাশীল।
১০০. আর যে কেউই আল্লাহ পাকের পথে হিজরত করবে সে (অছিরেই আল্লাহ পাকের) যমীনে প্রশস্ত জায়গা ও অগণিত ধন-সম্পদ পেয়ে যাবে; যখন কোনো ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে হিজরত করার জন্যে নিজ বাড়ী থেকে বের হয় এবং এমতাবস্থায় মৃত্যু এসে তাকে গ্রাস করে নেয়, তাহলে তার (সে অপূর্ণ হিজরতের) পুরস্কার দেয়ার দায়িত্ব আল্লাহ পাকের ওপর; আল্লাহ পাক বড় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালূ।
১০১. তোমরা যখন সফরে বের হবে, তখন তোমাদের যদি এ আশঙ্কা থাকে যে, কাফেররা (নামাযের সময় আক্রমণ করে) তোমাদের বিপদগ্রস্ত করে ফেলবে, তাহলে সে অবস্থায় তোমরা যদি তোমাদের নামায সংক্ষিপ্ত করে নাও, তাতে তোমাদের কোনোই দোষ নেই; নিঃসন্দেহে কাফেররা হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্যতম দুষমন।
১০২. (হে নবী) তুমি যখন মুসলমানদের মাঝে অবস্থান করবে এবং (যুদ্ধাবস্থায়) যখন তুমি তাদের (ইমামতির) জন্যে (নামাযে) দাঁড়াবে, তখন যেন তাদের একদল লোক তোমার সাথে (নামাযে) দাঁড়ায় এবং তারা যেন তাদের অস্ত্র সাথে নিয়ে সতর্ক থাকে; অতঃপর তারা যখন (নামাযের) সিজদা সম্পন্ন করে নেবে তখন তারা তোমাদের পছনে থাকবে, দ্বিতীয় দল যারা নামায (তখনো) পড়েনি তারা তোমার সাথে এসে নামায আদায় করবে, (কিন্তু সর্বাবস্থায়ই) তারা যেন সতর্কতা অবলম্বন করে এবং সশস্ত্র (অবস্থায়) থাকে, (কারণ) কাফেররা তো এ (সুযোগটুকুই) চায় যে, যদি তোমরা তোমাদের মালসামান ও অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে একটু অসাবধান হয়ে যাও, যাতে তারা তোমাদের ওপর (আকস্মিকভাবে) ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে; অবশ্য (অতিরিক্ত) বৃষ্টি বাদলের জন্যে যদি তোমাদের কষ্ট হয় কিংবা শারীরিকভাবে তোমরা যদি অসুস্থ হও, তাহলে (কিছুক্ষণের জন্যে) তোমরা অস্ত্র রেখে দিতে পারো; কিন্তু (অস্ত্র রেখে দিলেও) তোমরা কিন্তু নিজেদের সাবধানতা বজায় রাখবে; অবশ্যই আল্লাহ পাক কাফেরদের জন্যে এক অপমানকর আযাব নির্দিস্ট করে রেখেছেন।
১০৩. অতঃপর তোমরা যখন নামায শেষ করে নেবে, তখন দাঁড়েয়ে, বসে এবং শুয়ে (তথা সর্বাবস্থায়) আল্লাহ পাককে স্মরণ করতে থাকবে, এরপর যখন তোমরা পুরোপুরি স্বস্তি বোধ করবে তখন (যথারীতি) নামায আদায় করবে, অবশ্যই নামায ঈমানদারদের ওপর সুনির্দিষ্ট সময়ের সাথেই ফরয করা হয়েছে।
১০৪. কোনো (শত্রু) দলের পেছনে ধাওয়া করার সময় তোমরা বিন্দুমাত্রও মনোবল হারিয়ো না, তোমরা যদি কষ্ট পেয়ে থাকে (তাহলে জেনে রাখো), তারাও তো তোমাদের মতো কষ্ট পাচ্ছে, ঠিক যেমনিভাবে তোমরা কষ্ট পাচ্ছো। কিন্তু তোমরা আল্লাহ পাকের কাছ থেকে যে (বেহেস্ত) আশা করো, তারা তো তা করে না; নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, কুশলী।
১০৫. অবশ্যই আমি সত্য (দ্বীনের) সাথে আপনার ওপর এ গ্রন্থ নাযিল করেছি যাতে করে আল্লাহ পাক আপনাকে যা (জ্ঞানের আলো) দেখিয়েছেন তার আলোকে আপনি মানুষদের বিচার মীমাংসা করতে পারেন; (তবে বিচার ফয়সালার সময়) আপনি কখনো বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে তর্ক করবেন না।
১০৬. আপনি আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমাপার্থনা করুন; অবশ্যই আল্লাহ পাক বড় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
১০৭. যারা নিজেদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আপনি কখনো এমন সব লোকের পক্ষে কথা বলবেন না, (কারণ) আল্লাহ পাক এ পাপিষ্ঠ বিশ্বাসঘাতকদের কখনো পছন্দ করে না।
১০৮. এরা মানুষদের নিকট থেকে (নিজেদের কর্ম) লুকিয়ে রাখতে চায়, কিন্তু আল্লাহ পাকের নিকট থেকে তারা কিছুই লুকাতে পারবে না; আল্লাহ পাক (তো হচ্ছেন সে মহান সত্ত্বা) যিনি রাতের অন্ধকারে-তিনি যেসব কথা (বা কাজ) ভালবাসেন না, এমন সব বিষয়ে যখন এরা সলাপরমর্শ করে, তখনও তিনি তাদের সাথেই থাকেন; এরা যা কিছু করে তা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহর জ্ঞানের পরিধির আওতাধীন।
১০৯. হ্যাঁ, এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের (সঠিক ঘটনা না জানার জন্যে) দুনিয়ার জীবনে তোমরা যাদের পক্ষে কথা বলেছো, কিন্তু রোজ কেয়ামতে আল্লাহ পাকের সামনে কে তাদের পক্ষে কথা বলবে, কিংবা কে তাদের ওপর (সেদিন) অভিভাবক হবে?
১১০. যে ব্যক্তি পাপের কাজ করে অথবা (পাপ করে) নিজের ওপর অবিচার করে, অতঃপর (এ জন্যে যখন) সে আল্লাহ পাকের কাছে মাফ প্রার্থনা করে, (তখন) সে অবশ্যই আল্লাহ পাককে পরম ক্ষমাশীল ও অতীব দয়ালু হিসেবে পাবে।
১১১. যে ব্যক্তি কোনো পাপের কাজ করলো, সে কিন্তু এর দ্বারা নিজেই নিজের ক্ষতি সাধন করলো, আল্লাহ পাক সবকিছুই জানেন, তিনি কুশলী।
১১২. যে ব্যক্তি একটি অন্যায় কিংবা পাপ কাজ করলো; কিন্তু সে দোষ চাপিয়ে দিলো একজন নির্দোষ ব্যক্তির ওপর, এ কাজের ফলে সে (প্রকারান্তরে) সাংঘাতিক একটি অপবাদ ও মারাত্মক পাপের বোঝা নিজের ঘাড়ে উঠিয়ে নিলো।
১১৩. (এ পরিস্থিতিতে) যদি তোমার ওপর আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ ও দয়া না থাকতো, তাহলে এদের একদল লোক তো তোমাকে (প্রায়) ভুল পথে পরিচালিত করেই ফেলেছিলো। যদিও তারা এ আচরণ দিয়ে তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য কাউকেই পথভ্রষ্ট করতে পারছিলো না, (অবশ্য) তাদের এ (প্রতারণামূলক) কাজ দ্বারা তারা তোমার কোনোই ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হতো না। (কারণ) আল্লাহ পাক তাঁ গ্রন্থ ও (সে গ্রন্থলব্ধ) কলা-কৌশল তোমার ওপর অবতীর্ণ করেছেন এবং তিনি তোমাকে এমন সব কিছুর জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন, যা (আগে) তোমার জানা ছিলো না; তোমার ওপর মহান আল্লাহর দয়া ছিলো না; তোমার ওপর মহান আল্লাহর দয়া ছিলো অনেক বড়ো।
১১৪. এদের অধিকাংশ গোপন সলাপরামর্শের ভেতরেই কোনো কল্যাণ নিহিত নেই, তবে যদি কেউ (এর দ্বারা) কাউকে কোনো দান-খয়রাত, সৎকাজ ও অন্য মানুষের মাঝে (সম্প্রীতি ও) সংশোধন আনয়নের আদেশ দেয় তা অন্য কথা; আর আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যদি কেউ এসব কাজ করে তাহলে অতি শীঘ্রই আমি তাকে মহাপুরস্কার দেবো।
১১৫. (আবার) যে ব্যক্তি তার নিকট প্রকৃত সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে এবং ঈমানদারদের পথ ছেড়ে (বেঈমান লোকদের) নিয়ম-নীতির অনুসরণ করবে, তাকে আমি সেদিকেই ধাবিত করবো যেদিকে সে ধাবিত হয়েছে, (এর শাস্তি হিসেবে) তাকে আমি দোযখের আগুনে পুড়িয়ে দেবো, (আর) তা কতো নিকৃষ্ট আবাসস্থল!
১১৬. আল্লাহ পাক (এ বিষয়টি) মাফ করবেন না যে, তাঁর সাথে (কোনো রকম) শরীক করা হবে, এ ছাড়া অন্য সকল পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকে মাফ করে দিতে পারেন; যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের সাথে (কাউকে) শরীক করলো, সে (মূলত) চরমভাবে গোমরাহ হয়ে গেলো।
১১৭.আল্লাহকে ব্যতীত এরা (আর কাকে ডাকে)-ডাকে (নিকৃষ্ট) দেবীকে কিংবা কোনো বিদ্রোহী শয়তানকে!
১১৮. তার ওপর আল্লাহ পাক লা'নত বর্ষণ করেছেন, (কারণ) সে (আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে) বলেছিলো, আমি তোমার বান্দাদের এক অংশকে নিজের (দলে শামিল) করেই ছাড়বো।
১১৯. (সে আরো বলেছিলো), আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের গোমরাহ করে দেবো, আমি অবশ্যই তাদের মনে নানা প্রকারের মিথ্যা কামনা (বাসনা) জাগিয়ে তুলবো এবং আমি তাদের নির্দেশ দেবো যেন তারা (কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে) জন্তু-জানোয়ারের কান ছিদ্র করে দেয়, আমি তাদের আরো নির্দেশ দেবো যেন তারা আল্লাহ পাকের সৃষ্টিকে বিকৃত করে দেয়; (মূলত) যে ব্যক্তি (এসব কাজ করে) আল্লাহ পাকের বদলে শয়তানকে নিজের পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে নেবে, সে এক সুস্পষ্ট ক্ষতি ও লোকসানের সম্মুখীন হবে।
১২০. সে (অভিশপ্ত শয়তান) তাদের (নানা) প্রতিশ্রুতি দেয়, তাদের (সামনে) মিথ্যা বাসনার (মায়াজাল) সৃষ্টি করে, আর শয়তান যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা প্রতারণা ব্যতীত আর কিছুই নয়।
১২১. এরাই হচ্ছে সেসব (হতভাগ্য) ব্যক্তি; যাদের আবাসস্থল হচ্ছে দোযখ, য়ার (আযাব) থেকে মুক্তির কোনো পন্থাই তারা (খুঁজে) পাবে না।
১২২. অন্যদিকে যারা (শয়তানের প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে) আল্লাহ পাকের ওপর ঈমান আনবে এবং ভালো কাজ করবে, তাদের আমি অচিরেই এমন এক বেহেস্তে প্রবেশ করাবো, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বইতে থাকবে, তারা সেখানে যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে; আল্লাহর ওয়াদা সত্য; আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা কে বলতে পারে?
