بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
জুমআর সালাত পর্ব
জুমআর সালাত ফরজ হওয়া প্রসঙ্গে
মহান আল্লাহর বাণীঃ .........
অর্থঃ জুমআর দিন যখন নামাযের জন্য আহবান করা হয়, সাথে সাথে আল্লাহর যিকিরের (নামাযের) জন্য দৌড়ে আস এবং বেচা-কেনা ছেড়ে দাও; তা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।
৮৩৫। হাদীসঃ হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি ইরশাদ করেছেন, সকল ধর্মাবলম্বীর মধ্যে আমরা দুনিয়ায় শেষে আগমনকারী, কিন্তু কেয়ামতে সম্মান মর্যাদার দিক থেকে আমরা সবার চাইতে অগ্রগামী থাকব (আমাদের হাশর, ফয়সালা এবং বেহেশতে প্রবেশ সবার আগে হবে। যদিও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীকে আমাদের পূর্বেই কিতাব দেয়া হয়েছিল। তারপর তাদের এ দিবস (অর্থাৎ জুমআর দিন)-যা তাদের উপর ফরয করা হয়েছিল, তারা তাতে মতভেদ করেছে, কিন্তু মহান আল্লাহ আমাদেরকে এ দিন সম্পর্কে পথ দেখিয়েছেন। তাই দুনিয়ার সকল লোক বর্তমানে এ ব্যাপারে আমার অনুসারণকারী। ইহুদীরা সম্মান দখাচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারকে, আর নাসারাগণ সম্মান দেখাচ্ছে তার পরের দিন অর্থাৎ রবিবারকে।
জুমআর দিন গোসল করার ফযীলত
৮৩৬। হাদীসঃ হযরত (রাঃ) থেকে বর্ণিত আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কারো উপর যদি জুমআর দিন এসে পৌছে সে যেন গোসল করে নেয়।
৮৩৭। হাদীসঃ হযরত ইবনে উপর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, উপর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) জুমুআর দিন দাড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রথম যুগের একজন মুহাজিদ সাহাবী এলেন। উমর (রাঃ) তাকে ডেকে বললেন, এখন সময় কত? তিনি বললেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম, তাই ঘরে ফিরে আসে পরিনি। এমন সময় আযান শুনতে পেয়ে শুধু অযু করে নিলাম। উমর (রাঃ) বললেন,কেবল অযুই? অথচ আপনি জানেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসলের আদেশ দিতেন।
Updating Please Stay With Me
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.