بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
ভয়কালীন সময়ের সালাত
পবিত্র কোরআনের বাণী-.........
অর্থঃ যখন তোমরা যমীনে সফর করবে, তখন নামাযে কসর করাতে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না। যদি তোমাদের আশংকা হয় যে, কাফিরগণ তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে। নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আর তুমি যখন তাদের মধ্যে অস্থান করবে ও তাদের সঙ্গে নামায কায়েম করবে তখন তাদের একদল তোমার সাথে যেন দাড়ায় এবং তারা যেন সশস্ত্র থাকে। তারপর তারা সিজদা করলে তখন তারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে। অপর একদল যারা নামাযে শরীক হয় নাই, তারা তোমার সাথে যেন নামাযে শরীক হয় এবং তারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিরারা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সমন্ধে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের উপর এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির জন্য কষ্ট পাও বা পীড়িত থাক তবে তোমরা অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন দোষ নাই; কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করবে। আল্লাহ কাফিরদের জন্য লাঞ্চনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।" (সূরা আন নিসা: ১০১-১০২)
৯০০। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, আমরা এক সময় রাসূলে খোদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে নজদ এলাকায় যুদ্ধের জন্য বের হলাম। আমরা যুদ্ধের জন্য শত্রু সৈন্যদের মুখোমুখি সারিবদ্ধ হয়ে দন্ডায়মান হলাম। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মুসলিম সৈন্যদেরকে দু'ভাগ করে এক ভাগকে নিয়ে নামাযের জন্য দাঁড়ান এবং অপর ভাগ শত্রু সৈন্যদের মুখোমুখি অবস্থান করে।
অতঃপর তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে নামাযে দাঁড়ান। তিনি এমনিভাবে এক রাকআত নামায আদায় করলেন যে, তাঁদেরকে নিয়ে রুকু এবং দুটি সেজদা করেন। অতঃপর এ দলটি শত্রু সৈন্যদের মুখোমুখি অবস্থানরত দলের কাছে চলে গেলেন, যারা এখনো নামায পড়েননি। তারপর তারাও তদ্রুপ শত্রু সৈন্যদের সম্মুখে দন্ডায়মান হলেন। অত"পর দ্বিতীয় দলটি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে নামাযে শরীক হয়ে এক রাকআত আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এদেরকে নিয়ে রুকু এং দুটি সেজদা করলেন, অতঃপর সালাম ফিরালেন। তারপর প্রত্যেক দলই নিজে নিজে রুকু এবং দুটি সেজাদ করেন। এভাবে 'সালাতুল খাওফ' আদায় করেন।
৯০১। হযরত নাফি (রঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাঃ) থেকে মুজাহিদ (রঃ) -এর বর্ণনার মতো উল্লেখ করেছেন যে, সৈন্যরা যখন পরস্পর (শত্রুমিত্র) মিলিত হয়ে যায়, তখন দাড়িয়ে নামায আদায় করবে। ইবনে উপর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আরো বলেছেন যে, যদি সৈন্যদের অবস্থা এর চেযে গুরুতর হয়ে যায়, তা হলে দাড়ানো অবস্থায় এবং আরোহী অস্থায় নামায আদায় করবে।
Updating Please Stay With Me
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.