১২৩. (মানুষের ভালোমন্দ যেমনি) তোমাদের খেয়াল খুশীর সাথে জড়িত নয়, (তেমনি তা) আহলে কিতাবদের খেয়ালখুশীর সাথেও সম্পৃক্ত নয় (আসল কথা হচ্ছে), যে ব্যক্তি কোনো পাপের কাজ করবে, তাকে তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে, আর (পাপী) ব্যক্তি (সেদিন) আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কাউকেই নিজেদের পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না।
১২৪. (পক্ষান্তরে) যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজ করবে-নয় কিংবা নারী, সে যদি ঈমানদার অবস্থায়ই তা (সম্পাদন) করে, তাহলে (সে এবং তার মতো) সব লোক অবশ্যই বেহেস্তে প্রবশে করবে, (পুরস্কার দেয়ার সময়) তাদের ওপর বিন্দুমাত্রও অবিচার করা হবে না।
১২৫. চার চাইতে উত্তম জীবন বিধান আর কার হতে পারে, যে আল্লাহ পাকের জন্যে মাথানত করে দেয়, মূলত সে-ই হচ্ছে নিষ্ঠাবান ব্যক্তি, (তদুপরি) সে ইব্রাহীমের আদর্শের অনুসরণ করে; আর আল্লাহ পাক ইব্রাহীমকে স্বীয় বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছেন।
১২৬. আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তার সব কিছুই আল্লাহ পাকের জন্যে, আর আল্লাহ পাক (তাঁর ক্ষমতা দিয়ে) সব কিছুই পরিবেষ্ঠন করে আছেন।
১২৭. (হে নবী!) তারা আপনার কাছে নারীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানতে চায়, আপনি (তাদের) বলুন, আল্লাহ পাক তাদের ব্যাপার তোমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন, আর এ কিতাব থেকে যা কিছু তোমাদের ওপর পঠিত হচ্ছে সেই এতীম নারীদের সম্পকির্ত (ব্যাপার), আল্লাহ পাক তাদের জন্যে যেসব অধিকার দান করেছেন, যা তোমরা আদায় করতে চাও না, কিন্তু তোমরা তাদের বিয়ে (ঠিকই) করতে চাও! অসহায় শিশু সন্তান ও এতীমদের ব্যাপারে (তোমাদের বলা হচ্ছে), তোমরা যেন সুবিচার কায়েম করো; তোমরা যেটুকু সৎ কাজই করো আল্লাহ পাক তার সবকিছু সম্পর্কেই সম্যকভাবে অবহিত রয়েছেন।
১২৮. যদি কোনো স্ত্রীলোক তার স্বামীর নিকট থেকে দূর্ব্যবহার কিংবা অবজ্ঞার আশঙ্কা করে, তাহলে (সে অবস্থায়) পারস্পরিক (ভালোর জন্যে) আপষ-নিষ্পত্তি করে নিলে তাদের ওপর এতে কোনো দোষ নেই; কারণ (সর্বাবস্থায়) আপষ (মীমাংসার পন্থাই) হলো উত্তম পন্থা, (কিন্তু সমস্যা হচ্ছে) মানুষ আপষে লালসার দিকেই বেশী পরিমাণে ধাবিত হয়ে পড়ে; (কিন্তু) তোমরা যদি সততার পন্থা অবলম্বন করো এবং (শয়তানের নিকট থেকে) নিজেকে রক্ষা করো, তাহলে (সেটাই তোমাদের জন্যে ভালো, কারণ) আল্লাহ পাক তোমাাদের সব কর্মকাণ্ড অবলোকন করে থাকেন।
১২৯. তোমরা কখনো (একাধিক) স্ত্রীদের মাঝে ইনসাফ করতে পারবে না, যদিও (মনে প্রাণে) তোমরা তা চাইব, তা্ তিাদের একজনের দিকে তুমি (সমস্ত মনোযোগ দিয়ে) এমনভাবে ঝুঁকে পড়ো না যে, (দেখে মনে হবে) অপরজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় (রেখে দিয়েছো); তোমরা যদি সংশোধনের (চেষ্টা করো এবং) আল্লাহ পাককেও ভয় করো, তাহলে (তুমি দেখবে) মহান আল্লাহ অতি ক্ষমাশীলও পরম দয়ালু।
১৩০. (অতঃপর) যদি (সত্যি সত্যিই)তারা একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ পাক তার ভাণ্ডার থেকে দান করে তাদের সবাইকে পারস্পরিক মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্তি দেবেন, আল্লাহ পাক (নিঃসন্দেহে) প্রাচুর্যময় ও প্রশংসাভাজন।
81. They have "Obedience" on their lips; but when they leave thee, a section of them meditate all night on things very different from what thou tellest them. But Allah records their nightly (plots): so keep clear of them, and put thy trust in Allah, and enough is Allah as a disposer of Affairs.
৮২. এরা কি কোরআন (ও তার আগমন সূত্র নিয়ে চিন্তা) গবেষণা করে না? এ (গ্রন্থ)-টা যদি আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে আসতো তাহলে তাতে অবশ্যই তারা অনেক গরমিল (দেখতে) পেতো।
82. Do they not ponder on the Quran ? Had it been from other than Allah, they would surely have found therein much discrepancy.
৮৩. এদের কাছে যখনি নিরাপত্তা কিংবা ভয়ের কোনো সংবাদ আসে, তখন (সত্য মিথ্যা না জেনেই) এরা তা প্রচার করে বেড়ায়, অথচ তারা যদি এ (জাতীয়) সংবাদ আল্লাহর রাসূল এবং তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জানিয়ে দিতো , তাহলে এমন সব লোকেরা তা জানতে পারতো, তারা তাদের মধ্যে থেকে সেই সংবাদের যথার্থতা যাচাই করতে পারতো; যদি তোমাদের ওপর আল্লাহর দয়া না থাকতো, তাহলে (এ প্রচারণার ফলে) হাতেগোনা কিছু লোক ব্যতীত তোমাদের অধিকাংশ লোকই শয়তানের অনুসারী হয়ে যেতো।
83. When there comes to them some matter touching (public) safety or fear, they divulge it. If they had only referred it to the Messenger or tho those charged with authority among hem, the proper investigators would have known it from them (direct). Were it not for the Grace and Mercy of Allah unto you, all but a few of you would have followed Satan.
৮৪. অতএব, (হে নবী!) আপনি মহান আল্লাহর পথে লড়াই করুন, (কারণ) আপনাকে শুধু আপনার কাজকর্মের জন্যেই দায়ী করা হবে এবং আপনি (আপনার সাথী) মু'মিনদের (আল্লাহ পাকের পথে লড়াই করতে) উদ্বুদ্ধ করতে তাকুন, আল্লাহ পাক হয়তো অচিরেই এ কাফেরদের শক্তি চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবেন; (কারণ) আল্লাহ পাক শক্তিতে প্রবলতর, (আবার) শাস্তিদানেও তিনি কঠোরতার।
84. Then fight in Allah's cause-thou art held responsible only for thyself-and rouse the Believers. It may be that Allah will restrain the fury of the Unbelievers; for Allah is the strongest in might and in punishment.
৮৫. যদি তার জন্যে কোনো ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের সুপারিশ করে, তাহলে তাতে অবশ্যই তার অংশ থাকবে, আবার যে ব্যক্তি কোনো খারাপ কাজের ব্যাপারে সুপারিশ করবে তাহলে (তার সৃষ্ট অকল্যাণেও) তার (সমপরিমাণ) অংশ থাকবে, আল্লাহ পাকই হচ্ছেন (তোমাদের) সব ধরনের কাজের একক নিয়ন্ত্রণকারী।
85. Whoever intercedes in a good cause becomes a partner therein and whoever recommends and helps and evil cause, shares in its burden and Allah has power over all things.
৮৬. যখন তোমাদের (সালাম বা অন্য কিছু দ্বারা) অভিবাদন জানানো হয়, তখন তোমরা তার চাইতেও উত্তম পন্থায় তার উত্তর দাও, অবশ্যই আল্লাহ পাক সব কিছুর (পুঙ্খানুপুঙ্খ) হিসাব রাখেন।
86. When a (courteous) greeting is offered you, meet it with a greeting still more courteous, or (at least) of equal courtesy. Allah takes careful account of all things.
৮৭. আল্লাহ পাক (এক মহান সত্ত্বা) তিনি ব্যতীত (দ্বিতীয়) কোনো মাবুদ নেই; অবশ্যই তিনি তোমাদের কেয়ামতের দিন এক স্থানে জড়ো করবেন, তাতে কোনো রকম সন্দেহ নেই; আর এমন কে আছে যে মহান আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা বলতে পারে?
87. Allah ! There is no god but He of a surety he will gather you together on the Day of Judgment, about which there is no doubt. And whose word can be truer than Allah's?
৮৮. এ কি হলো তোমাদের ! তোমরা মুনাফিকদের ব্যাপারে দু'দল হয়ে গেলে? (বিশেষ করে) যখন স্বয়ং আল্লাহ পাকই তাদের কৃতকর্মের জন্যে তাদের ওপর লানত নাযিল করেছেন; আল্লাহ পাক স্বয়ং যাদের পথভ্রষ্ট করে দিয়েছেন তোমরা কি তাদের সঠিক পথে আনতে চাও? (বস্তুত) আল্লাহ পাক যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার (হেদায়াতের) জন্যে আপনি কোনো পথই (খুঁজে) পাবেন না।
88. Why should you be divided into two parties about the Hypocrites? Allah has cast them off for their (evil) deeds. Would you guide those whom Allah has thrown out of the Way? For those whom Allah has thrown out of the Way, never shall thou find the Way.
৮৯. তারা তো এটাই কামনা করে যে, তারা যেভাবে কুফরী করেছে তোমরাও তেমনি কুফরী করো, তাহলে তোমরা উভয়ে একই রকম হয়ে যেতেপারো, কাজেই তুমি তাদের মধ্য থেকে কাউকেও নিজের সঙ্গীরুপে গ্রহণ করো না, যতক্ষণ না তারা মহান আল্লাহর পথে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে (ঈমানের প্রমাণ) না দেবে, আর যদি তারা (হিজরতের) এ কাজটি না করে তাহলে তোমরা তাদের যেখানেই পাবে গ্রেফতার করবে এবং (যুদ্ধরত শত্রুদের সহযোগীতা করার জন্যে) তাদের হত্যা করবে, আর কোন অবস্থায়ই তাদের মদ্য থেকে কাউকে তোমরা বন্ধু ও সাহায্যকারী হিসেবে গ্রহণ করো না।
89. They but wish that you should reject Faith, as they do, and thus be on the same footing (as they): So take no friends from their marks until they flee in the way of Allah (from what is forbidden). But if they turn renegades, seize them and slay them wherever you find them; and (in any case) take no friends or helpers from their ranks.
৯০. অবশ্য তাদের কথা ভিন্ন যারা তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোনো একটি জাতির সাথে এসে মিলিত হবে, আবার (তাদের ব্যপারও নয়) যারা তোমাদের সামনে এমন (মানসিক) অবস্থা নিয়ে আসে যে, (মূলত) তাদের মন তোমাদের সাথে (যেমনি) লাই করতে বাধা দেয়, (তেমনি) নিজেদের জাতির বিরুদ্ধেও তাদের লড়াই করতে বাধা দেয়; (অন্যদিকে) আল্লাহ পাক যদি চাইেতেন তিনি তোমাদের ওপর এদের ক্ষমতাবান করে দিতে পারতেন, তেমন অবস্থঅয় তারা অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে লড়াই করতো, অতএব এরা যদি তোমাদের নিকট থেকে আরাদা হয়ে যায়, (ময়দানের ) লড়াই থেকে বিত থাকে এবং তোমাদের কাছে শান্তি ও সন্ধির প্রস্তাব পাঠায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের কোনো পথই আল্লাহ পাক তোমাদের জন্যে (খোলা) রাখবেন না।
90. Except those who join a group between whom and you there is a treaty (of peace), or those who approach you with hearts restraining them from fighting you or fighting their own People. If Allah had pleased, He could have given them power over you, and they would have fought you: therefore if they withdraw from you but fight you not, and (instead) send you (guarantees of) peace, then Allah has opened no way for you (to war against them).
