بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
নামাযের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজসমূহ
১১৩৪। হাদীসঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তিনি তাঁর খালা উম্মুল মু'মিনীন মাইমুনা (রাঃ)-এর ঘরে রাত কাটালেন। তিনি বলেন, বালিশের প্রস্তের দিকে শুয়ে পড়লাম, নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সহধর্মিনী বালিশের দৈর্ঘ্যের দিকে শয়ন করলেন। এরপর নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধ্যরাত তার কিছু আগে বা পর পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকলেন। তারপর নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে উঠে বসলেন, দু'হাত দ্বারা মুখমন্ডল মুছে ঘুমের আমেজ দূর করলেন। এরপর তিনি সূরা আলে ইমরানের শেষ দশ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। পরে একটি ঝূলন্ত মশকের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং এর পানি দ্বারা উত্তররুপে ওযু করে নামযে দাড়িযে গেলেন। আবুদল্লহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমিও উঠে পড়লাম এবং তিনি যেরুপ করেছিলেন, আমিও সেরুপে করলাম। এরপর আমি গিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ালাম। তখন নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাত মাথার উপরে রেখে আমার ডান কানে মোচড়াতে লাগলেন (এবং আমাকে তাঁর পেছনে থেকে ঘুড়িয়ে এনে তার ডানপাশে দাঁড় করিয়ে দিলেন।) তিনি যখন দু'রাকাআত নামায আদায় করলেন, তারপর দু'রাকাআত, তারপর দু'রাকাআত, তারপর দু'রাকাআত, তারপর দু'রাকাআত, তারপর (শেষ দু'রাকাআতের সাথে আর এক রাকাআত, দ্বারা বেজোড় করে ) বিতর আদায় করে শুয়ে পড়লেন। অবশেষে (ফজরের জামাআতের জন্য ( মুয়াযযিন এলেন। তিনি দাড়িয়ে সংক্ষিপ্ত (কিরাআতে) দু'রাকাআত (ফজরের সুন্নাত) আদায় করলেন। এরপর (মসজিদের দিকে ) বেড়িয়ে যান এবং ফজরের নামায আদায় করলেন।
১১৩৫। হাদীসঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা") থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর নামাযরত অবস্থায় সালাম করতাম; তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিতেন্ পরে যখন আমরা নাজ্জাশীর নিকট থেকে ফিরে এলাম তখন তাকে (নামাযরত অবস্থায়) সালাম করলে তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিরেন না এবং পরে ইরশাদ করলেন, নামাযে অনেক ব্যস্ততা ও নিমগ্নতা রয়েছে।
১১৩৬। হাদীসঃ হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ) সূত্রে নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
১১৩৭। হাদীসঃ হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময়ে নামাযের মধ্যে কথা বলতাম। আমাদের যে কেউ তার সঙ্গীর সাথে নিজ দরকারী বিষয়ে কথা বলত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল- حَا فِظُوْا عَلَى الصَّلَوَاتِ তোমরা তোমাদের নামাযসমূহের সংরক্ষণ কর ও নিয়মানুবর্তীতার রক্ষা কর; বিশেষত মধ্যবর্তী (আসর) নামাযে, আর তোমরা (নামাযে) আল্লাহর উদ্দেশ্যে একাগ্রচিত্ত হও।" এরপর থেকে আমরা নামাযে নিবর থাকতে আদিষ্ট হলাম।
Updating Please Stay With Me
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.