بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
তারাবীহর নামায পর্ব
১৮৯২। হাদীসঃ হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে সওয়ারে আশায় তারাবীহর নামাযে দাঁড়ায় (নামায আদায় করে), তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
১৮৯৩। হাদীসঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ বর্ণনা করে যে, নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বরেছেন, যে ব্যক্তি রমযানে ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় তারাবহীর সালাতে দাঁড়াবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।
হাদীসের রাবী ইবনে শিহাব (র:) বলেন, নবী কারীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনতিকাল করেন এবং তারাবহীর ব্যাপারটি এ ভাবেই চালু ছিল। এমনকি আবু বকর (রাঃ)-এর খিলাফতকালেও উপর (রাঃ)-এর খিলাফতের প্রথম ভাগে এরুপই ছিল। ইবনে শিহাব (র) উরওয়া ইবনে যুবায়ের (র:) সূত্র আবদুর রহমান ইবনে আবদ আল-ক্বারী (র:) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রমযানের এক রাতে উপর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-এর সঙ্গে মসজিদে নববীতে গিয়ে দেখতে পাই যে, লোকেরা বিক্ষিপ্ত জামায়াতে বিভক্ত। কেউ একাকী নামায আদায় করছে আবার কোন ব্যক্তি নামায আদায় করছে এবং তার ইকতেদা করে একদল লোক নামায আদায় করছে। উমর (রাঃ) বললেন, আমি মনে করি যে, এই লোকদের যদি আমি একজন ক্বারীর (ইমামের) পিছনে একত্রিত করে দেই, তবে তা উত্তম হবে। এরপর তিনি উবাই ইবন কাব (রাঃ)-এর পিছনে সকলকে একত্রিত করে দিলেন। পরে আর এক রাতে আমি তাঁর [উমর রাঃ] সঙ্গে বের হই। তখন লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামায আদায় করছিল। উমর (রাঃ) বললেন, কত না সুন্দর এই নতুন অবস্থা! তোমরা রাতের যে অংশে ঘুমিয়ে থাক তা রাতের ঐ অংশ অপেক্ষা উত্তম যে অংশে তোমরা নামায আদায় কর, এর দ্বারা তিনি শেষ রাত বুঝিয়েছেন, কেননা তখন রাতের প্রথমভাগে লোকেরা নামায আদায় করত।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your comments.