৯১. (এ মনাফিকদের মাঝে) তোমরা (এমন) অন্য এক দল পাবে, যারা তোমাদের দিক থেকে (ওযমন) শান্তি ও নিরাপত্তা পেতে চায়; (তেমনি) তারা তাদের নিজেদের জাতির নিকট থেকেও নিরাপত্তা (ও নিশ্চয়তা) পেতে চায়, কিন্তু এদের যখনি কানো বিপর্যয় সৃষ্টির কাজের দিকে ডাক দেয়া হবে, তখন সাথে সাথেই এরা তোমাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এরা যদি সত্যিই তোমাদের (সাথে যুদ্ধ করা) থেকে সরে না দাঁড়ায় এবং কোনো শান্তি ও সন্ধি প্রস্তাব তোমাদের নিকট পেশ না করে এবং নিজেদের অস্ত্র সংবরণ না করে, তবে তাদের তোমরা যেখানেই পাবে গ্রেফতার করবে এবং (চরম বিদ্রোহের জন্যে) তাদের তোমরা হত্যা করবে; (মূলত) এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের ওপর আমি তোমাদের সুস্পষ্ট ক্ষমতা দান করেছি।
91. Others you will find that wish to be secure from you as well as that of their people: every time they are sent back to temptation, they succumb thereto: if they withdraw not from you nor give you (guarantees of peace besides restraining their hands, seize them and slay them wherever you get them in their case We have provided you with a clear argument against them.
৯২. এটা কোনো ঈমানদার ব্যক্তির কাজ নয় যে, সে নিকটতম ঈমানদার ব্যক্তিকে হত্যা করবে, অবশ্য ভুলবশত করে ফেললে (তা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা) যদি কোনো (ঈমানদার) ব্যক্তি আরেকজন ঈমানদার ব্যক্তিকে ভুল করে মেরে ফেলে, তাহলে (তার বিনিময় হচ্ছে) সে একজন দাস মুক্ত করে দেবে এবং (তার সাথে ) নিহত ব্যক্তির পরিবার-পরিজনকে (তার ) রক্তের (ন্যায়সংগত) মূল্য পরিশোধ করে দেবে, তবে (মৃত ব্যক্তির পরিবারের) লোকেরা যদি (রক্তমূল্য) মাফ করে দেয় (তবে তা স্বতন্ত্র কথা); এ (মৃত) ঈমানদার ব্যক্তি যদি এমন কোনো জাতির (বা গোত্রের) লোক হয় যারা তোমাদের শত্রু এবং সে (মৃতব্যক্তি) মু'মিন হয় তাহলে (তার বিনিময় হবে) একজন মুমিন দাসের মুক্তি; পরদিকে (মৃত) ব্যক্তি যদি এমন এক জাতির কেউ হয়ে থাকে, যাদের সাথে তোমাদের কোনো সন্ধি চুক্তি বলবত আছে, তবে তার রক্তের মূল্য আদায় করা ও একজন ঈমানদার দাসের মুক্তিও (অপরিহার্য), যে ব্যক্তি (মুক্ত করর জন্যে কোনো দাস) পাবে না, (তার বিধান হচ্ছে ক্রমাগত দুই মাসের রোযা রাখা, এ হচ্ছে) আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে (মানুষের) তাওবা (কবুল করানোর ব্যবস্থামাত্র, বস্তুত) আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ কুশলী।
৯৩. যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে খুন করবে, তার শাস্তি হচ্ছে দোযখ, সেখানে সে অনন্তকাল ধরে পড়ে থাকবে, আল্লাহ পাক তার ওপর ভয়ানকভাবে রুষ্ট, তাকে তিনি অভিশাপ দেন, আল্লাহ পাক তার জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।
৯৪. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা! তোমরা যখন আল্লাহ পাকের পথে (জেহাদের) রাস্তায় বের হবে, তখন বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করবে, কোনো ব্যক্তি (কিংবা জাতি) যখন তোমাদের সামনে (শান্তিও) সন্ধির প্রস্তাব পেশ করে, তখন কিছু বৈষয়কি ধন-সম্পদের প্রত্যাশায় তাকে তোমরা বলো না যে, না তুমি ঈমানদার নও, (আসলে) আল্লাহ পাকের নিকট অনায়াসলভ্য সম্পদ প্রচুর রয়েছে, আগে তোমরাও এমনি ছিলে, অতঃপর আল্লাহ পাক তোমাদের ওপর দয়া করেছেন, কাজেই তোমরা (বিষয়টি) যাচাই বাছাই করে নিযো; তোমরা যা কিছুই করো আল্লাহ পাক সে ব্যাপারে সম্যক অবগত আছেন।
৯৫. মু'মিনদের মাঝে যারা কোনো রকম (শারীরিক পংগুত্বও) অক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও বসে থেকেছে এবং যারা নিজেদের জান ও মাল দিয়ে আল্লাহ পাকের পথে জেহাদে অবতীর্ণ হয়েছে, এরা উভয়ে কখনো সমান নয়; (ঘরে) বসে থাকা লোকদের চেয়ে (ময়দানের) মুজাহিদদের যারা নিজেদের জান মাল দিয়ে (আল্লাহ পাকের পথে) জেহাদ করেছে, মহান আল্লাহ তাদের উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন, (জেহাদ তখনো ফরয ঘোষিত না হওয়ায়) এদের সবার জন্যে আল্লাহ পাক উত্তম পুরস্কারের অঙ্গিকার করেছেন; (কিন্তু এটা ঠিক যে, ) আল্লাহ পাক (ঘরে) বসে থাকা লোকদের ওপর (সংগ্রামরত ময়দানের) মুজাহিদদের অনেক শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।
৯৬. এ সম্মান দেয়া হয়েছে স্বয়ং আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকেই, এর সাথে রয়েছে তাঁর মাফ ও দয়া, (মূলত) আল্লাহ পাক বড় ক্ষমাশীল ও অতীব দয়ালু।
৯৭. যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছে তাদের প্রাণ কেড়ে নেয়ার সময় (মওতের) ফেরেশতারা যখন তাদের জিজ্ঞেস করবে, (বলো তো! এর আগে) সেখানে তোমরা কিভাবে ছিলে? তারা বলবে, আমরা দুনিয়ায় দূর্বল (ও অক্ষম) ছিলাম; ফেরেশতারা বলবে, কেন, (তোমাদের জন্যে) মহান আল্লাহর এ যমীন কি প্রশস্ত ছিলো না/ তোমরা ইচ্ছা করলে সেখানে চলে যেতে পারতে, (আসলে) এরা হচ্ছে সেসব লোক যাদের (আবাসস্থল) দোযখ; আর তা কতো নিকৃষ্টতম আসাব!
৯৮. তবে সেসব নারী-পুরুষ ও শিশু সন্তান, যাদের (হিজরত করার মতো শারীরিক) শক্তি ছিলো না, কোথাও যায়ার কোনো উপকরণ ছিলো না, তাদের কথা ভিন্ন।
৯৯. এরা হচ্ছে সেসব মানুষ-আল্লাহ পাক সম্ভবত যাদের নিকট থেকে (পাপসমূহ) মাফ করে দেবেন, অবশ্যই আল্লাহ পাক পাপ মোচনকারী ও পরম ক্ষমাশীল।
১০০. আর যে কেউই আল্লাহ পাকের পথে হিজরত করবে সে (অছিরেই আল্লাহ পাকের) যমীনে প্রশস্ত জায়গা ও অগণিত ধন-সম্পদ পেয়ে যাবে; যখন কোনো ব্যক্তি আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশ্যে হিজরত করার জন্যে নিজ বাড়ী থেকে বের হয় এবং এমতাবস্থায় মৃত্যু এসে তাকে গ্রাস করে নেয়, তাহলে তার (সে অপূর্ণ হিজরতের) পুরস্কার দেয়ার দায়িত্ব আল্লাহ পাকের ওপর; আল্লাহ পাক বড় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালূ।
১০১. তোমরা যখন সফরে বের হবে, তখন তোমাদের যদি এ আশঙ্কা থাকে যে, কাফেররা (নামাযের সময় আক্রমণ করে) তোমাদের বিপদগ্রস্ত করে ফেলবে, তাহলে সে অবস্থায় তোমরা যদি তোমাদের নামায সংক্ষিপ্ত করে নাও, তাতে তোমাদের কোনোই দোষ নেই; নিঃসন্দেহে কাফেররা হচ্ছে তোমাদের প্রকাশ্যতম দুষমন।
১০২. (হে নবী) তুমি যখন মুসলমানদের মাঝে অবস্থান করবে এবং (যুদ্ধাবস্থায়) যখন তুমি তাদের (ইমামতির) জন্যে (নামাযে) দাঁড়াবে, তখন যেন তাদের একদল লোক তোমার সাথে (নামাযে) দাঁড়ায় এবং তারা যেন তাদের অস্ত্র সাথে নিয়ে সতর্ক থাকে; অতঃপর তারা যখন (নামাযের) সিজদা সম্পন্ন করে নেবে তখন তারা তোমাদের পছনে থাকবে, দ্বিতীয় দল যারা নামায (তখনো) পড়েনি তারা তোমার সাথে এসে নামায আদায় করবে, (কিন্তু সর্বাবস্থায়ই) তারা যেন সতর্কতা অবলম্বন করে এবং সশস্ত্র (অবস্থায়) থাকে, (কারণ) কাফেররা তো এ (সুযোগটুকুই) চায় যে, যদি তোমরা তোমাদের মালসামান ও অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে একটু অসাবধান হয়ে যাও, যাতে তারা তোমাদের ওপর (আকস্মিকভাবে) ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে; অবশ্য (অতিরিক্ত) বৃষ্টি বাদলের জন্যে যদি তোমাদের কষ্ট হয় কিংবা শারীরিকভাবে তোমরা যদি অসুস্থ হও, তাহলে (কিছুক্ষণের জন্যে) তোমরা অস্ত্র রেখে দিতে পারো; কিন্তু (অস্ত্র রেখে দিলেও) তোমরা কিন্তু নিজেদের সাবধানতা বজায় রাখবে; অবশ্যই আল্লাহ পাক কাফেরদের জন্যে এক অপমানকর আযাব নির্দিস্ট করে রেখেছেন।
১০৩. অতঃপর তোমরা যখন নামায শেষ করে নেবে, তখন দাঁড়েয়ে, বসে এবং শুয়ে (তথা সর্বাবস্থায়) আল্লাহ পাককে স্মরণ করতে থাকবে, এরপর যখন তোমরা পুরোপুরি স্বস্তি বোধ করবে তখন (যথারীতি) নামায আদায় করবে, অবশ্যই নামায ঈমানদারদের ওপর সুনির্দিষ্ট সময়ের সাথেই ফরয করা হয়েছে।
১০৪. কোনো (শত্রু) দলের পেছনে ধাওয়া করার সময় তোমরা বিন্দুমাত্রও মনোবল হারিয়ো না, তোমরা যদি কষ্ট পেয়ে থাকে (তাহলে জেনে রাখো), তারাও তো তোমাদের মতো কষ্ট পাচ্ছে, ঠিক যেমনিভাবে তোমরা কষ্ট পাচ্ছো। কিন্তু তোমরা আল্লাহ পাকের কাছ থেকে যে (বেহেস্ত) আশা করো, তারা তো তা করে না; নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, কুশলী।
১০৫. অবশ্যই আমি সত্য (দ্বীনের) সাথে আপনার ওপর এ গ্রন্থ নাযিল করেছি যাতে করে আল্লাহ পাক আপনাকে যা (জ্ঞানের আলো) দেখিয়েছেন তার আলোকে আপনি মানুষদের বিচার মীমাংসা করতে পারেন; (তবে বিচার ফয়সালার সময়) আপনি কখনো বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে তর্ক করবেন না।
১০৬. আপনি আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমাপার্থনা করুন; অবশ্যই আল্লাহ পাক বড় ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
১০৭. যারা নিজেদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আপনি কখনো এমন সব লোকের পক্ষে কথা বলবেন না, (কারণ) আল্লাহ পাক এ পাপিষ্ঠ বিশ্বাসঘাতকদের কখনো পছন্দ করে না।
১০৮. এরা মানুষদের নিকট থেকে (নিজেদের কর্ম) লুকিয়ে রাখতে চায়, কিন্তু আল্লাহ পাকের নিকট থেকে তারা কিছুই লুকাতে পারবে না; আল্লাহ পাক (তো হচ্ছেন সে মহান সত্ত্বা) যিনি রাতের অন্ধকারে-তিনি যেসব কথা (বা কাজ) ভালবাসেন না, এমন সব বিষয়ে যখন এরা সলাপরমর্শ করে, তখনও তিনি তাদের সাথেই থাকেন; এরা যা কিছু করে তা সম্পূর্ণ মহান আল্লাহর জ্ঞানের পরিধির আওতাধীন।
১০৯. হ্যাঁ, এরাই হচ্ছে সেসব লোক, যাদের (সঠিক ঘটনা না জানার জন্যে) দুনিয়ার জীবনে তোমরা যাদের পক্ষে কথা বলেছো, কিন্তু রোজ কেয়ামতে আল্লাহ পাকের সামনে কে তাদের পক্ষে কথা বলবে, কিংবা কে তাদের ওপর (সেদিন) অভিভাবক হবে?
