بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
ওয়াকালাত (প্রতিনিধিত্বের) পর্ব
ভাগ বাটোয়ারা ইত্যাদিতে শরীকের প্রতিনিধি নিয়োজিত হওয়া
২১৬৯। হাদীসঃ হযরত আলী (রাঃ) বলেন, নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কোরবানীর উটের ঝিল্লি ও চামড়া সদকা করতে হুকুম করেছেন।
২১৭০। হাদীসঃ হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কতকগুলো ছাগল/ভেড়া সাহাবাদের মধ্যে বন্টন করার জন্য দিয়েছিলেন। (বন্টনের পর) একটি ছাগল শাবক অবশিষ্ট রয়ে গেল। অতঃপর তিনি এটা নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উল্লেখ করলে তিনি বললেন, ওটা তুমি কোরবানী কর।
২১৭১। হাদীসঃ হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমাইয়া ইবনে আলফের সঙ্গে এ মর্মে একটা চুক্তিনামা করলাম যে, সে মক্কায় আমার মাল-সামান হিফাযত করবে আর আমি মদীনায় তার মাল-সামান হিফাযত করব। যখন আমি চুক্তিনামায় আমার নামের শেষে ‘রহমান’ শব্দটি উল্লেখ করলাম তখন সে বলল, আমি রহমানকে চিনি না। জাহিলী যুগে তোমার যে নাম ছিল সেটা লিখ। তখন আমি তাতে আবদু আমর লিখে দিলা। বদর যুদ্ধের দিন যখন লোকজন ঘুমিয়ে পড়ল। তখন আমি উমাইয়াকে রক্ষা করার জন্য একটি পাহাড়ের দিকে গেলাম। বিলাল (রাঃ) তাকে দেখে ফেললেন। তিনি দৌড়ে গিয়ে আনসারীদের এক মজলিসে বললেন, এই যে, উমাইয়া ইবনে খালফ। যদি উমাইয়া বেঁচে যায়, তবে আমার বেঁচে থাকায় লাভ নেই। তখন আনাসারীদের এক দল তার সাথে আমাদের পিছে পিছে ছুটল। তখন আমার আশংকা হল যে, তারা আমাদের নিকট এসে পড়বে, তখন আমি উমাইয়ার পুত্রকে তাদের জন্য পেছনে রেখে এলাম, যাতে তাদের দৃষ্টি তার উপর পড়ে। তারা তাকে হত্যা করল। তারপরও তারা ক্ষান্ত হল না, তারা আমাদের পিছু ধাওয়া করল। উমাইয়া ছিল স্থূলদেহী। যখন আনসাররা আমদের কাছে পৌছে গেল, তখন আমি তাকে বললাম, বসে পড়। সে বসে পড়ল। আমি তাকে বাঁচানের জন্য আমার দেহখানা তাকে আড়াল করে রাখলাম। কিন্তু তারা আমার নীচে দিয়ে তরবারি ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলল। তাদের একজনের তরবারির আঘাত আমার পায়েও লাগল। রাবী বলেন, ইবনে আউফ (রাঃ) তাঁর পায়ের সে আঘাত আমাদেরকে দেখাতেন।
Updating Please Stay With Me
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.