بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
ক্রয়-বিক্রয় পর্ব
মহান আল্লাহর বাণী-........
১৯২৯। হাদীসঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আপনারা বলে থাকেন, নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আবু হুরায়রা (রাঃ) বেশি বেশি হাদীস বর্ণনা করে থাকে এবং আরো বলেন, মুজাহির ও আনসারদের কি হলো যে, তারা তো নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করেন না? (কিন্তু ব্যাপার হলো এই যে, ) আমার মুহাজির ভাইগণ বাজারে কেনা-বেচায় ব্যস্থ থাকতেন আর আমি কোন প্রকারে আমার পেটের চাহিদা মিটিয়ে (খেয়ে না খেয়ে)নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে পড়ে থাকতাম। তাঁরা যখন (কাজের ব্যস্ততায়) অনুপস্থিত থাকতেন আমি তখন উপস্থিত থাকতাম। তাঁরা যা ভুলে যেতেন আমি তা সংরক্ষণ করতাম। আর আমার আনসার ভায়েরা নিজেদের খেত-খামারের কাজে ব্যস্ত থাকতেন আমি ছিলাম সুফফার মিসকীনদের একজন মিসকিন। তাঁরা যা ভুলে যেতেন, আমি তা সংরক্ষণ করতাম। নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এক বর্ণনায় বললেন, আমার এ কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যে কেউ তার কাপড় বিছিয়ে দিবে এবং পরে নিজের শরীরের সাথে তার কাপড় জড়িয়ে নেবে, আমি যা বলছি সে তা স্মরণ রাখতে পারবে। [আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন] আমি আমার গায়ের চাদর খানা বিছিয়ে দিলাম, যতক্ষণ না নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কথা শেষ করলেন, পরে আমি তা আমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলাম। পলে আমি নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সে কথার কিছুই ভুলিনি।
১৯৩০। হাদীসঃ হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমারা যখন মদীনায় আসি, তখন নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লামআমার এবং সা'দ (রাঃ)-এর মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি করে দেন। পরে সা'দ ইবনে রাবী বললেন, আমি আনসারদের মাঝে অধিক ধন-সম্পত্তির অধিকারী। আমার অর্ধেক সম্পত্তি তোমাকে ভাগ করে দিচ্ছি এবং আমার উভয় স্ত্রীকে দেখে যাকে তোমার পছন্দ হয়, বল আমি তাকে তোমার জন্য পরিত্যাগ করব। (যখন সে উদ্দত পূর্ণ করবে তখন তুমি তাকে বিবাহ করে নিবে।) আবদুর রহমান (রাঃ) বললেন, এ সবে আমার কোন প্রয়োজন নেই। বরং (আপনি বলুন) ব্যবসা-বাণিজ্য করার মত কোন বাজার আছে কি? তিনি বললেন, কায়নকুর বাজার আছে। পরের দিন আবদুর রহমান (রাঃ) সে বাজারে গিয়ে পনীর ও ঘি (খরিদ করে) নিয়ে আসলেন। এরপর ক্রমাগত যাওয়া -আসা করতে থাকেন। কিছুকাল পরে আবদুর রহমান (রাঃ)-এর কাপড়ে বিয়ের মেহেদী দেখা গেল। এতে নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি বিবাহ করেছ) তিনি বললেন, হ্যা। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সে কে? তিনি বললেন, জনৈকা আনসারী মহিলা। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কী পরিমাণ মোহর দিয়েছ? আবদুর রহমান (রাঃ) বললেন, খেজুরের এক অাঁটি পরিমাণ স্বর্ণ। নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন একটি বকরী দিয়ে হলেও ওলীমা কর।
১৯৩১। হাদীসঃ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) মদীনায় আগমন করলে নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ও সা'দ ইবনে রাবী আনসারীর মাজে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন করে দেন। সা'দ (রাঃ) ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি আবদুর রহমান (রাঃ)-কে বললেন, আমি তোমার উদ্দেশ্যে আমর সম্পত্তি অর্ধেক ভাগ করে নিতে চাই এবং তোমাকে বিবাহ করিয়ে দিতে চাই। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমার পরিবার ও সম্পদে বরকত দান করুন। আমাকে বাজার দেখিয়ে দাও। তিনি বাজার হতে মুনাফা করে নিয়ে আসলেন পনীর ও ঘি। এভাবে কিছু কাল কাটালেন। একদিন তিনি এভাবে আসলেন যে, তাঁর গায়ে বিয়ের মেহেদীর রংয়ের চিহ্ন লেগে আছে। নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার? তিনি বললেন, ইয়া রাসুূল্লাল্লাহ! আমি জনৈকা আনসারী মহিলাকে বিবাহ করেছি। তিনি(নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তাকে কী দিয়েছ? তিনি বললেন খেজুরের এক অাঁটি পরিমাণ স্বর্ণ। তিনি( নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, একটি বকরী দিয়ে হলেও ওলীমা কর।
১৯৩২। হাদীসঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উকায, মাজিন্না ও যুল-মাযায (নামক স্থানে) জাহিলিয়্যাতের যুগে বাজার ছিল। ইসলামের আবির্ভাবের পরে লোকেরা ঐ সকল বাজারে যেতে গুনা মনে করতে লাগল। ফলে (কুরআন মজীদের আয়াত) নাযিল হলঃ তোমাদের রবের অনুগ্রহ সন্ধানে তোমাদের কোন পাপ নেই। (২:১৯৮) ইবনে আব্বাস (রাঃ) (আয়াতের সংগে) হজ্জের মওসুমে কথাটুকুও পড়লেন।
Updating Please Stay With Me
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.