১১০. যে ব্যক্তি পাপের কাজ করে অথবা (পাপ করে) নিজের ওপর অবিচার করে, অতঃপর (এ জন্যে যখন) সে আল্লাহ পাকের কাছে মাফ প্রার্থনা করে, (তখন) সে অবশ্যই আল্লাহ পাককে পরম ক্ষমাশীল ও অতীব দয়ালু হিসেবে পাবে।
১১১. যে ব্যক্তি কোনো পাপের কাজ করলো, সে কিন্তু এর দ্বারা নিজেই নিজের ক্ষতি সাধন করলো, আল্লাহ পাক সবকিছুই জানেন, তিনি কুশলী।
১১২. যে ব্যক্তি একটি অন্যায় কিংবা পাপ কাজ করলো; কিন্তু সে দোষ চাপিয়ে দিলো একজন নির্দোষ ব্যক্তির ওপর, এ কাজের ফলে সে (প্রকারান্তরে) সাংঘাতিক একটি অপবাদ ও মারাত্মক পাপের বোঝা নিজের ঘাড়ে উঠিয়ে নিলো।
১১৩. (এ পরিস্থিতিতে) যদি তোমার ওপর আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ ও দয়া না থাকতো, তাহলে এদের একদল লোক তো তোমাকে (প্রায়) ভুল পথে পরিচালিত করেই ফেলেছিলো। যদিও তারা এ আচরণ দিয়ে তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য কাউকেই পথভ্রষ্ট করতে পারছিলো না, (অবশ্য) তাদের এ (প্রতারণামূলক) কাজ দ্বারা তারা তোমার কোনোই ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হতো না। (কারণ) আল্লাহ পাক তাঁ গ্রন্থ ও (সে গ্রন্থলব্ধ) কলা-কৌশল তোমার ওপর অবতীর্ণ করেছেন এবং তিনি তোমাকে এমন সব কিছুর জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন, যা (আগে) তোমার জানা ছিলো না; তোমার ওপর মহান আল্লাহর দয়া ছিলো না; তোমার ওপর মহান আল্লাহর দয়া ছিলো অনেক বড়ো।
১১৪. এদের অধিকাংশ গোপন সলাপরামর্শের ভেতরেই কোনো কল্যাণ নিহিত নেই, তবে যদি কেউ (এর দ্বারা) কাউকে কোনো দান-খয়রাত, সৎকাজ ও অন্য মানুষের মাঝে (সম্প্রীতি ও) সংশোধন আনয়নের আদেশ দেয় তা অন্য কথা; আর আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যদি কেউ এসব কাজ করে তাহলে অতি শীঘ্রই আমি তাকে মহাপুরস্কার দেবো।
১১৫. (আবার) যে ব্যক্তি তার নিকট প্রকৃত সত্য স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে এবং ঈমানদারদের পথ ছেড়ে (বেঈমান লোকদের) নিয়ম-নীতির অনুসরণ করবে, তাকে আমি সেদিকেই ধাবিত করবো যেদিকে সে ধাবিত হয়েছে, (এর শাস্তি হিসেবে) তাকে আমি দোযখের আগুনে পুড়িয়ে দেবো, (আর) তা কতো নিকৃষ্ট আবাসস্থল!
১১৬. আল্লাহ পাক (এ বিষয়টি) মাফ করবেন না যে, তাঁর সাথে (কোনো রকম) শরীক করা হবে, এ ছাড়া অন্য সকল পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা করেন তাকে মাফ করে দিতে পারেন; যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের সাথে (কাউকে) শরীক করলো, সে (মূলত) চরমভাবে গোমরাহ হয়ে গেলো।
১১৭.আল্লাহকে ব্যতীত এরা (আর কাকে ডাকে)-ডাকে (নিকৃষ্ট) দেবীকে কিংবা কোনো বিদ্রোহী শয়তানকে!
১১৮. তার ওপর আল্লাহ পাক লা'নত বর্ষণ করেছেন, (কারণ) সে (আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে) বলেছিলো, আমি তোমার বান্দাদের এক অংশকে নিজের (দলে শামিল) করেই ছাড়বো।
১১৯. (সে আরো বলেছিলো), আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের গোমরাহ করে দেবো, আমি অবশ্যই তাদের মনে নানা প্রকারের মিথ্যা কামনা (বাসনা) জাগিয়ে তুলবো এবং আমি তাদের নির্দেশ দেবো যেন তারা (কুসংস্কারে লিপ্ত হয়ে) জন্তু-জানোয়ারের কান ছিদ্র করে দেয়, আমি তাদের আরো নির্দেশ দেবো যেন তারা আল্লাহ পাকের সৃষ্টিকে বিকৃত করে দেয়; (মূলত) যে ব্যক্তি (এসব কাজ করে) আল্লাহ পাকের বদলে শয়তানকে নিজের পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে নেবে, সে এক সুস্পষ্ট ক্ষতি ও লোকসানের সম্মুখীন হবে।
১২০. সে (অভিশপ্ত শয়তান) তাদের (নানা) প্রতিশ্রুতি দেয়, তাদের (সামনে) মিথ্যা বাসনার (মায়াজাল) সৃষ্টি করে, আর শয়তান যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা প্রতারণা ব্যতীত আর কিছুই নয়।
১২১. এরাই হচ্ছে সেসব (হতভাগ্য) ব্যক্তি; যাদের আবাসস্থল হচ্ছে দোযখ, য়ার (আযাব) থেকে মুক্তির কোনো পন্থাই তারা (খুঁজে) পাবে না।
১২২. অন্যদিকে যারা (শয়তানের প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে) আল্লাহ পাকের ওপর ঈমান আনবে এবং ভালো কাজ করবে, তাদের আমি অচিরেই এমন এক বেহেস্তে প্রবেশ করাবো, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা বইতে থাকবে, তারা সেখানে যুগ যুগ ধরে অবস্থান করবে; আল্লাহর ওয়াদা সত্য; আল্লাহর চাইতে বেশী সত্য কথা কে বলতে পারে?
১২৩. (মানুষের ভালোমন্দ যেমনি) তোমাদের খেয়াল খুশীর সাথে জড়িত নয়, (তেমনি তা) আহলে কিতাবদের খেয়ালখুশীর সাথেও সম্পৃক্ত নয় (আসল কথা হচ্ছে), যে ব্যক্তি কোনো পাপের কাজ করবে, তাকে তার প্রতিফল ভোগ করতে হবে, আর (পাপী) ব্যক্তি (সেদিন) আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কাউকেই নিজেদের পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না।
১২৪. (পক্ষান্তরে) যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজ করবে-নয় কিংবা নারী, সে যদি ঈমানদার অবস্থায়ই তা (সম্পাদন) করে, তাহলে (সে এবং তার মতো) সব লোক অবশ্যই বেহেস্তে প্রবশে করবে, (পুরস্কার দেয়ার সময়) তাদের ওপর বিন্দুমাত্রও অবিচার করা হবে না।
১২৫. চার চাইতে উত্তম জীবন বিধান আর কার হতে পারে, যে আল্লাহ পাকের জন্যে মাথানত করে দেয়, মূলত সে-ই হচ্ছে নিষ্ঠাবান ব্যক্তি, (তদুপরি) সে ইব্রাহীমের আদর্শের অনুসরণ করে; আর আল্লাহ পাক ইব্রাহীমকে স্বীয় বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছেন।
১২৬. আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তার সব কিছুই আল্লাহ পাকের জন্যে, আর আল্লাহ পাক (তাঁর ক্ষমতা দিয়ে) সব কিছুই পরিবেষ্ঠন করে আছেন।
১২৭. (হে নবী!) তারা আপনার কাছে নারীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানতে চায়, আপনি (তাদের) বলুন, আল্লাহ পাক তাদের ব্যাপার তোমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন, আর এ কিতাব থেকে যা কিছু তোমাদের ওপর পঠিত হচ্ছে সেই এতীম নারীদের সম্পকির্ত (ব্যাপার), আল্লাহ পাক তাদের জন্যে যেসব অধিকার দান করেছেন, যা তোমরা আদায় করতে চাও না, কিন্তু তোমরা তাদের বিয়ে (ঠিকই) করতে চাও! অসহায় শিশু সন্তান ও এতীমদের ব্যাপারে (তোমাদের বলা হচ্ছে), তোমরা যেন সুবিচার কায়েম করো; তোমরা যেটুকু সৎ কাজই করো আল্লাহ পাক তার সবকিছু সম্পর্কেই সম্যকভাবে অবহিত রয়েছেন।
১২৮. যদি কোনো স্ত্রীলোক তার স্বামীর নিকট থেকে দূর্ব্যবহার কিংবা অবজ্ঞার আশঙ্কা করে, তাহলে (সে অবস্থায়) পারস্পরিক (ভালোর জন্যে) আপষ-নিষ্পত্তি করে নিলে তাদের ওপর এতে কোনো দোষ নেই; কারণ (সর্বাবস্থায়) আপষ (মীমাংসার পন্থাই) হলো উত্তম পন্থা, (কিন্তু সমস্যা হচ্ছে) মানুষ আপষে লালসার দিকেই বেশী পরিমাণে ধাবিত হয়ে পড়ে; (কিন্তু) তোমরা যদি সততার পন্থা অবলম্বন করো এবং (শয়তানের নিকট থেকে) নিজেকে রক্ষা করো, তাহলে (সেটাই তোমাদের জন্যে ভালো, কারণ) আল্লাহ পাক তোমাাদের সব কর্মকাণ্ড অবলোকন করে থাকেন।
১২৯. তোমরা কখনো (একাধিক) স্ত্রীদের মাঝে ইনসাফ করতে পারবে না, যদিও (মনে প্রাণে) তোমরা তা চাইব, তা্ তিাদের একজনের দিকে তুমি (সমস্ত মনোযোগ দিয়ে) এমনভাবে ঝুঁকে পড়ো না যে, (দেখে মনে হবে) অপরজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় (রেখে দিয়েছো); তোমরা যদি সংশোধনের (চেষ্টা করো এবং) আল্লাহ পাককেও ভয় করো, তাহলে (তুমি দেখবে) মহান আল্লাহ অতি ক্ষমাশীলও পরম দয়ালু।
১৩০. (অতঃপর) যদি (সত্যি সত্যিই)তারা একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ পাক তার ভাণ্ডার থেকে দান করে তাদের সবাইকে পারস্পরিক মুখাপেক্ষিতা থেকে মুক্তি দেবেন, আল্লাহ পাক (নিঃসন্দেহে) প্রাচুর্যময় ও প্রশংসাভাজন।
১৩১. আসমান যমীনে যা কছিু আছে সবই আল্লাহ পাকের জন্যে , তোমাদের আগেও যাদের কাছে কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছিলো, তাদের আমি এ নির্দেশ দিয়েছিলাম যেন তারা আল্লাহ পাককে ভয় করে; (আমি) তোমাদের ও নির্দেশ দিচ্ছি, আর যদি তোমরা (আল্লাহকে) অস্বীকার করো (তাহলে জেনে রেখো), আকাশ-পাতালে যা কিছু আছে সব কিছুই তো মহান আল্লাহর জেন্য; আল্লাহ পাক বে-নিয়াম, সমস্ত প্রশংসা তাঁরই (প্রাপ্য)।
১৩২. অবশ্যই আসমান-যমীনের সব কয়টি জিনিসের মালিকানা তাঁর, যাবতীয় কর্ম সম্পাদনে মহান আল্লাহই যথেষ্ট!
