بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
হজ্জের আহকাম পর্ব
হজ্জ ফরয হওয়া এবং তার মর্যাদা
মহান আল্লাহর বাণী- ............
অর্থঃ যারা বায়তুল্লাহ পৌছার সামর্থ রাখে তাদেরকে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে এর ঘর (বায়তুল্লাহ)-এর হজ্জ আদায় করতে হবে, যারা হজ্জ অস্বীকার করবে। তাদের জেনে রাখা দরকার, আল্লাহ বিশ্ববাসীর মুখাপেক্ষী নন। (সূরা আলে ইমরান-৯৭)
১৪৩৫। হাদীসঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, (বিদায় হজ্জের সময়) ফযল ইবনে আব্বাস (রাঃ) নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সওয়ারীর পেছনে বসা ছিলেন। এ সময় খাসআম গোত্রের এক মহিলা আগমন করলে ফযল তার দিকে তাকাচ্ছিলেন। নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার বার ফযলের মুখ অন্য দিকে ঘুরিয় দিতে থাকলেন।
অতঃপর মহিলা নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মম্বোধন করে বলল, হে আল্লাহর নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । আল্লাহ কর্তৃক আরোপিত হজ্জ আমার বৃদ্ধ পিতার উপর ফরয হয়েছে। তিনি সওয়ারীর উপর ঠিক হয়ে বসে থাকতে পারেন না। অতএব আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করতে পারি? নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ পার। এটি ছিল বিদায় হজ্জের সময়কার ঘটনা।
অর্থঃ "হজ্জের জন্য লোকদেরকে এই মর্মে আহবান জানাও যেন তারা দূর দূরান্ত থেকে হেঁটে এবং সব কৃশকায় উটের ওপর সাওয়ার হয়ে তোমার নিকট আগমন করে, এখানে যেসব কল্যাণ তাদের জন্য রয়েছে সেগুলো যাতে তারা প্রত্যক্ষ করতে পারে এবং আল্লাহ যে জন্তুুগুলো তাদেরকে দান করেছেন কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনে সেগুলোর ওপর আল্লাহর নাম নিতে পারে (কোরবানী করে)। অতঃপর তার গোশত নিজেরাও খাবে আর দরিদ্র অভাব গ্রস্তদেরও দান করবে। এরপর নিজেদের (শরীরের) ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করবে (ইহরাম খুলে গোসল করা নখ কাটা ইত্যাদি) ও মান্নত পূরণ করবে এবং এই সুপ্রাচীন ঘরের তাওয়াফ করবে"
বাহনে আরোহণ অবস্থায় তালবিয়া পাঠ
১৪৩৬। হাদীসঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবন ওমর (রাঃ) বলেন, আমি নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যুলহোলায়ফা নামক স্থানে সওয়ারীতে আরোহণ করতে দেখেছি। সওয়ারী ঠিকবাবে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি সজোরে তালবিয়া পড়তে থাকেন।
Updating Please Stay With me
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.