১৩৩. হে মানুষ! তিনি চাইলে যে কোনো সময় (যমীনের কর্তত্ব থেকে) তোমাদের অপসারণ করে অন্য কোনো জাতিকে এনে বসিয়ে দিতে পারেন, এ কাজে তিনি অবশ্যই ক্ষমতাবান।
১৩৪. তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ দুনিয়াতেই (তার) পুরস্কার পেতে চায় (তার জেনে রাখা উচিত), আল্লাহ পাকের নিকট তো ইহকাল ও পরকাল (এ উভয়কালের) পুরস্কারই রয়েছে, আল্লাহ পাক সব কিছু শোনেন এবং সব কিছু দেখেন।
১৩৫. হে ঈমানদাররা! তোমরা (সর্বদাই) ন্যায়বিচারের ওপর (দৃঢ়ভাবে) প্রতিষ্ঠিত থেকো এবং আল্লাহ পাকের জন্যে সত্যের সাক্ষী হিসেবে নিজেকে পেশ করো, যদি এ (কাজটি) তোমার নিজের, নিজের পিতামাতার কিংবা নিজের আত্মীয় স্বজনের ওপরেও আসে (তবুও তা তোমরা মনে রাখবে), সে ব্যক্তি ধনী হোক কিংবা গরীব (এটা কখনো দেখে না, কেননা), তাদের উভয়ের চাইতে মহান আল্লাহর অধিকার অনেক বেশী, অতএব আপনি কখনো ন্যায়বিচার করতে নিজের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না, যদি তোমরা পেঁচানো কথা বলো কিংবা (সাক্ষ্য দেয়া থেকে) বিরত থাকো, তাহলে (জেনে রাখবে) তোমরা যা কিছুই করো না কেন, আল্লাহ পাক তার যথার্থ সংবাদ রাখেন।
১৩৬. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর ওপর, তাঁর রাসূলের ওপর, সে কিতাবের ওপর যা আল্লাহ পাক তাঁর রাসূলের ওপর অবতীর্ণ করেছেন এবং সেসব কিতাবের ওপর যা (ইতঃপূর্বে তিনি) অবতীর্ণ করেছেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহ পাককে অস্বীকার করলো, (অস্বীকার করলো) তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর (পাঠানো) কিতাবসমূহ, তাঁর নবী রাসূলদের ও আখিরাত দিবসকে, (বুঝতে হবে) সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে!
১৩৭. যারা একবার ঈমান আনলো আবার কুফরী করলো, (কিছু দিন পর) আবার ঈমান আনলো, এরপর (সুযোগ বুঝে) আবার কাফের হয়ে গেলো, এরপর কুফরীর পরিমাণ তারা (দিনে দিনে) বাড়িয়ে দিলো, (ঈমান নিয়ে তামাশা করার) এ লোকদের আল্লাহ পাক কখনো মাফ করবেন না, না কখনো তিনি এ ব্যক্তিদের সঠিক পথ দেখাবেন!
১৩৮. (হে নবী!) মুনাফিক ব্যক্তিদের আপনি সুসংবাদ দিন যে, তাদের জন্যে কঠিন আযাব রয়েছে।
১৩৯. যারা (দুনিয়ার ফায়েদার জন্যে) ঈমানদারদের পরিবর্তে কাফেরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারা (কি এর দ্বারা) এদের নিকট থেকে কোনো রকম মান-সম্মানের প্রত্যাশা করে? অথচ (সবটুকু) মান-সম্মান তো আল্লাহ পাকের জন্যেই (নির্দিষ্ট)।
১৪০. আল্লাহ পাক (ইতিপূর্বেও) এ কিতাবের মাধ্যমে তোমাদের ওপর আদেশ অবতীর্ণ করেছিলেন যে, তোমরা যখন দেখবে (কাফেরদের কোনো বৈঠকে) আল্লাহ পাকের অবতীর্ণ করা কোনো আয়াত অস্বীকার করা হচেছ এবং তার সাথে ঠাট্ট-বিদ্রুপ করা হচ্ছে, যখন তোমরা তাদের সাথে (এ ধরনের মজলিসে) বসো না, যতক্ষণ না, তারা অন্য কোনো আলোচনায় লিপ্ত হয়, (এমনটি করলে) অবশ্যই তোমরা তাদের মতো হয়ে যাবে (জেনে রেখো!) মহান আল্লাহ অবশ্যই সব কাফের ও মুনাফিকদের দোযখে একত্রিত করে ছাড়বেন।
১৪১. যারা সব সময়ই তোমাদের (শুভ দিনের) প্রতীক্ষায় থাকে, যদি আল্লাহ পাকের দয়ায় তোমাদের বিজয় আসে তখন এরা (কাছে এসে) বলবে, কেন, আমরা কি (এ যুদ্ধে) তোমাদের পক্ষে ছিলাম না? (আবার) যদি কখনো কাফেরদের (ভাগে বিজয়ের) অংশ (লেখা) হয়, তাহলে এরা (সেখানে গিয়ে) বলবে, আমরা কি তোমাদের মুসলমানদের কাছ থেকে রক্ষা করিনি? এমতাবস্থায় শেষ বিচারের দিনেই আল্লাহ পাক তোমাদের উভয়ের মাঝে ফয়সালা শুনিয়ে দেবেন এবং মহান আল্লাহ (সেদিন) মুমিনদের বিরুদ্ধে এ কাফেরদের কোনো (অজুহাত পেশ করার) পথ অবশিষ্ট রাখবেন না।
১৪২. অবশ্যই মুনাফিকরা আল্লাহ পাককে ধোকা দেয়, (মূলত এর মাধ্যমে) মহান আল্লাহই তাদের প্রতারণায় ফেলে দিচ্ছেন, এরা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন একান্ত আলস্যভরেই দাঁড়ায়, আর তারাও কেবল লোকদের দেখায়, এরা আল্লাহ পাককে আসলে কমই মনে করে।
১৪৩. এরা (কুফরী ও ঈমানের) এ দুটানায় দোদুল্যমান, (এরা) না এদিকে না ওদিকে; তুমি সে ব্যক্তিকে কখনো (সঠিক) পথ দেখাতে পারবে না, যাকে মহান আল্লাহই গোমরাহ করে দেন।
১৪৪. হে ঈমানদার বান্দারা, তোমরা ঈমানদার ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কাফেরদের নিজেদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না; তোমরা কি (তাদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করে) আল্লাহ পাকের নিকট তোমাদের বিরুদ্ধে (কোনো) সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে চাও?
১৪৫. এ মুনাফিকরা দোযখের সর্বনিম্নতরে অবস্থান করবে, আপনি সেদিন তাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী খুঁজে পাবেন না।
১৪৬. তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা তাওবা করে এবং (পরবর্তী জীবনকে তাওবার আলোকে) সংশোধন করে নেয়, মহান আল্লাহর রশি শক্ত করে ধরে রাখে এব একমাত্র আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যেই তাদের জীবন বিধানকে নিবেদিত করে নেয়, এসব লোকেরা অবশ্যই (সেদিন) বিশ্বাসী বান্দাদের সঙ্গে (অবস্থান) করবে; আর অচিরেই আল্লাহ পাক তার ঈমানদার বান্দাদের বড় ধরনের পুরস্কার দেবেন।
১৪৭. (তোমরাই বলো), আল্লাহ পাক কি (খামাখা) তোমাদের শাস্তি দেবেন যদি তোমরা (তাঁর প্রতি) কৃতজ্ঞতা আদায় করো, এবং তাঁর ওপর ঈমান আনো; (বস্তুত) আল্লাহ পাক হচ্ছেন (সর্বোচ্চ) পুরস্কারদাতা, সম্যক জ্ঞাত।
১৪৮. মহান আল্লাহ প্রকাশ্যভাবে মন্দ বলা (কখনো) পছন্দ করেন না, তবে যে ব্যক্তির ওপর অবিচার করা হয়েছে তার কথা ভিন্ন; আল্লাহ পাক ভালোভাবেই শোনেন এবং জানেন।
১৪৯. ভালো কাজ তোমরা প্রকাশ্যে করো কিংবা তা গোপনে করো, অথবা কোন মন্দ কাজের জন্যে যদি তোমরা মাফ করে দাও, তাহলে (তোমরাও দেখতে পাবে), আল্লাহ পাক অতি ক্ষমাশীল ও প্রবল শক্তিমান।
১৫০. যারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলদের অবিশ্বাস করে এবং আল্লাহ পাক ও রাসূলদের মাঝে (এই বলে) একটা পাথর্ক্য করতে চায় যে, আমরা (রাসূলদের) কয়েকজনকে স্বীকার করি আবার কয়েকজনকে অস্বীকার করি, এর দ্বারা (আসলে) এরা (নিজেদের জন্যে) একটা মাঝামাঝি রাস্তা বের করে নিতে চায়।
১৫১. এরাই হচ্ছে সত্যিকারের কাফের, আর আমি এ কাফেরদের জন্যেই নির্দিষ্ট করে রেখেছি এক চরম যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
১৫২. (অন্যদিকে) যারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান আনে এবং তাদের একজনের সাথে আরেকজনের কোনো রকম পাথর্ক্য করে না, এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের তিনি অচিরেই অনেক পুরস্কার দান করবেন, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও মহাদয়ালু।
১৫৩. আহলে কিতাবের লোকেরা আপনার নিকট চায়, আপনি যেন আসমান থেকে তাদের জন্যে কোনো কিতাব অবতীর্ণ করেন! এরা তো মূসার নিকট এর চাইতেও বড়ো রকমের দাবী পেশ করেছিলো, তারা বলেছিলো (হে মূসা!) তুমি স্বয়ং আল্লাহ পাককেই আমাদের প্রকাশ্যভাবে দেখিয়ে দাও, অতঃপর তাদের এই বাড়াবাড়ির জন্যে তাদের ওপর প্রচন্ড বজ্রপাত এসে নিপতিত হয়েছে এবং (এ সম্পকির্ত) সুস্পষ্ট প্রমাণসমূহ তাদের নিকট আসার পরও তারা গো-বাছুরকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে, অতঃপর আমি তাদের এ অপরাধ মাফ করে দিলাম এবং আমি মূসাকে স্পষ্ট প্রমাণ (-সহ কিতাব) দান করলাম।
১৫৪. এদের ওপর তূর পাহাড়কে উঠিয়ে উচু করে ধরে আমি এদের নিকট থেকে (আনুগত্যের) প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলাম, আমি তাদের বলেছিলাম, নগরের দ্বারপ্রান্ত দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সময় তোমরা একান্ত অনুগত হয়ে ঢুকবে, আমি তাদের (আরো) বলেছিলাম, তোমরা শনিবারে (মাছ ধরে আমার বিধানের) সীমালঙ্ঘন করো না, (এ ব্যাপারে) আমি তাদের নিকট থেকে শক্ত প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিলাম।
১৫৫. অতঃপর তাদের (পক্ষ থেকে এই) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, মহান আল্লাহর আয়াতসমূহেকে তাদের অস্বীকার করা এবং অন্যায়ভাবে আল্লাহ পাকের নবীদের তাদের মেরে ফেলা, (তদুপরি) তাদের (একথা) বলা, আমাদের মন (বাতিল চিন্তাধারায়) আচ্ছাদিত (হয়ে আছে), প্রকৃতপক্ষে তাদের (ক্রমাগত) অস্বীকার করার জন্যে আল্লাহ পাক স্বয়ং তাদের দিলের ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন, তাই এদের কম সংখ্যক লোকই ঈমান আনে।
১৫৬. যেহেতু এরা (আল্লাহকে) অস্বীকার করতেই থাকলো, এরা (পুণ্যবতী) মারইয়ামের ওপরও জঘন্য অপবাদ আনলো।
১৫৭. তাদের (এ মিথ্যা) উক্তি যে, আমরা অবশ্যই মারইয়ামের পুত্র ঈসাকে হত্যা করেছি, যিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, (যদিও আসল ঘটনা হচ্ছে) তারা কখনেই তাকে হত্যা করেনি, তারা তাকে শূলবিদ্ধ ও করেনি, (মূলত) তাদের নিকট (ধাঁধার জন্যে) এমনি একটা কিছু মনে হয়েছিলো; (তাদের মাঝে) যারা (সঠিক ঘটনা না জানার কারণে) তার ব্যাপারে মতবিরোধ করেছিলো, তারাও (এতে করে) সন্দেহে পড়ে গেলো এ বিষয়ে তাদের অনুমানের অনুসরণ করা ব্যতীত সঠিক কোনো জ্ঞানই ছিলো না, (তবে) এটুকু নিশ্চিত, তারা তাকে হত্যা করেনি।
১৫৮. বরং (আসল ঘটনা ছিলো) আল্লাহ পাক তাকে তাঁর নিজের নিকট তুলে নিয়েছেন; আল্লাহ পাক মহাপরাক্রমশালী ও মহাপ্রজ্ঞাময়। (কাউকে উঠিয়ে নেয়া তার কাছে মোটেই কঠিন কিছু নয়)।
১৫৯. (এই) আহলে কিতাবদের মাঝে এমন একজনও থাকবে না, যে ব্যক্তি মরার পূর্বে (ঈসা সম্পর্কে আল্লাহ পাকের এই কথার) ওপর ঈমান আনবে না, রোজ কেয়ামতে সে নিজেই এদের ওপর সাক্ষী হবে।
১৬০. ইহুদীদের বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনমূলক আচরণের জন্যে এমন অনেক পবিত্র জিনিসও আমি তাদের জন্যে অবৈধ করে দিয়েছিলাম যেটা তাদের জন্যে (আগে) বৈধ ছিলো, এটা এই কারণে যে, এরা বহু মানুষকে আল্লাহ পাকের পথ থেকে সরিয়ে রেখেছে।
১৬১. (যেহেতু) এ (লেনদেনে) সুদ গ্রহণ করে, অথচ এদের তা থেকে (সুস্পষ্টভাবে) নিষেধ করা হয়েছিলো এবং এরা অন্যের ধন-সম্পদ ধোকা প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাস করে; তাদের মধ্যে (এ সব অপরাধে লিপ্ত) কাফেরদের জন্যে আমি তাই কঠিন আযাব নির্দিষ্ট করে রেখেছি।
১৬২. কিন্তু তাদের মধ্যে যাদের (আবার) জ্ঞানের গভীরতা রয়েছে তারা এবং এমন সব ঈমানদার যারা তোমরার ওপর যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে তার ওপর বিশ্বাস করে, (সাথে সাথে) তোমার পূর্ববর্তী নবী ও রাসূলদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার ওপরও বিশ্বাস করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে, (সর্বোপরি) আল্লাহ পাক ও শেষ দিনের ওপর ঈমান আনে; (মূলত) এরাই হচ্ছে সেসব (সৌভাগ্যবান) মানুষ, যাদের অচিরেই আমি মহাপুরস্কার দেবো।
১৬৩. (হে নবী!) আমি তোমার নিকট আমার ওহী পাঠিয়েছি, যেমনি করে আমি ওহী পাঠিয়েছিলাম নূহ ও তার পরবর্তী নবীদের প্রতি, আমি (আরো) ওহী পাঠিয়েছি ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরদের কাছে, (ওহী পাঠিয়েছি) ঈসা, আইয়ুব, ইউনুস, হারুন ও সোলায়মানের কাছেও, অতঃপর আমি দাউদের ওপর ও যাবুর (কিতাব) নাযিল করেছি।
১৬৪. রাসূলদের মাঝে এমনও অনেকে আছে, যাদের কথা ইতঃপূর্বে আমি তোমার নিকট বলেছি, কিন্তু এদের মাঝে বহু রাসূল এমনও আছে যাদের (নাম ঠিকানা) কিছুই আমি তোমাকে বলিনি; মূসার সঙ্গে তো আল্লাহ পাক কথাও বলেছেন।
১৬৫. রাসূলরা (ছিলো বেহেস্তের) সুসংবাদবাহী ও (দোযখের) ভয় প্রদর্শনকারী, (তাদের এ জন্যেই পাঠানো হয়েছিলো) যাতে করে রাসূলদের আগমনের পর আল্লাহ পাকের ওপর মানব জাতির কোনো অজুহাত খাড়া করার সুযোগ না থাকে; (সত্যিই) আল্লাহ পাক মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।
১৬৬. কিন্তু (মানুষ যতো অজুহাতই পেশ করুক না কেন), আল্লাহ তোমার ওপর যা কিছু নাযিল করেছেন তা তাঁর (প্রত্যক্ষ) জ্ঞানের মাধ্যমেই করেছেন, ফেরেশতারাও তো (এ কথার) সাক্ষ্য দেবে; যদিও (ওহীর) সাক্ষ্য প্রদানের জন্যে আল্লাহ পাক (একা)-ই যথেষ্ট।
১৬৭. নিশ্চয়ই যারা (এ ওহী) অস্বীকার করে এবং (অন্য মানুষদেরও) আল্লাহ পাকের পথ থেকে সরিয়ে রাখে, তারা আসলে গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
১৬৮. নিশ্চয়ই যারা কুফরী করলো এবং (চরমভাবে) সীমালঙ্ঘন করলো, (তাদের ব্যাপারে) এটা কখনো হবে না যে, আল্লাহ পাক তাদের মাফ করে দেবেন, আর না তিনি তাদের সঠিক রাস্তা দেখাবেন!
১৬৯. কিন্তু একটি মাত্র (রাস্তাই তাদের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে এবং তা হচ্ছে) দোযখের রাস্তা, যেখানে তারা অনন্তকাল ধরে পড়ে থাকবে; (শাস্তি প্রদানের) এ কাজ আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ।
১৭০. হে মানুষেরা! আল্লাহ পাকের নিকট থেকে তোমাদের জন্যে সঠিক (বিধান) নিয়ে রাসূল এসেছে, যদি (তার আনীত এ বিধানের ওপর) তোমরা ঈমান আনো, এতেই তোমাদের জন্যে মঙ্গল (রয়েছে), আর তোমরা যদি তা মেনে নিতে অস্বীকার করো তাহলে (জেনে রেখো), এ আসমান-যমীনের সর্বত্র (যেখানে) যা কিছু আছে তার সব কিছুই আল্লাহ পাকের জন্যে এবং আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, কুশলী।
১৭১. হে কিতাবধারীরা, নিজেদের দ্বীনের ব্যাপারে তোমরা বাড়াবড়ি করো না এবং (ঈসার ঘটনা নিয়ে) মহান আল্লাহর ওপর সত্য ছাড়া কোনো মিথ্যা চাপিয়ে না; (সে সত্য কথাটি হচ্ছে এই যে,) মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ছিলো (একজন) রাসূল ও তার এমন এক বাণী, যা তিনি মারইয়ামের ওপর প্রেরণ করেছেন এবং সে ছিলো আল্লাহ পাকের নিকট থেকে পাঠানো এক 'রুহ', অতএব (হে আহলে কিতাবরা!), তোমরা আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলদের ওপর ঈমান আনো, আর (কখনো) এটা বলো না যে, (মা'বুদের সংখ্যা) তিন; এ (জঘন্য মিথ্যা) থেকে তোমরা বেঁচে থেকো, (এটাই) তোমাদের জন্যে উত্তম; নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক; তিনি তো একক মাবুদ; আল্লাহ পাক এ (মূর্খতা) থেকে অনেক পবিত্র যে, তাঁর কোনো সন্তান থাকবে; এ আকাশ ও ভূমন্ডলের সমস্ত কিছুর মালিকানাই তো তাঁর, আর অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।
১৭২. (ঈসা) মাসীহ কখনো (এতে) বিন্দুমাত্রও নিজেকে হেয় মনে করেনি যে, সে হবে আল্লাহ পাকের বান্দা, মহান আল্লাহর একান্ত ঘনিষ্ঠ ফেরেশতারাও (একে লজ্জাকর মনে করেনি); কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহ পাকের বন্দেগী করা সত্যিই লজ্জাকর বিষয় মনে করে (এবং এটা ভেবে) সে অহঙ্কার করে (তার জানা উচিত), অচিরেই আল্লাহ পাক এদের সকলকে তাঁর সামনে একত্রিত (করে দন্ডাজ্ঞা দান) করবেন।
১৭৩. যেসব মানুষ মহান আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, (সেদিন) তিনি তাদেরকে এর জন্যে পুরোপুরি পুরস্কার দেবেন, আল্লাহ পাক তাঁর একান্ত অনুগ্রহ থেকে তাদের (পাওনা) আরো বাড়িয়ে দেবেন, অন্যদিকে যারা আল্লাহ পাকের বিধান মেনে নেয়া লজ্জাজনক কিছু মনে করলো এবং অহঙ্কার করলো, তাদের (সবাইকেই) আল্লাহ পাক কঠোর শাস্তি দান করবেন, (সেদিন) তারা আল্লাহ ব্যতীত দ্বিতীয় কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
১৭৪. হে মানুষ! তোমাদের মালিকের নিকট থেকে তোমাদের কাছে একটি উজ্জ্বল প্রমাণ এসেছে এবং আমিই তোমাদের কাছে উজ্জ্বল জ্যোতি অবতীর্ণ করেছি।
১৭৫. অতঃপর যারা (সে জ্যেতি নিয়ে) ঈমান আনলো এবং তাকে শক্ত করে আঁকড়ে থাকলো, আল্লাহ পাক তাদের অচিরেই তাঁর অফুরন্ত দয়া ও অনুগ্রহে (বেহেস্তে) প্রবেশ করাবেন এবং তাদের তিনি সঠিক পথে পরিচালিত করবেন।
১৭৬. (হে নবী!) তারা অাপনার নিকট (বিভিন্ন বিষয়ে) ফতোয়া জানতে চায়; আপনি বলুন, আল্লাহ পাক সে ব্যক্তির (উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ব্যাপারে) তোমাতের তাঁর সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন; যার মাতা পিতা কেউই নেই, আবার তার নিজেরেও কোনো সন্তান নেই, (এ ধরনের) কোনো ব্যক্তি যদি মরে যায় এবং সে ব্যক্তি যদি সন্তানহীন হয় এবং তার একটি বোন থাকে তাহলে সে বোনটি সে (মৃত) ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশের মালিক হবে, অন্যদিকে সে যদি নিঃসন্তান হয়, তাহলে সে তার বোনের (সম্পত্তির) উত্তরাধিকারী হবে; (আবার) যদি তারা দুজন হয়, তাহলে তারা দুই বোন সেই পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ অংশের মালিক হবে; যদি সে ভাইবোনেরা কয়েকজন হয়, তাহলে মেয়েদের অংশ এক ভাগ ও পুরুষদের অংশ দুই ভাগ হবে; মহান আল্লাহ পাক (উত্তরাধিকারের এ আইন-কানুন) অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তোমাদের জন্যে বলে দিয়েছেন, যাতে করে (মানুষের উদ্ভাবিত বন্টন পদ্ধতিতে) তোমরা বিভ্রান্ত হয়ে না পড়ো; আল্লহ পাক সকল কিছুর ব্যাপারেই সম্যক জ্ঞাত।
১৩৫. হে ঈমানদাররা! তোমরা (সর্বদাই) ন্যায়বিচারের ওপর (দৃঢ়ভাবে) প্রতিষ্ঠিত থেকো এবং আল্লাহ পাকের জন্যে সত্যের সাক্ষী হিসেবে নিজেকে পেশ করো, যদি এ (কাজটি) তোমার নিজের, নিজের পিতামাতার কিংবা নিজের আত্মীয় স্বজনের ওপরেও আসে (তবুও তা তোমরা মনে রাখবে), সে ব্যক্তি ধনী হোক কিংবা গরীব (এটা কখনো দেখে না, কেননা), তাদের উভয়ের চাইতে মহান আল্লাহর অধিকার অনেক বেশী, অতএব আপনি কখনো ন্যায়বিচার করতে নিজের খেয়ালখুশীর অনুসরণ করবেন না, যদি তোমরা পেঁচানো কথা বলো কিংবা (সাক্ষ্য দেয়া থেকে) বিরত থাকো, তাহলে (জেনে রাখবে) তোমরা যা কিছুই করো না কেন, আল্লাহ পাক তার যথার্থ সংবাদ রাখেন।
১৩৬. হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর ওপর, তাঁর রাসূলের ওপর, সে কিতাবের ওপর যা আল্লাহ পাক তাঁর রাসূলের ওপর অবতীর্ণ করেছেন এবং সেসব কিতাবের ওপর যা (ইতঃপূর্বে তিনি) অবতীর্ণ করেছেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহ পাককে অস্বীকার করলো, (অস্বীকার করলো) তাঁর ফেরেশতাদের, তাঁর (পাঠানো) কিতাবসমূহ, তাঁর নবী রাসূলদের ও আখিরাত দিবসকে, (বুঝতে হবে) সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে!
১৩৭. যারা একবার ঈমান আনলো আবার কুফরী করলো, (কিছু দিন পর) আবার ঈমান আনলো, এরপর (সুযোগ বুঝে) আবার কাফের হয়ে গেলো, এরপর কুফরীর পরিমাণ তারা (দিনে দিনে) বাড়িয়ে দিলো, (ঈমান নিয়ে তামাশা করার) এ লোকদের আল্লাহ পাক কখনো মাফ করবেন না, না কখনো তিনি এ ব্যক্তিদের সঠিক পথ দেখাবেন!
১৩৮. (হে নবী!) মুনাফিক ব্যক্তিদের আপনি সুসংবাদ দিন যে, তাদের জন্যে কঠিন আযাব রয়েছে।
১৩৯. যারা (দুনিয়ার ফায়েদার জন্যে) ঈমানদারদের পরিবর্তে কাফেরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে, তারা (কি এর দ্বারা) এদের নিকট থেকে কোনো রকম মান-সম্মানের প্রত্যাশা করে? অথচ (সবটুকু) মান-সম্মান তো আল্লাহ পাকের জন্যেই (নির্দিষ্ট)।
১৪০. আল্লাহ পাক (ইতিপূর্বেও) এ কিতাবের মাধ্যমে তোমাদের ওপর আদেশ অবতীর্ণ করেছিলেন যে, তোমরা যখন দেখবে (কাফেরদের কোনো বৈঠকে) আল্লাহ পাকের অবতীর্ণ করা কোনো আয়াত অস্বীকার করা হচেছ এবং তার সাথে ঠাট্ট-বিদ্রুপ করা হচ্ছে, যখন তোমরা তাদের সাথে (এ ধরনের মজলিসে) বসো না, যতক্ষণ না, তারা অন্য কোনো আলোচনায় লিপ্ত হয়, (এমনটি করলে) অবশ্যই তোমরা তাদের মতো হয়ে যাবে (জেনে রেখো!) মহান আল্লাহ অবশ্যই সব কাফের ও মুনাফিকদের দোযখে একত্রিত করে ছাড়বেন।
১৪১. যারা সব সময়ই তোমাদের (শুভ দিনের) প্রতীক্ষায় থাকে, যদি আল্লাহ পাকের দয়ায় তোমাদের বিজয় আসে তখন এরা (কাছে এসে) বলবে, কেন, আমরা কি (এ যুদ্ধে) তোমাদের পক্ষে ছিলাম না? (আবার) যদি কখনো কাফেরদের (ভাগে বিজয়ের) অংশ (লেখা) হয়, তাহলে এরা (সেখানে গিয়ে) বলবে, আমরা কি তোমাদের মুসলমানদের কাছ থেকে রক্ষা করিনি? এমতাবস্থায় শেষ বিচারের দিনেই আল্লাহ পাক তোমাদের উভয়ের মাঝে ফয়সালা শুনিয়ে দেবেন এবং মহান আল্লাহ (সেদিন) মুমিনদের বিরুদ্ধে এ কাফেরদের কোনো (অজুহাত পেশ করার) পথ অবশিষ্ট রাখবেন না।
১৪২. অবশ্যই মুনাফিকরা আল্লাহ পাককে ধোকা দেয়, (মূলত এর মাধ্যমে) মহান আল্লাহই তাদের প্রতারণায় ফেলে দিচ্ছেন, এরা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন একান্ত আলস্যভরেই দাঁড়ায়, আর তারাও কেবল লোকদের দেখায়, এরা আল্লাহ পাককে আসলে কমই মনে করে।
১৪৩. এরা (কুফরী ও ঈমানের) এ দুটানায় দোদুল্যমান, (এরা) না এদিকে না ওদিকে; তুমি সে ব্যক্তিকে কখনো (সঠিক) পথ দেখাতে পারবে না, যাকে মহান আল্লাহই গোমরাহ করে দেন।
১৪৪. হে ঈমানদার বান্দারা, তোমরা ঈমানদার ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে কাফেরদের নিজেদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না; তোমরা কি (তাদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করে) আল্লাহ পাকের নিকট তোমাদের বিরুদ্ধে (কোনো) সুস্পষ্ট প্রমাণ তুলে দিতে চাও?
১৪৫. এ মুনাফিকরা দোযখের সর্বনিম্নতরে অবস্থান করবে, আপনি সেদিন তাদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী খুঁজে পাবেন না।
১৪৬. তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা তাওবা করে এবং (পরবর্তী জীবনকে তাওবার আলোকে) সংশোধন করে নেয়, মহান আল্লাহর রশি শক্ত করে ধরে রাখে এব একমাত্র আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যেই তাদের জীবন বিধানকে নিবেদিত করে নেয়, এসব লোকেরা অবশ্যই (সেদিন) বিশ্বাসী বান্দাদের সঙ্গে (অবস্থান) করবে; আর অচিরেই আল্লাহ পাক তার ঈমানদার বান্দাদের বড় ধরনের পুরস্কার দেবেন।
১৪৭. (তোমরাই বলো), আল্লাহ পাক কি (খামাখা) তোমাদের শাস্তি দেবেন যদি তোমরা (তাঁর প্রতি) কৃতজ্ঞতা আদায় করো, এবং তাঁর ওপর ঈমান আনো; (বস্তুত) আল্লাহ পাক হচ্ছেন (সর্বোচ্চ) পুরস্কারদাতা, সম্যক জ্ঞাত।
১৪৮. মহান আল্লাহ প্রকাশ্যভাবে মন্দ বলা (কখনো) পছন্দ করেন না, তবে যে ব্যক্তির ওপর অবিচার করা হয়েছে তার কথা ভিন্ন; আল্লাহ পাক ভালোভাবেই শোনেন এবং জানেন।
১৪৯. ভালো কাজ তোমরা প্রকাশ্যে করো কিংবা তা গোপনে করো, অথবা কোন মন্দ কাজের জন্যে যদি তোমরা মাফ করে দাও, তাহলে (তোমরাও দেখতে পাবে), আল্লাহ পাক অতি ক্ষমাশীল ও প্রবল শক্তিমান।
১৫০. যারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলদের অবিশ্বাস করে এবং আল্লাহ পাক ও রাসূলদের মাঝে (এই বলে) একটা পাথর্ক্য করতে চায় যে, আমরা (রাসূলদের) কয়েকজনকে স্বীকার করি আবার কয়েকজনকে অস্বীকার করি, এর দ্বারা (আসলে) এরা (নিজেদের জন্যে) একটা মাঝামাঝি রাস্তা বের করে নিতে চায়।
১৫১. এরাই হচ্ছে সত্যিকারের কাফের, আর আমি এ কাফেরদের জন্যেই নির্দিষ্ট করে রেখেছি এক চরম যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
১৫২. (অন্যদিকে) যারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলের ওপর ঈমান আনে এবং তাদের একজনের সাথে আরেকজনের কোনো রকম পাথর্ক্য করে না, এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের তিনি অচিরেই অনেক পুরস্কার দান করবেন, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ পাক অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও মহাদয়ালু।
১৫৩. আহলে কিতাবের লোকেরা আপনার নিকট চায়, আপনি যেন আসমান থেকে তাদের জন্যে কোনো কিতাব অবতীর্ণ করেন! এরা তো মূসার নিকট এর চাইতেও বড়ো রকমের দাবী পেশ করেছিলো, তারা বলেছিলো (হে মূসা!) তুমি স্বয়ং আল্লাহ পাককেই আমাদের প্রকাশ্যভাবে দেখিয়ে দাও, অতঃপর তাদের এই বাড়াবাড়ির জন্যে তাদের ওপর প্রচন্ড বজ্রপাত এসে নিপতিত হয়েছে এবং (এ সম্পকির্ত) সুস্পষ্ট প্রমাণসমূহ তাদের নিকট আসার পরও তারা গো-বাছুরকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছে, অতঃপর আমি তাদের এ অপরাধ মাফ করে দিলাম এবং আমি মূসাকে স্পষ্ট প্রমাণ (-সহ কিতাব) দান করলাম।
১৫৪. এদের ওপর তূর পাহাড়কে উঠিয়ে উচু করে ধরে আমি এদের নিকট থেকে (আনুগত্যের) প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিলাম, আমি তাদের বলেছিলাম, নগরের দ্বারপ্রান্ত দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সময় তোমরা একান্ত অনুগত হয়ে ঢুকবে, আমি তাদের (আরো) বলেছিলাম, তোমরা শনিবারে (মাছ ধরে আমার বিধানের) সীমালঙ্ঘন করো না, (এ ব্যাপারে) আমি তাদের নিকট থেকে শক্ত প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিলাম।
১৫৫. অতঃপর তাদের (পক্ষ থেকে এই) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা, মহান আল্লাহর আয়াতসমূহেকে তাদের অস্বীকার করা এবং অন্যায়ভাবে আল্লাহ পাকের নবীদের তাদের মেরে ফেলা, (তদুপরি) তাদের (একথা) বলা, আমাদের মন (বাতিল চিন্তাধারায়) আচ্ছাদিত (হয়ে আছে), প্রকৃতপক্ষে তাদের (ক্রমাগত) অস্বীকার করার জন্যে আল্লাহ পাক স্বয়ং তাদের দিলের ওপর মোহর মেরে দিয়েছেন, তাই এদের কম সংখ্যক লোকই ঈমান আনে।
১৫৬. যেহেতু এরা (আল্লাহকে) অস্বীকার করতেই থাকলো, এরা (পুণ্যবতী) মারইয়ামের ওপরও জঘন্য অপবাদ আনলো।
১৫৭. তাদের (এ মিথ্যা) উক্তি যে, আমরা অবশ্যই মারইয়ামের পুত্র ঈসাকে হত্যা করেছি, যিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল, (যদিও আসল ঘটনা হচ্ছে) তারা কখনেই তাকে হত্যা করেনি, তারা তাকে শূলবিদ্ধ ও করেনি, (মূলত) তাদের নিকট (ধাঁধার জন্যে) এমনি একটা কিছু মনে হয়েছিলো; (তাদের মাঝে) যারা (সঠিক ঘটনা না জানার কারণে) তার ব্যাপারে মতবিরোধ করেছিলো, তারাও (এতে করে) সন্দেহে পড়ে গেলো এ বিষয়ে তাদের অনুমানের অনুসরণ করা ব্যতীত সঠিক কোনো জ্ঞানই ছিলো না, (তবে) এটুকু নিশ্চিত, তারা তাকে হত্যা করেনি।
১৫৮. বরং (আসল ঘটনা ছিলো) আল্লাহ পাক তাকে তাঁর নিজের নিকট তুলে নিয়েছেন; আল্লাহ পাক মহাপরাক্রমশালী ও মহাপ্রজ্ঞাময়। (কাউকে উঠিয়ে নেয়া তার কাছে মোটেই কঠিন কিছু নয়)।
১৫৯. (এই) আহলে কিতাবদের মাঝে এমন একজনও থাকবে না, যে ব্যক্তি মরার পূর্বে (ঈসা সম্পর্কে আল্লাহ পাকের এই কথার) ওপর ঈমান আনবে না, রোজ কেয়ামতে সে নিজেই এদের ওপর সাক্ষী হবে।
১৬০. ইহুদীদের বাড়াবাড়ি ও সীমালঙ্ঘনমূলক আচরণের জন্যে এমন অনেক পবিত্র জিনিসও আমি তাদের জন্যে অবৈধ করে দিয়েছিলাম যেটা তাদের জন্যে (আগে) বৈধ ছিলো, এটা এই কারণে যে, এরা বহু মানুষকে আল্লাহ পাকের পথ থেকে সরিয়ে রেখেছে।
১৬১. (যেহেতু) এ (লেনদেনে) সুদ গ্রহণ করে, অথচ এদের তা থেকে (সুস্পষ্টভাবে) নিষেধ করা হয়েছিলো এবং এরা অন্যের ধন-সম্পদ ধোকা প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাস করে; তাদের মধ্যে (এ সব অপরাধে লিপ্ত) কাফেরদের জন্যে আমি তাই কঠিন আযাব নির্দিষ্ট করে রেখেছি।
১৬২. কিন্তু তাদের মধ্যে যাদের (আবার) জ্ঞানের গভীরতা রয়েছে তারা এবং এমন সব ঈমানদার যারা তোমরার ওপর যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে তার ওপর বিশ্বাস করে, (সাথে সাথে) তোমার পূর্ববর্তী নবী ও রাসূলদের ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার ওপরও বিশ্বাস করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে, (সর্বোপরি) আল্লাহ পাক ও শেষ দিনের ওপর ঈমান আনে; (মূলত) এরাই হচ্ছে সেসব (সৌভাগ্যবান) মানুষ, যাদের অচিরেই আমি মহাপুরস্কার দেবো।
১৬৩. (হে নবী!) আমি তোমার নিকট আমার ওহী পাঠিয়েছি, যেমনি করে আমি ওহী পাঠিয়েছিলাম নূহ ও তার পরবর্তী নবীদের প্রতি, আমি (আরো) ওহী পাঠিয়েছি ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরদের কাছে, (ওহী পাঠিয়েছি) ঈসা, আইয়ুব, ইউনুস, হারুন ও সোলায়মানের কাছেও, অতঃপর আমি দাউদের ওপর ও যাবুর (কিতাব) নাযিল করেছি।
১৬৪. রাসূলদের মাঝে এমনও অনেকে আছে, যাদের কথা ইতঃপূর্বে আমি তোমার নিকট বলেছি, কিন্তু এদের মাঝে বহু রাসূল এমনও আছে যাদের (নাম ঠিকানা) কিছুই আমি তোমাকে বলিনি; মূসার সঙ্গে তো আল্লাহ পাক কথাও বলেছেন।
১৬৫. রাসূলরা (ছিলো বেহেস্তের) সুসংবাদবাহী ও (দোযখের) ভয় প্রদর্শনকারী, (তাদের এ জন্যেই পাঠানো হয়েছিলো) যাতে করে রাসূলদের আগমনের পর আল্লাহ পাকের ওপর মানব জাতির কোনো অজুহাত খাড়া করার সুযোগ না থাকে; (সত্যিই) আল্লাহ পাক মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।
১৬৬. কিন্তু (মানুষ যতো অজুহাতই পেশ করুক না কেন), আল্লাহ তোমার ওপর যা কিছু নাযিল করেছেন তা তাঁর (প্রত্যক্ষ) জ্ঞানের মাধ্যমেই করেছেন, ফেরেশতারাও তো (এ কথার) সাক্ষ্য দেবে; যদিও (ওহীর) সাক্ষ্য প্রদানের জন্যে আল্লাহ পাক (একা)-ই যথেষ্ট।
১৬৭. নিশ্চয়ই যারা (এ ওহী) অস্বীকার করে এবং (অন্য মানুষদেরও) আল্লাহ পাকের পথ থেকে সরিয়ে রাখে, তারা আসলে গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
১৬৮. নিশ্চয়ই যারা কুফরী করলো এবং (চরমভাবে) সীমালঙ্ঘন করলো, (তাদের ব্যাপারে) এটা কখনো হবে না যে, আল্লাহ পাক তাদের মাফ করে দেবেন, আর না তিনি তাদের সঠিক রাস্তা দেখাবেন!
১৬৯. কিন্তু একটি মাত্র (রাস্তাই তাদের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে এবং তা হচ্ছে) দোযখের রাস্তা, যেখানে তারা অনন্তকাল ধরে পড়ে থাকবে; (শাস্তি প্রদানের) এ কাজ আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ।
১৭০. হে মানুষেরা! আল্লাহ পাকের নিকট থেকে তোমাদের জন্যে সঠিক (বিধান) নিয়ে রাসূল এসেছে, যদি (তার আনীত এ বিধানের ওপর) তোমরা ঈমান আনো, এতেই তোমাদের জন্যে মঙ্গল (রয়েছে), আর তোমরা যদি তা মেনে নিতে অস্বীকার করো তাহলে (জেনে রেখো), এ আসমান-যমীনের সর্বত্র (যেখানে) যা কিছু আছে তার সব কিছুই আল্লাহ পাকের জন্যে এবং আল্লাহ পাক সর্বজ্ঞ, কুশলী।
১৭১. হে কিতাবধারীরা, নিজেদের দ্বীনের ব্যাপারে তোমরা বাড়াবড়ি করো না এবং (ঈসার ঘটনা নিয়ে) মহান আল্লাহর ওপর সত্য ছাড়া কোনো মিথ্যা চাপিয়ে না; (সে সত্য কথাটি হচ্ছে এই যে,) মারইয়ামের পুত্র মাসীহ ছিলো (একজন) রাসূল ও তার এমন এক বাণী, যা তিনি মারইয়ামের ওপর প্রেরণ করেছেন এবং সে ছিলো আল্লাহ পাকের নিকট থেকে পাঠানো এক 'রুহ', অতএব (হে আহলে কিতাবরা!), তোমরা আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূলদের ওপর ঈমান আনো, আর (কখনো) এটা বলো না যে, (মা'বুদের সংখ্যা) তিন; এ (জঘন্য মিথ্যা) থেকে তোমরা বেঁচে থেকো, (এটাই) তোমাদের জন্যে উত্তম; নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাক; তিনি তো একক মাবুদ; আল্লাহ পাক এ (মূর্খতা) থেকে অনেক পবিত্র যে, তাঁর কোনো সন্তান থাকবে; এ আকাশ ও ভূমন্ডলের সমস্ত কিছুর মালিকানাই তো তাঁর, আর অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ পাকই যথেষ্ট।
১৭২. (ঈসা) মাসীহ কখনো (এতে) বিন্দুমাত্রও নিজেকে হেয় মনে করেনি যে, সে হবে আল্লাহ পাকের বান্দা, মহান আল্লাহর একান্ত ঘনিষ্ঠ ফেরেশতারাও (একে লজ্জাকর মনে করেনি); কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহ পাকের বন্দেগী করা সত্যিই লজ্জাকর বিষয় মনে করে (এবং এটা ভেবে) সে অহঙ্কার করে (তার জানা উচিত), অচিরেই আল্লাহ পাক এদের সকলকে তাঁর সামনে একত্রিত (করে দন্ডাজ্ঞা দান) করবেন।
১৭৩. যেসব মানুষ মহান আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, (সেদিন) তিনি তাদেরকে এর জন্যে পুরোপুরি পুরস্কার দেবেন, আল্লাহ পাক তাঁর একান্ত অনুগ্রহ থেকে তাদের (পাওনা) আরো বাড়িয়ে দেবেন, অন্যদিকে যারা আল্লাহ পাকের বিধান মেনে নেয়া লজ্জাজনক কিছু মনে করলো এবং অহঙ্কার করলো, তাদের (সবাইকেই) আল্লাহ পাক কঠোর শাস্তি দান করবেন, (সেদিন) তারা আল্লাহ ব্যতীত দ্বিতীয় কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।
১৭৪. হে মানুষ! তোমাদের মালিকের নিকট থেকে তোমাদের কাছে একটি উজ্জ্বল প্রমাণ এসেছে এবং আমিই তোমাদের কাছে উজ্জ্বল জ্যোতি অবতীর্ণ করেছি।
১৭৫. অতঃপর যারা (সে জ্যেতি নিয়ে) ঈমান আনলো এবং তাকে শক্ত করে আঁকড়ে থাকলো, আল্লাহ পাক তাদের অচিরেই তাঁর অফুরন্ত দয়া ও অনুগ্রহে (বেহেস্তে) প্রবেশ করাবেন এবং তাদের তিনি সঠিক পথে পরিচালিত করবেন।
১৭৬. (হে নবী!) তারা অাপনার নিকট (বিভিন্ন বিষয়ে) ফতোয়া জানতে চায়; আপনি বলুন, আল্লাহ পাক সে ব্যক্তির (উত্তরাধিকার সংক্রান্ত ব্যাপারে) তোমাতের তাঁর সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন; যার মাতা পিতা কেউই নেই, আবার তার নিজেরেও কোনো সন্তান নেই, (এ ধরনের) কোনো ব্যক্তি যদি মরে যায় এবং সে ব্যক্তি যদি সন্তানহীন হয় এবং তার একটি বোন থাকে তাহলে সে বোনটি সে (মৃত) ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশের মালিক হবে, অন্যদিকে সে যদি নিঃসন্তান হয়, তাহলে সে তার বোনের (সম্পত্তির) উত্তরাধিকারী হবে; (আবার) যদি তারা দুজন হয়, তাহলে তারা দুই বোন সেই পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ অংশের মালিক হবে; যদি সে ভাইবোনেরা কয়েকজন হয়, তাহলে মেয়েদের অংশ এক ভাগ ও পুরুষদের অংশ দুই ভাগ হবে; মহান আল্লাহ পাক (উত্তরাধিকারের এ আইন-কানুন) অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তোমাদের জন্যে বলে দিয়েছেন, যাতে করে (মানুষের উদ্ভাবিত বন্টন পদ্ধতিতে) তোমরা বিভ্রান্ত হয়ে না পড়ো; আল্লহ পাক সকল কিছুর ব্যাপারেই সম্যক জ্ঞাত।
Updating Please Stay with me
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.